1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:০০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
চিরিরবন্দর উপজেলা ক্রীয়া সংস্কার,এডহক কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা । নীলফামারির ডোমারে ৫০ বোতল ফেনসিডিল সহ একজন আ,ট ক ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে আপত্তির মুখে বাস ভাড়া বাড়ল ৫ টাকা । লফস’র মশারি বিতরণ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে প্রভাতের গ্রাম পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া থেকে পথযাত্রা শুরু করেছেন আল-আমিন মানবিক সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পরিচালক ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় ৪ মা,দ,ক কারবারি আ,ট,ক নীলফামারী পুলিশ লাইন্স মাঠে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চিরিরবন্দর, রানীর বন্দরে ড্রাম ট্রাক মোটরসাইকেলে সড়ক দু,র্ঘট,না, নি,হ,ত ১ ,আ,হ,ত ১।

ঈদের আমেজে ফুটপাতের দোকানগুলোতে কেনাকাটার ধুম

এম এন আলী শিপলু, খুলনা
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫
  • ৫১ বার পড়া হয়েছে

এম এন আলী শিপলু, খুলনা

ঈদ কড়া নাড়ছে দুয়ারে। বছর ঘুরে সেই খুশির ঈদকে সামনে রেখে জমজমাট হয়ে উঠছে দেশের সব শপিংমল ও বিপণি-বিতান। পিছিয়ে নেই ফুটপাতের দোকানগুলোও। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে খুলনার ফুটপাতগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় ততো বাড়ছে। বিক্রেতারা বলছেন, প্রতিদিনই একটু-একটু করে বিক্রি বাড়ছে। ঈদের আগে শেষ কয়েকদিন বেচাকেনা আরও বাড়বে বলে আশা তাদের।

ফুটপাতের দোকানগুলোতে সব শ্রেণি-পেশার উপস্থিতি চোখে পড়লেও নিম্ন বা সীমিত আয়ের মানুষের ভিড় থাকে বেশি। এসব দোকানে তুলনামূলক সাশ্রয়ী দামে পছন্দের পণ্য কেনা যায়। এছাড়া এই দোকানগুলোতে ক্রেতারা ইচ্ছেমতো দরদাম করে পণ্য কিনতে পারেন।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সরেজমিনে নগরীর পিকচারপ্যালেস, ডাকবাংলোর মোড়, নিউমার্কেট, শিববাড়ি মোড়, রূপসা ট্রাফিকের মোড়, নতুন বাজার, চিত্রালী বাজার, বৈকালী বাজার, নতুন রাস্তার মোড় ও দৌলতপুর ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। যেহেতু দাম তুলনামূলক কম, ফলে নিম্নআয়ের মানুষদেরই ফুটপাতের দোকানগুলোর ওপর বেশি নির্ভরতা থাকে। এসব দোকানে সব বয়সের নারী-পুরুষের উপযুক্ত পোশাক পাওয়াও যায়। শিশুদের পোশাক কেনার জন্যও ফুটপাতের দোকানগুলো বেশ ভালো। রমজানের শুরু থেকে দুপুর গড়ানোর পরই এসব দোকানে ক্রেতার ভিড় বাড়ে। রাত ৮টা-৯টা পর্যন্ত বেচাবিক্রি চলে হরদম। এই এলাকাগুলোর দোকানে ক্রেতাদের চাপে হাঁটাচলা করাই যেন কঠিন। ফুটপাতের দোকানগুলোতে গরিবদের জন্য সব ধরনের কেনাকাটার ব্যবস্থা আছে। এই বাজারগুলোতে তিন মাস বয়সী শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সব পোশাক পাওয়া যায়। তুলনামূলকভাবে কম দামের কারণে নিম্নআয়ের মানুষ ভিড় করছে। পাশাপাশি বিক্রেতাদের ব্যস্ততাও লক্ষ্য করা গেছে। অনেকেই আবার ফুটপাতের বাজারে কেনাবেচা দেখতে এসেছেন। না কিনলেও তারা চারপাশে ঘুরে পণ্য দেখছেন। নানা বয়সী মানুষের উপস্থিতিও বেশ লক্ষণীয়।

ডাকবাংলোর ফুটপাতে ছোট স্টল এবং ভ্যানে পাঞ্জাবি-পায়জামা, শার্ট-প্যান্ট, টি-শার্ট, জুতা এবং বাচ্চাদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাছাকাছি বাজারগুলোতে পাঞ্জাবি-পায়জামার পাইকারি ও খুচরা বিক্রি দেখা গেছে। প্রতিটি প্যান্ট ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাঞ্জাবি ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা এবং শার্ট ২০০ থেকে ৩৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ১৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের টি-শার্ট পাওয়া যাচ্ছে। বাচ্চাদের পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, জিন্স, প্যান্ট এবং জুতা ৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

বটিয়াঘাটার জলমা থেকে স্ত্রীসহ আসা দিনমজুর সোলায়মান হোসেন বলেন, ‘ফুটপাতের দোকানগুলোতে গরিবদের জন্য সব ধরনের কেনাকাটার ব্যবস্থা আছে। তাই এত দূর থেকে এসেছি। আগে জিরোপয়েন্ট এলাকায় ছিলাম। এখানেই কেনাকাটা করতাম। এবারও চলে এলাম। বেশ ভালো লাগছে।’

সালমা খাতুন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র নারী কর্মকর্তার মেয়ের দেখাশোনা করেন। তিনি কিছু কেনাকাটা করার জন্য ছুটি নিয়ে বাজারে এসেছেন। ফুটপাতের দোকানগুলো ঘুরে পছন্দের পোশাক খুঁজছিলেন। কথা হলে তিনি বলেন, আমি প্রতিবার এখান থেকে কাপড় কিনি। অনেক দোকান ঘুরে পছন্দের কাপড় কিনি। দামও কম। ভালো লাগে। দুটি কাপড় কিনেছি, আরও দুটি কিনবো। ঈদে বাড়ি যাবো। নিজের এবং আত্মীয়স্বজনের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে হবে।

সাদিক চিত্রালী বাজারের সামনে ফুটপাতে বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করছিলেন। তিনি বলেন, ‘গ্রামের বাড়িতে ঈদ করবো। কিছু কেনাকাটা করলাম। ফুটপাতেও ভালো জিনিস কম দামে পাওয়া যায়।’

নিম্নআয়ের মানুষ ছাড়াও অনেক নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ কেনাকাটার জন্য ফুটপাতের দোকানে আসছেন। তবে, চাকরিজীবীরা বেতন-বোনাস পেলে বিক্রি আরও বাড়বে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। আমরা ছোট ব্যবসায়ী। সারা বছর পোশাক বিক্রি করি, এখন ঈদেও বিক্রি করছি। এখানে-ওখানে দু-একজন ক্রেতা পাই। তবে এটিকে ঈদের বাজার বলা যায় না। আমাদের ব্যবসা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না।

ডাকবাংলো মোড়ে ফুটপাতে টি-শার্ট ও প্যান্ট বিক্রি করেন সজীব। তিনি বলেন, অন্য সময় প্রতিদিন ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করি। এখন তা অনেকটা কমে ৫ হাজারে নেমেছে। মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বেশি খরচ করছে। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতিকে দায়ী করে তিনি বলেন, পোশাক কিনতে আমাদের দোকানে বেশি ক্রেতা আসছেন না। দোকান বেশিরভাগ সময় ক্রেতাশূন্য থাকছে। বছরের অন্য সময় তারা কোনো রকমে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু রমজানে বিক্রি অনেক বেশি হয় এবং লাভও ভালো হয়। চার-পাঁচ দিন ধরে তাদের বিক্রি বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা আশাবাদী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট