আব্দুল্লাহ আল মামুন, যশোর
যশোরের মণিরামপুরে ১৩বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শিশুটির নানি বাদী হয়ে ওই শিশুর দাদা লুৎফর রহমানের(৬০) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মণিরামপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
এলাকাবাসি ধর্ষককে আটকে রেখে মণিরামপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে সোমবার দিবাগত রাতে লুৎফর রহমানকে তার বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে। আটক লুৎফর রহমান মণিরামপুর সদর ইউনিয়নের মৃত জমির আলীর ছেলে।ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী।
গতকাল মঙ্গলবার মণিরামপুর থানায় দায়েরকৃত শিশু নির্যাতন আইন ও ধর্ষণ মামলার ৯ (ক) অনুযায়ী জানা যায়,দীর্ঘদিন যাবত নিজের ছেলের মেয়েকে(১৩) ফুসলিয়ে ও চাপ প্রয়োগে করে শারীরিক হেনস্তা এবং এক পর্যায়ে ধর্ষণ করে আসছিলো।দেশব্যাপী শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণের খবর জনসাধারনের সামনে উঠে আসায় স্থানীয়রা দীর্ঘদিন যাবত ধর্ষণকারী মেয়ের দাদাকে তার নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ করে মণিরামপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে ধর্ষক লুৎফরকে গ্রেফতার পরবর্তী আদালতে হস্তান্তর করে।
ধর্ষণের স্বীকার ঐ ১৩ বছরী শিশু মিডিয়ার সামনে তার অসহ্য যন্ত্রণার কথা অকপটে স্বীকার করে মামলার বাদী দাদীকে নিয়ে।ঘটনার বিবরণীতে রেকর্ডকৃতনুযায়ী,প্রাই গেলেই তার আপন দাদা ফুসলিয়ে,চাপ দিয়ে শারীরিকভাবে হেনস্তা করতো।
এদিকে ১৮ মার্চ মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ধর্ষকের বিচারের দাবীতে সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনতা পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
মানববন্ধন থেকে মণিরামপুর উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা এই লোমহর্ষক ঘটনায় ধর্ষক দাদা লুৎফর রহমানের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারি পুলিশ সুপার মণিরামপুর সার্কেল ইমদাদুল হক সাংবাদিকদের জানান,শিশু ধর্ষণের ঘটনায় আসামিকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।খুব দ্রুতই এ মামলার তদন্তের রিপোর্ট আমরা আদালতে পাটিয়ে দিবো।