1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
মণিরামপুরে মিডল্যান্ড ব্যাংকের এজেন্ট শাখার উদ্বোধন হাইওয়ে মহাসড়কের বেহাল অবস্থা কে নিবে দায়ভার সিটি কর্পোরেশন নাকি প্রশাসন আনোয়ারায় শ্রী শ্রী লোকনাথ ধাম মন্দিরে দুর্ধর্ষ চুরি দুর্গাপুরে সরকারী জমি যর দখলের অভিযোগ নিরাপত্তাহীন সৈকতে আর প্রাণহানি নয়: পর্যটনের নামে গাফেলতির মূল্য কে দেবে:- প্রতিবাদে সোচ্চার স্বেচ্ছাসেবীরা ৯ নং রানাগাছা ইউনিয়নে লটারির মাধ্যমে ভিডব্লিউবি এর তালিকা প্রস্তুত রেলের জিএম’র সাথে পাবনা জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলের সাক্ষাত বিভিন্ন দাবী পেশ টাঙ্গাইলে মেডিক্যাল হোস্টেলে মিললো ছাত্রীর ঝু”ল”ন্ত ম”র”দে”হ সাতক্ষীরা দেবহাটায় নির্বাচনে কেন্দ্র পরিচালক ও পোলিং এজেন্টের প্রশিক্ষণ কর্মশালা মুন্সীগঞ্জে নিজের দুই মেয়েকে পুকুরে ফেলে হত্যার দায় স্বীকার করলেন মা

মৌলভীবাজার কমলগঞ্জ শমসেরনগর হযরত মফিজ উদ্দিন শাহ (রহ:) অনিন্দ্য প্রাকৃতিক সুন্দর শমসেরনগর,শুধু প্রাকৃতিক সুন্দরই নয়

স্টাফ রিপোর্টোর সৈয়দ শিহাব উদ্দিন মিজান
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫
  • ৪৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টোর সৈয়দ শিহাব উদ্দিন মিজান

শমসেরনগরের মাটিও অত্যান্ত পুণ্যময়। এই মাটিতে শুয়ে আছেন হযরত শাহ জালাল ইয়ামনি (রহ:) সফর সঙ্গী ৩৬০ জন আউলিয়ার,অন্যতম দুইজন আউলিয়া হযরত শাহ কালা (রহ:) ও হযরত শাহ মালিক গাজী (রহ:)। এছাড়া অসংখ্য অসংখ্য আউলিয়া কেরামের সাধনার স্থল ছিল শমসেরনগর। অনেক আউলিয়া তাদের বেলায়তি স্তর সফলতায় পৌছে শমসেরনগর থেকে চলে গেছেন আবার অনেকেই পরদা (ওফাত) হয়ে এখানে সমায়িত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম আউলিয়া হচ্ছেন হযরত মফিজ উদ্দিন শাহ (রহ:)। হযরত মফিজ উদ্দিন শাহ (রহ:) এর জীবন তালাশ করলে দেখাযায় উনি রিয়াজাত মোরাকাবা মোশাহাদার মাধ্যমে এমন স্তরে পৌঁছে ছিলেন যা উনার কাছ থেকে অসংখ্য অসংখ্য কারামত প্রকাশ পায়। তখনকার সময় কিছু আউলিয়া বিদ্বেষী মানুষ ছিল। হযরত মফিজ উদ্দিন শাহ (রহ:) এর সংস্পর্শে এসে অনেকেই বুজতে পারে আউলিয়া কেরাম যে কত বড় আল্লাহর নিয়ামত এবং তাদের ভুল বুজতে পেরে অনেকেই আউলিয়া প্রেমিক হয়। হযরত মফিজ উদ্দিন শাহ (রহ:) যে কত বড় ওলী ছিলেন তা মুসলিমদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মালম্বী লোকেরাও বুজতে পারে তাই তারা উনার সান্নিধ্য পেতে দলে দলে আসতে থাকে। হযরত মফিজ উদ্দিন শাহ (রহ:) শমসেরনগরের বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষের কল্যানের জন্য কাজ করেছেন। মানুষের বিভিন্ন জটিল সমস্যা,দুঃখ-দুরদর্শাতে মানুষ যখন এই ওলীর শরনাপন্ন হয়েছে তখন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার মায়ার বন্ধুর উছিলায় উত্তম কল্যান দান করেছেন। এভাবে দেখা যায় উনার ওফাতের আগ পর্যন্ত মানুষের কল্যানের জন্য কাজ করে গেছেন। তাইতো আজ পর্যন্ত মানুষ এই মহান ওলীকে ভুলতে পারেনি। ১৩৬০ বাংলা ২৮ ফাল্গুনে হযরত মফিজ উদ্দিন শাহ (রহ) ওফাত হয়। প্রতি বছর ২৮ ফাল্গুন হযরত মফিজ উদ্দিন শাহ (রহ:) এর “উরস মোবারক” অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ ফাল্গুন আসলে দেখা যায় হযরত মফিজ উদ্দিন শাহ (রহ:) এর হাজার হাজার ভক্ত,আশেকান ও আউলিয়া প্রেমিকের ঢল নামে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে একজন ওলী অনেক কষ্ট, রিয়াজাত, মোরাকাবা, মোশাহাদার মাধ্যমে মহান আল্লাহতালার নৈকট্য লাভ করেছিলেন আর উনার ওফাতের তারিখে বা উরসের দিনে কিছু বদ লোকের স্বার্থের কারনে এখন শরীয়ত বিরোধী কার্যকলাপ হয়। মহিলা পুরুষ একসাথে গানের আসর বসায় নাচানাচি হয়,জুয়া আর গাঞ্জার আসর বসে। যে দিন মাজারে মানুষ পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করবে,জিকির,মিলাদ ক্বিয়াম, ওলী সম্পর্কে আলোচনা বা ওয়াজ করবে, জিয়ারত ও দোয়া করবে। এই মহান ওলীর রুহানি ফয়েজ বরকত হাসিল করবে, সেই দিন কিছু বদ লোক তাদের স্বার্থ ও পেট রক্ষা করতে অসামাজিক শরীয়ত বিরোধী কার্যকলাপের পসরা সাজায়। ধিক ও লানত তাদের প্রতি, যারা আল্লাহর ওলীর মাজার কে ব্যবসার জন্য বেছে নেয়। তাদের মধ্যে আর আউলিয়া বিদ্বেষীদের মধ্যে আমি কোন পার্থক্য দেখি না। আর আউলিয়া বিদ্বেষী যারা আছে তাদের উদ্দেশ্যে বলব– আল্লাহর অলীগন সাধারন মানুষের মত নন, ইন্তিকালের মাধ্যমে সাধারন মানুষ যেভাবে ধংসপ্রাপ্ত হয় আল্লাহর অলীগন তেমন নন। বরং ইন্তিকালের পরও তারা সাধারন মানুষের উপকার ও কল্যান সাধনে সক্ষম। হাদীস শরীফে আল্লাহর পুণ্যাত্মা বান্দাদের যথার্থ মর্যাদা ঘোষিত হয়েছেঃ- হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,আল্লাহ তা’আলা বর্ণনা করেন, যে লোক আমার অলীর সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করে,আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিই। ফরজ (ইবাদত) আদায় করার দ্বারা বান্দা যতটুকু আমার নৈকট্য অর্জন করতে পারে-তা আর কোন কিছু দ্বারা পারে না। আমার বান্দা নফল ইবাদাতসমূহ আদায়ের মাধ্যমে আমার নৈকট্য অর্জন করে থাকে। এমনকি এক পর্যায়ে আমি তাকে আমার প্রিয়পাত্র করে নেই। যখন তাকে প্রিয়পাত্র করি তখন আমি তার শ্রবন শক্তি হয়ে যাই যা দ্বারা সে শুনে। আমি তার দৃষ্টিশক্তি হয়ে যাই যা দ্বারা সে দেখে। তার হাত হয়ে যাই যার মাধ্যমে সে ধরে। তার পা হয়ে যাই যা দ্বারা সে চলে। (সূত্র:সহীহ বোখারী,কিতাবুর রিকাক হাদীস:৬৫০২)
তাই আগামী ২৮ ফাল্গুন এই মহান ওলীর ‘উরস মোবারক’ শরীয়ত সম্মত ভাবে সফল করতে প্রত্যেক কে বিশেষ ভাবে দাওয়াত করা যাচ্ছে। হযরত মফিজ উদ্দিন শাহ (রহ:) এর শানে দুই লাইন কছিদা লিখে আমার লেখা শেষ করলাম…
“মেশকাতুল মুহেব্বীন হযরত মফিজ শাহ
আহলে তাসাররফ আপকি বেলায়ত পে লাখো সালাম”

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট