1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
বাঁশখালীতে নবাগত এসিল্যান্ডের সাথে সাধারণ ছাত্র-জনতার সাক্ষাৎ ও ভূমি অফিসে অনিয়ম ও হয়রানি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি কুয়ানতানে মালয়েশিয়ান যুদ্ধবিমান দু,র্ঘ,টনা, দুই সেনা কর্মকর্তা নিরাপদ চিরিরবন্দর উপজেলা ক্রীয়া সংস্কার,এডহক কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা । নীলফামারির ডোমারে ৫০ বোতল ফেনসিডিল সহ একজন আ,ট ক ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে আপত্তির মুখে বাস ভাড়া বাড়ল ৫ টাকা । লফস’র মশারি বিতরণ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে প্রভাতের গ্রাম পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া থেকে পথযাত্রা শুরু করেছেন আল-আমিন মানবিক সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পরিচালক

পাবনায় সুদের ফাঁদ: নিঃস্ব অসংখ্য পরিবার, প্রতারকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

আব্দুল্লাহ আল মোমিন
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

আব্দুল্লাহ আল মোমিন

পাবনার ঈশ্বরদীর কালিকাপুর এলাকায় ভয়াবহ সুদের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে অসংখ্য পরিবার। মাত্র এক লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েও পরিশোধ করতে হয়েছে ১০ গুণের বেশি! সুদের অমানবিক চাপ সহ্য করেও মুক্তি মেলেনি, উল্টো জোরপূর্বক স্ট্যাম্প ও চেকে স্বাক্ষর নিয়ে মামলার শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। এই চক্রের মূল হোতা হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে রবিউল ইসলাম (৫০) ও ফেরদৌসী (৫০) নামের দুই সুদ কারবারিকে।

ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি জানান, “২০১৮ সালে পারিবারিক প্রয়োজনে রবিউলের কাছ থেকে মাসিক ১০ হাজার টাকা সুদে ১ লাখ টাকা ঋণ নেই। নিয়মিত সুদ পরিশোধ করলেও করোনাকালে কিস্তি বন্ধ হয়ে গেলে সুদের পরিমাণ চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা! বাধ্য হয়ে ব্র্যাক ব্যাংক ও সাজেদা ফাউন্ডেশন থেকে ঋণ নিয়ে টাকা শোধ করি। এমনকি ৬ ভরি স্বর্ণও দিতে হয়েছে। তবুও ২০২০ সালে সে আমার ও আমার ছেলের নামে মামলা করে হয়রানি করছে।”

এই প্রতারণার জাল থেকে মুক্তি পেতে ফেরদৌসীর কাছ থেকেও ৯০ হাজার টাকা ঋণ নিতে হয়। কিন্তু টাকা ফেরত দিতে সামান্য দেরি হতেই জোরপূর্বক চেকে স্বাক্ষর নেয়া হয় এবং পরবর্তীতে বড় অঙ্কের অর্থ উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়।

“আমার পরিবার আজ নিঃস্ব। সংসার ভাঙার পথে। সুদ কারবারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই!”—অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলছিলেন এক ভুক্তভোগী।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রবিউল ও ফেরদৌসী দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তাদের কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন আরও অনেকে। যেমন, কালিকাপুর এলাকার রওশন খন্দকারের ছেলে আপিল (৫০)। তিনি রবিউলের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সুদ পরিশোধ করতে গিয়ে দুইবার জমি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন।

এমন প্রতারণার শিকার হয়েছেন আরও অনেকে। কিন্তু প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থাকায় কেউই মুখ খুলতে সাহস পান না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, “রবিউল ও ফেরদৌসীর মতো সুদ কারবারিদের বিচার না হলে আরও বহু পরিবার নিঃশেষ হয়ে যাবে। তাই প্রশাসনের কাছে আমাদের জোরালো দাবি—এই প্রতারকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে!”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রবিউল ও ফেরদৌসীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।

সুদ কারবারির এমন ভয়াবহ প্রতারণা বন্ধে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। নইলে আরও বহু পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাবে এই সুদের জালে!

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট