ওহে কুহেলি,
অনন্যা,
অপুর্ব সুন্দরী!
একটিবার স্পর্শ মাখাতে দেও
তোমার ঠোঁটের নিচে
নির্জন ওই তিলে।
শুধু একটিবার ছোঁয়ার আশায়
নির্ঘুম রাত কাটিয়ে দেয়
স্বর্গ ফেরত, ফেরারি এই কবি।
শুধু একটিবার স্পর্শের আশায়
ধুধু করে কবির আনমনা চোখ
বিস্তীর্ণ মরুভূমি প্রচন্ড গর্জনে
হয়ে ওঠে চিরসবুজ আমাজন।
ধ্বংস করে পৃথিবীর পরদে পরদে
জঞ্জাল হয়ে থাকা কাঁটাতারের বেড়া।
খুলে দেয় এই দুনিয়ার দরজা
ভেঙে ফেলে যত পাখির খাঁচা
পরম নীলিমায় মুক্ত সবে
পৃথিবীর সমস্ত নীল হয়ে একিভূত
এ যেন বৈকাল হ্রদের ন্যায় প্রশান্তি
শুধু একটিবার স্পর্শ পেলে ওই তিলে
পেয়ে যেত কবি হৃদয়ের গোপন আলো
সাত সমুদ্র তের নদীর ওপারে
জেগে ওঠা নির্জন দ্বীপের দেখা
আলোকবর্ষ দূরে থাকা সুখ তারা
পৃথিবীর যত অসহায় মুগ্ধতা
মুহুর্তেই পাওয়া হয়ে যেত সব
বন্দরে ফেরা ফেরারি জাহাজের মতো
পথে পথে ফেলে আসা স্বপ্ন যত
পূর্ণতার পাখায় ভর করে
রঙিন আকাশে উড়তো প্রজাপতির মতো
ওহে কুহেলি,
অনন্যা,
অপূর্ব সুন্দরী!
তুমি কি জানো না
তোমার ওষ্ঠের নিচে ওই আনমনা তিল
বারবার করে দেয় কবিতার ছন্দ অমিল
আর কত! এবার অন্তত
একটিবার স্পর্শ মাখিয়ে পরম যত্নে
অনন্তকালের মতো শান্ত করে দাও কবি কে।