শাহানজিদ উদ্দিন সোহান, ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাসের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি গাড়ি নিয়মিত ব্যবহার করছেন তার ব্যাংকার স্বামী। প্রতিদিন সকাল-বিকেলে অফিসে যাতায়াতের কাজে এ গাড়ি ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী এ ধরনের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও দীর্ঘদিন ধরে এ অনিয়ম চলছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইউএনও’র সরকারি পাজেরো স্পোর্টস মডেলের গাড়িটি প্রতিদিন সকালে শৈলকুপা শহর থেকে তার স্বামীকে নিয়ে যায় গাড়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত, যা প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে। এরপর তাকে নামিয়ে দিয়ে গাড়িটি ফিরে আসে। আবার সন্ধ্যায় ওই একই স্থানে গিয়ে অপেক্ষা করে তাকে তুলে বাসায় পৌঁছে দেয়। এভাবে প্রতিদিন প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করছে ইউএনও’র সরকারি গাড়ি শুধুমাত্র স্বামীর যাতায়াতের জন্য।
সম্প্রতি গণমাধ্যম কর্মীদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে এ দৃশ্য। ভিডিওতে দেখা যায়, গাড়িগঞ্জ এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িটি এক ব্যক্তির ইশারায় এগিয়ে যায়। সাংবাদিকরা গাড়ির ভেতরে থাকা ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে ইউএনও’র স্বামী পরিচয় দেন। পরে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে গাড়ির ড্রাইভার ও ইউএনও’র স্বামী দাবি করেন, তারা কেবল পাম্পে তেল নিতে এসেছেন। নিয়মিত ব্যবহার করার বিষয়টি তারা অস্বীকার করেন।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, ইউএনও’র স্বামী প্রতিদিনই সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে অফিসে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে ইউএনও স্নিগ্ধা দাস নিজেই সাংবাদিকদের ফোন করে উল্টো জেরা করেন কেন তার অনুমতি ছাড়া ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। এমনকি সংবাদ প্রকাশ না করতে বিভিন্ন মহল থেকে চাপও আসে।
এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। সচেতন মহল বলছে, জনগণের করের টাকায় চালিত সরকারি সম্পদ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা সরকারি নীতিমালা পরিপন্থী। দ্রুত এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।