1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ১২:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
শুকনো মৌসুমেও রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নে তিস্তার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে বড়াল নদীর ক্ষতি না করে সংরক্ষণে জোর দিতে হবে: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সনদ ব্যতীত ডাক্তার পদবি ব্যবহার করায় ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিন চৌধুরীর জলঢাকায় আগমন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী তরুণ দলের আত্মপ্রকাশ  উপজেলা প্রেসক্লাব নাগেশ্বরী এর নতুন কমিটি গঠন  যশোরে ‘কুড়িয়ে পাওয়া’ বোমা বিস্ফোরণে আ,হ,ত ৩ শিশুর একজনের মৃ,ত্যু বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নি,হ,ত  ভুরুঙ্গামারীতে উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামী ফাউন্ডেশন কমপ্লেক্স ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন পাবনার আটঘরিয়ায় ড্রামট্রাক মটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নি,হ,ত-১ মেহেরপুর জেলা কারাগারের অভ্যন্তরে বিশুদ্ধ পানিসহ বাদ্যযন্ত্র বিতরণ

ইটভাটার পুরনো ইট ফেলে নদী দখল,অবাধে ব্যবহার হচ্ছে জ্বালানী কাঠ,নষ্ট হচ্ছে কৃষি জমি।

রিপন মিয়া সরকার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

রিপন মিয়া সরকার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা

ইটভাটার পুরোনো ইট ও মাটি ফেলে মেঘনা নদী দখলের অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে উপজেলার অনুমোদিত ৫টি ইটভাটার প্রায় সবগুলোতেই ফসলি জমি বিনষ্ট করে নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছে, ইটভাটায় পুড়ানো হচ্ছে জ্বালানী কাঠ।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দশানী গ্রামের খেয়াঘাট এলাকার এম এইচ কে ইটভাটার মালিক সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আইয়ুবপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর কয়েক বছর ধরে নদীটি ভরাট করছে। এ কারণে নদী সংকুচিত হয়ে নৌ-চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। কয়েক বছর ধরে এই ভরাট কাজ চললেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় খোব প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দশানী গ্রামের পশ্চিম পাশ দিয়ে এক সময় মেঘনা নদীর প্রবাহ ছিল। কালের বিবর্তনে গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে নদীটি অন্যদিকে চলে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় মেঘনার গতিপথ সংকুচিত হলেও দশানী এলাকায় প্রায় ৪০০ ফুট লম্বা ও ২০০ ফিট চওড়া রয়ে গেছে। এই নদী দিয়ে উপজেলা সদরের সঙ্গে নদী পথে দেশের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। প্রতিদিন শত শত নৌযান চলাচল করছে।

সরেজমিন (১৮ জানুয়ারি) দশানী গ্রামের পশ্চিম-উত্তর প্রান্তে খেয়াঘাট,সংযোগ ব্রীজ ও বাজার -সংলগ্ন ইটভাটা এলাকায় দেখা গেছে, এম এইচ কে এই ভাটা-সংলগ্ন মেঘনা নদীর প্রায় কয়েক বিঘা নিচু জায়গায় পুরোনো ইট ও মাটি ফেলে ভরাট করা হয়েছে। ভরাট করা জায়গায় বিক্রির জন্য নতুন ইট রাখা হয়েছে। কয়েকটি নৌকা থেকে মাটি তুলে এখানে রাখা হচ্ছে।

দশানী ও শিবপুর গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, ‘হুমায়ুন চেয়ারম্যান ইট-মাটি ফালাইয়া গাং (নদী) ভরাট করে ফেলছে। পাঁচ- ছয় বছর ধরে নদীটা ভরাট করতেছে। তার বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ কিছু বলতে চায় না।

এম এইচ কে ইটভাটার স্বত্বাধিকারী হুমায়ুন কবির জানান, নদী দখল করেছেন বলে তাঁকে একবার এক লাখ টাকা জরিমানা করেছিলেন ইউএনও। এগুলো তাঁর নিজের জমি, তাই ইট ও মাটি রাখছেন। তিনি নদী দখল করেননি।

আপনার নিজের জমিন কতোটুকু, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি অসংলগ্ন ভাবে একবার বলেন, ১৫ কানি (১ কানি=৩০ শতক), একবার বলেন ১২ কানি,শেষবার বলেন ১০ কানি জমি রয়েছে”।

অন্যদিকে,উপজেলার তেজখালী ইউনিয়নের আকানগর গ্রামে কে,বি,সি ইটভাটায় দেখা গেছে বিপুল পরিমান জ্বালানি কাঠ।

ভাটার মালিক পক্ষ ফসলী জমি দখল করে নিয়মবহির্ভূত ভাবে ইটভাটা দিয়ে কৃষি জমি বিনষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে।

কৃষক সফিক মিয়ার ভাষ্য, যেভাবে ইট, মাটি ফেলে ক্ষেত নষ্ট করতাছে, কয়দিন পরে আমাদের এলাকায় ক্ষেতে চাষ করার জায়গা পাব না।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, আমি সবগুলো ইটভাটার বিষয় খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।আজেকর বিষয়টি দেখতে নায়েবকে পাঠানো হবে। তাঁকে নদী ভরাট বন্ধ করতে নিষেধ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট