এস এম আলমগীর হোসাইন স্টাফ রিপোর্টার,ফরিদপুর
ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর শহর পর্যন্ত মাত্র ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়কটি এখন চলাচলকারীদের জন্য আতঙ্কের নাম। প্রতিদিন এই রাস্তায় ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রাণহানি হয়েছে অসংখ্য, আহত হয়েছে আরও বহু মানুষ। তারপরও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কার্যকর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।
যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, পিকআপভ্যানসহ সব ধরনের যানবাহনের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে। গর্ত আর ভাঙা অংশে ভরা সড়কে স্বাভাবিক গতিতে কোনো যান চলাচল সম্ভব নয়। অনেক সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে যায় মাত্র ২০ কিলোমিটার অতিক্রম করতে। চালকরা বলেন, এই সড়কে গাড়ির গতি ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারের বেশি তোলা যায় না। ফলে ভোগান্তির শেষ নেই যাত্রীদের।
এই রাস্তাটি ঢাকা, ভাঙ্গা, ফরিদপুরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতিদিন হাজারো যাত্রী এই রাস্তায় চলাচল করেন। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষার্থী, রোগী পরিবহন—সব ক্ষেত্রেই এই ভাঙা সড়ক যেন এক অচলাবস্থা তৈরি করেছে।
দুর্ঘটনা প্রতিদিন ঘটলেও মেরামত বা সংস্কারের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসন একের পর এক আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এ অবস্থায় ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
এলাকাবাসীর দাবি:
১. জরুরি ভিত্তিতে পুরো রাস্তা সংস্কার করা।
২. মহাসড়কে আলোকসজ্জা ও সাইনবোর্ড বসানো।
৩. দুর্ঘটনা কমাতে ট্রাফিক পুলিশ ও নিয়মিত মনিটরিং বাড়ানো।
৪. দীর্ঘমেয়াদি টেকসই সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া।
মানুষের প্রাণ বাঁচাতে এবং স্বাভাবিক যাতায়াত নিশ্চিত করতে প্রশাসনের জরুরি পদক্ষেপ এখন সময়ের দাবি। ভাঙ্গা-ফরিদপুর মহাসড়ক দ্রুত সংস্কার না হলে এই মৃত্যু ফাঁদ আরও ভয়ঙ্কর রূপ নেবে।