।। সাংবাদিক ওয়াহেদ-উজ-জামানের মৃত্যু: সত্য উদঘাটনের দাবি।।

এস এম ফয়সাল রহমান, স্টাফ রিপোর্টার খুলনা।

রূপসা সেতুর নিচ থেকে সংবাদ প্রতিদিনের সিনিয়র স্টাফ রির্পোটার ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলু’র লাশ উদ্ধারই নয় উদ্ধার হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র। আর এই পরিচয় পত্রের সুত্র ধরেই পরিচয় নিশ্চিত করেছেন নৌ ফাড়ির ইনচার্জ।

রূপসা সেতুর ২ নম্বর পিলারের বেজমেন্ট থেকে লাশ উদ্ধার করলো, তাহলে কি সাংবাদিক ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলুকে খুব ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাকে খুন করা হয়েছে। সাংবাদিক বুলু। আত্মহত্যা বাড়িতে না করে কেন তিনি রূপসা সেতুতে গেলেন আত্মহত্যা করতে?

প্রায় ৩০বছরের বর্নিল সাংবাদিকতা জীবনে ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলুর সাথে কারো কখনো মন কষাকষি হয়েছে বলে বলতে পারেনি সহকর্মীরা। অমায়িক ব্যবহার ও শান্ত চরিত্রের অধিকারী ছিলেন তিনি,পেশাগত জীবনে সাংবাদিক বুলু আজকের কাগজ, চ্যানেল ওয়ান, ভোরের কাগজ, বঙ্গবাণী, দৈনিক প্রবাহ, সংবাদ প্রতিদিনসহ গত প্রায় তিন দশক ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে কাজ করেছেন। সাংবাদিক বুলু খুলনা প্রেসক্লাব ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সদস্য ছিলেন। এ ধরণের একটি মানুষের পক্ষে আত্মহত্যা করা কি আদৌ সম্ভব?

সাংবাদিক বুলু নাই নিয়ে মোটাদাগে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, যে মানুষটি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মরবেন তিনি নিশ্চয়ই পিলারের বেজমেন্টের ওপর ঝাঁপ দিবেন না; যদি ঝাপই দিবেন তার চোখের চশমাটা হাতে মুষ্টিবন্ধ ছিলো কেন? তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ফোন কোথায় এখন?

আমরা জানি সাংবাদিকতার পথ সহজ নয়,তারপরও শুধুমাত্র কলম দিয়ে যুদ্ধ করতে হয় আমাদের অনেক অস্ত্রওয়ালোদের বিরুদ্ধে। সত্য প্রকাশ, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলাই আমাদের দায়িত্ব, সেই দায় পালন করতেই কেউ যদি প্রাণ হারান, তা শুধু ন্যায়বিচারের অভাবে নয়, সমগ্র সমাজের জন্যও শোকজনক।

এ ঘটনায় স্পষ্টতই স্বচ্ছ তদন্তের প্রয়োজন, আমরা চাই সাংবাদিক বুলু ভাই আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে জানতে। যদি হত্যাকান্ডের শিকার হন তবে পেছনে কারা দায়ী-সেটি খুঁজে বের করা হোক। কোনো ধরনের দমন বা চাপের মুখে সত্যকে আড়াল করা ঠিক নয়, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ন্যায়বিচার দেওয়া এবং জনমনে বিশ্বাস ফিরে আনা-এই বিষয়গুলোই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।