মাদারীপুরে পাট উৎপাদনে সাফল্য, কিন্তু ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কায় চাষীরা
এস এম আলমগীর হুসাইন স্টাফ রিপোর্টার
মাদারীপুর
মাদারীপুর জেলায় এ বছর পাটের ভালো উৎপাদন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং জমিতে যথেষ্ট বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা আগের বছরের তুলনায় বেশি ফলন তুলতে পেরেছেন। অনেক এলাকায় প্রতি বিঘায় ১০-১২ মণের মতো পাট উঠেছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
তবে ফলন ভালো হলেও বাজারে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তারা। বর্তমানে বাজারে প্রতিমণ কাঁচা পাট বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৪০০ টাকার মধ্যে। অথচ চাষ, সার, বীজ, শ্রমিকের মজুরি ও প্রক্রিয়াজাতকরণের খরচ যোগ করলে প্রতিমণে কমপক্ষে ৪৫০০-৫০০০ টাকা দরকার বলে দাবি করছেন কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল হালিম হাওলাদার বলেন, “এবার পাট বেশ ভালো হয়েছে। কিন্তু বাজারে যদি দাম না পাই, তাহলে লাভ তো দূরের কথা, খরচই উঠবে না।” একই অভিযোগ করেছেন শিবচরের কৃষক সেলিম মোল্লাও। তার মতে, সরকারিভাবে পাট ক্রয়ের উদ্যোগ না নিলে ব্যবসায়ীরা দামের উপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবে।
জেলার কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বছর মাদারীপুরে প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। তবে বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে কৃষি বিভাগের হাতে কোনো ক্ষমতা না থাকায় তারা কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে পারছেন না।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত ও চীনের বাজারে রপ্তানির চাহিদা কিছুটা কম থাকায় দাম চাপা রয়েছে। তবে চাহিদা বাড়লে দাম বাড়তে পারে।
কৃষকরা মনে করছেন, সরকার যদি দ্রুত ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেয়, যেমন—সরকারি গুদামে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে পাট ক্রয়, তাহলে তারা লাভবান হবেন। না হলে এ উৎপাদনই তাদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।