ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে আপত্তির মুখে বাস ভাড়া বাড়ল ৫ টাকা ।
মোঃ মানিক মিয়া, উপজেলা প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ।
ঢাকা – নারায়ণগঞ্জ রুটের বাস ভাড়া ৫০ টাকা থেকে ৫ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার (২০ আগষ্ট)বিকাল ৩ টা থেকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে মালিক, শ্রমিক ও অন্যান্য পক্ষের তর্ক -বিতর্কের পর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়।
সভায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, মালিক ও শ্রমিক পক্ষ একটি অভিযোগ তুলেছে যে, গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ব্যক্তি বর্গ ও বিভিন্ন জনকে চাঁদা দিতে হত। সেই আলোচনার ভিত্তিতে ৫০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল। এখন যেহেতু চাঁদার বিষয়টি নেই, সেই ছাড় মালিকদের দিতে হবে।
প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু সাঈদ মাসুদ বলেন, বাস মালিকরা কখনো চাঁদা নেয়নি। মিডিয়াতে কাজ করার কারণে আমরা বিষয়গুলো খুঁজি। মালিক সমিতি গুলো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সরকার পরিবর্তনের পর ও এটি প্রভাবিত। বর্তমানে কেউ চাঁদা দিচ্ছেনা,অথচ ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে।
জেলা বাসদ কমিটির সদস্য সচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব বলেন, এসি বাসের ভাড়া ৭০ টাকা এবং নন এসি ৫০ টাকা ভাড়া নির্ধারিত। মালিকরা বিভিন্ন সিট সংখ্যার বাস চালাচ্ছে। অধিকাংশ সময় সিট পূর্ণ হয়, অনেক সময় ইঞ্জিনের ওপর ও যাত্রী বসে ।বাসে সিট সংখ্যা বাড়ানো বা কমানো , শুধুমাত্র মালিক পক্ষের ইচ্ছায় হওয়া উচিত নয়।
বাস মালিক সমিতির সভাপতি রওশন আলী সরকার বলেন, আমার গাড়িতে ৫২ সিট থাকলেও, যাত্রীদের সুবিধার জন্য ৪৫ সিট হিসাব করেছি।বিআরটি অনুযায়ী সঠিক ভাড়া ৫১ সিটের হিসেব দেওয়া হয়েছে।
রফিউর রাব্বি উল্লেখ করেন, গতবারের আলোচনায় বলা হয়েছিল, চাঁদা দেওয়া বন্ধ করলে বাস ভাড়া বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না। তবে এখন চাঁদা দেওয়ার প্রয়োজন নেই, সুতরাং ভাড়া কমানো উচিত।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, বাস ভাড়া স্থানীয় মানুষের সুবিধার দিক বিবেচনা করে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।যারা চড়বে, ছাড়াও এখানকার মানুষ ।
উভয়পক্ষের স্বার্থ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা – নারায়ণগঞ্জ রুটের বাস ভাড়া ৫ টাকা কমিয়ে ৫০ টাকা করা হয়েছিল।