পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চাক্তাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকাবস্থায় প্রধান শিক্ষক আবু জাফর সিদ্দিক বুলবুল অবৈধভাবে বিভিন্ন জাতের ২৫টি গাছ কেটে বিক্রি, কাজ না করে স্লীপ ও ক্ষুদ্র মেরামত প্রকল্পের অর্থ এবং ভোটকেন্দ্র মেরামতের ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম দূনর্ীতি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেন এলাকাবাসি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেন এবং অনিয়মের সত্যতা পাওয়ায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন প্রশাসন। পরবতর্ীতে ওই শিক্ষককে অন্য বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়েছে।
ঘটনার দিন পল্লি চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম সোমবার রৌমারী হাটে ৩টি গরু বিক্রি করে বিকাল সাড়ে ৫ টায় তার নিজ ঔষুধের দোকানের জন্য ঔষুধ কিনতে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে পানবাজার নিজ বাড়ির সামনে প্রধান শিক্ষক আবু জাফর তার পথগতিরোধ করেন। সাময়িক বরখাস্ত, বদলী ও অর্থের ক্ষতি হওয়ায় প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকেন এবং পিটিয়ে আহত করেন।
তাছাড়াও ২ লাখ টাকা দাবী করেন শিক্ষক। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আবারো আমিনুল ইসলামের শরীরে কিলঘুষি, লাথি মারে ও সজোরে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এঘটনার বিষয় আমিনুলের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন জানতে পারলে দ্রুত চলে আসে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। পরে আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে রৌমারী থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন।