মুক্তি পাওয়া কারাবন্দিরা জানান- উদ্ধার হওয়া মাদক গুলো বেশির ভাগ কারারক্ষীদের মাধ্যমে জেলের ভিতরে ঢুকছে এবং কারা কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে কারাগারের ভিতরে চলে মাদকের ব্যাবসা ও সেবন। মাঝে মাঝে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেল কর্তৃপক্ষ ওয়ার্ডে তল্লাশি চালিয়ে মাদক উদ্ধার করলেও এর সাথে জড়িত কারারক্ষী বা কারাবন্ধিদের চিহ্নিত করতে পারছে না তারা।
মাদক রাখা বা সেবনের দায়ে কারাবন্ধিদের ডান্ডাবেরী বা সাময়িক কোনো শাস্তি নিশ্চিত হলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছে কারাগারে মাদক প্রবেশের সাথে জড়িতরা। অন্যদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকসহ আটক হওয়া কারাবন্দিরা বলছে না ইয়াবা গাজা প্রবেশের সাথে জড়িতদের নাম। যার ফলে কারাগার এখন মাদকের আখড়ায় পরিণত হচ্ছে, জেলা কারাগারের নিয়ম অনুযায়ী দুজন কারারক্ষী কোনো প্রকার চেক ছাড়াই কারাগারে সিভিল ও পোষাকে দিনে ও রাতে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে, বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারেও রয়েছে এমন দুজন কারারক্ষী এছাড়া নিয়মিত ডিউটির জন্য ও কারারক্ষী ভিতরে যাওয়া করে থাকেন।
রবিবার (১৭) আগস্ট জেলা খানার ভিতরে পদ্মা ভবন এক ও দুই মাদক উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ৩২ পিচ ইয়াবা ও আঠা উদ্ধার করেছে জেল কর্তৃপক্ষ এর আগে গত (৩) আগস্ট এমন একটি অভিযান চালিয়ে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে জেলার তানিয়া জামানের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি ইয়াবা গাজা ও আঠা উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করলেও মাদক উদ্ধারের পরে এক হাজতিকে আঘাত ও সেলের ভিতরে রাখার কারণে লিখিত ভাবে জবাবদিহিতার বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
কারাগারের ভিতরে মাদক রাখা এবং সেবনের দায়ে শাস্তি নিশ্চিত করা হয় বলে জানান জেল সুপার শওকত হোসেন মিয়া তবে জেলারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলতে চান এছাড়া পদ্মা এক ও দুই থেকে মাদক উদ্ধারের বিষয়টা নিয়ে না জানার কারণে কোনো তথ্য দিতে পারেননি তিনি।পরে জানাবেন বলে জানান।