নিয়ামতপুরে রাতের আঁধারে দোকান ঘর ভা,ঙ,চুর লুটপাটের অ,ভি,যো,গ
এম,এ,মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার,নিয়ামতপুর,(নওগাঁ)
নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলায় দামপুরা বাজারে রাতের আঁধারে দোকানঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে দামপুরার মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন সরকার ও অসীম সরকার এর বিরুদ্ধে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দাম পুরার মৌজার দামপুরা বাজারে জমির মালিকানা কে কেন্দ্র করে ২৬ টি দোকানের মধ্যে কয়েকটি দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, দাম্পুরা মৌজায় সাবেক দাগ ১৬২২ হাল দাগ ২৫২১ জমির পরিমাণ ৮৬ শতাংশ খতিয়ান নং ১ উক্ত খতিয়ানভুক্ত সম্পত্তিতে পশ্চিম অংশে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ও পূর্বাংশে একটি বাজার রয়েছে, এবং উত্তর অংশে ভূমি অফিস রয়েছে, প্রতি বৃহস্পতিবার এই দাম্পড়ায় বাজারে সাপ্তাহিক হাট বসে, এস এ এবং আর এস এ যাদের নামে ভুলক্রমে রেকর্ড হয়েছে তাদের একাংশ ভারতে বসবাস করে এবং অপর অংশটি বাংলাদেশে রয়েছে যারা বাংলাদেশে রয়েছে তারা এই জমি সংক্রান্ত কোনো দাবিদাওয়া করে নাই। ভূমি অফিসের প্রতিবেদন মূলে, উক্ত সম্পত্তি খাস হওয়ার যোগ্য। বর্তমানে খাস হওয়ার পক্ষে, একটি মামলা চলমান রয়েছে, যার হাইকোর্টে স্ট্যাটাস কো ও জজ কোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সৌরজমিনে গিয়ে দেখা যায় আদিনুল ইসলাম দামপুরা বাজারের একটি ফার্মেসি সহ ২৬ টি দোকান ছিল সেই ফার্মেসী সহ ২৬ দোকান ঘর উচ্ছেদের জন্য দীর্ঘদিন হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল, পরবর্তীতে আদিনুল ইসলাম নিয়ামতপুর থানায় ২৭/ ০৫/ ২০২৫ ইং তার নিরাপত্তার জন্য একটি লিখিত অভিযোগ করেন অভিযোগে আদিনুল ইসলাম উল্লেখ করেন যে আমি দীর্ঘদিন ধরে দামপুরা বাজারে আমি একটি ফার্মেসী দিয়ে দীর্ঘদিন আমার সংসারের আয় রোজগারের একমাত্র সম্বল এই ফার্মেসী, কিন্তু কিছুদিন ধরেই স্বৈরাচার পতনের পরই হঠাৎ আমাদের গ্রামের আজিম উদ্দিন সরকার ও অসীম এই দোকান ভেঙে ফেলার এবং আমাকে উচ্ছেদ করার নানান হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল, এই সম্পত্তি নিয়ে ইতিমধ্যে আদালতে একটি মামলাও রয়েছে , যা এখনো চলমান। কিন্তু হঠাৎ আজিম উদ্দিন ও অসীম সহ অজ্ঞাত নামা কতিপয় লোক রাতের অন্ধকারে ১০/০৮/ ২০২৫ ইং রবিবার রাত আনুমানিক দুই ঘটিকায় আমার দোকান ঘর ভাঙচুর এবং লুটপাট করে নিয়ে যায় যার ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক এক লক্ষ আশি হাজার টাকা এমন তো অবস্থায় আমি খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এখনো আসামিগণ আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এমন তো অবস্থায় আমি প্রশাসনের কাছে এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি,
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় সেখানে দীর্ঘদিন ধরে একটি মাটির মার্কেট ছিল সেখানে কয়েকটি দোকান ছিল সেই দোকানগুলি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে স্থানীয় লোকজন জানান রাতের অন্ধকারে এটা ভেঙে ফেলা হয়েছে এতে কয়েকটি পরিবার তাদের রোজগারের একমাত্র সম্বল হারিয়েছে,
তবে ঘটনাটি অস্বীকার করেছে আজিম উদ্দিন তিনি সাংবাদিকদের জানান এই জায়গাটি আমার ক্রয় কি তো সম্পত্তি তারা নিজেরাই আমার জায়গা ছেড়ে দিয়ে তাদের মালামাল নিয়ে চলে গিয়েছে তাদের অভিযোগটি সত্য নয়
এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান হাবিব কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা অভিযোগ পেয়েছি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক আইন আনুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এলাকার স্থানীয় নেত্রী বর্গ মনে করেন দ্রুত ঘটনাটি সমাধান করলে এলাকার মধ্যে শান্তি বিরাজ করবে অন্যথায় এরকম তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের কিছু ঘটতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।