রিয়াজুল ইসলাম,
আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) পাকিস্তানজুড়ে পালিত হচ্ছে দেশটির ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস। জাতীয় পতাকা উড়ানো, রঙিন সাজসজ্জা, কুচকাওয়াজ ও নানান আয়োজনে মুখর ছিল গোটা দেশ। তবে করাচিতে এই আনন্দঘন দিনটি পরিণত হয়েছে শোকে। উল্লাসের নামে আকাশে গুলি বর্ষণের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩ জন, আহত হয়েছেন ৮৪ জনেরও বেশি মানুষ। নিহতদের মধ্যে রয়েছে মাত্র ৮ বছরের এক কন্যাশিশু। আহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু হওয়ায় এই ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও নিন্দার জন্ম দিয়েছে।
পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম গুলো জানায়, স্বাধীনতা দিবসের রাতে করাচির বিভিন্ন এলাকায় আতশবাজি ও আনন্দ মিছিলে অংশ নিতে গিয়ে বহু মানুষ আকাশে গুলি চালায়। এর মধ্যে একটি গুলি গিয়ে লাগে ৮ বছরের শিশু মারহার মাথায়। সে সময় প্রথম শ্রেণির ছাত্রী মারহা নিজ বাড়ির জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। গুলিটি মাথায় লাগার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এই মর্মান্তিক দৃশ্য পরিবারের সদস্যদের সামনে ঘটায় এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
পৃথক ঘটনায় করাচির কোরাঙ্গি এবং লিয়ারির আগরা তাজ এলাকায় আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহতদের মধ্যে অনেকে গুলির আঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আহতদের করাচির অ্যাবাসি শাহিদ হাসপাতাল, সিভিল হাসপাতাল ও জিন্নাহ পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার পরপরই করাচি পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে প্রথমে ২০ জনকে গ্রেফতার ও বেশ কিছু অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে। পরে সিন্ধু পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) গুলাম নবী মেমন জানান, এখন পর্যন্ত মোট ৫৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সমান সংখ্যক অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে গুলি চালানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইজি গুলাম নবী মেমন গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন—
> “স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য আকাশে গুলি চালানো নয়। এই ধরনের কাজ প্রাণঘাতী এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন। সবাইকে অনুরোধ করছি এ ধরনের বিপজ্জনক উদযাপন থেকে বিরত থাকতে।”
তিনি আরও জানান, এই ধরনের ঘটনায় যাদের হাত রয়েছে, তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে উৎসব, বিবাহ অনুষ্ঠান বা জাতীয় দিবসের মতো বিশেষ উপলক্ষ্যে আকাশে গুলি ছোড়ার প্রবণতা বহুদিনের। তবে প্রতিবারই এর ফলে ঘটে প্রাণহানি ও আহত হওয়ার মতো ঘটনা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বারবার নিষেধাজ্ঞা দিলেও অনেকেই এই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেন। করাচির এই মর্মান্তিক ঘটনা আবারও প্রমাণ করল—উল্লাসের গুলি আনন্দ নয়, বরং তা শোক ও কান্নার জন্ম দেয়।
রিয়াজুল ইসলাম, হাতিয়া প্রতিনিধি
আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) পাকিস্তানজুড়ে পালিত হচ্ছে দেশটির ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস। জাতীয় পতাকা উড়ানো, রঙিন সাজসজ্জা, কুচকাওয়াজ ও নানান আয়োজনে মুখর ছিল গোটা দেশ। তবে করাচিতে এই আনন্দঘন দিনটি পরিণত হয়েছে শোকে। উল্লাসের নামে আকাশে গুলি বর্ষণের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩ জন, আহত হয়েছেন ৮৪ জনেরও বেশি মানুষ। নিহতদের মধ্যে রয়েছে মাত্র ৮ বছরের এক কন্যাশিশু। আহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু হওয়ায় এই ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও নিন্দার জন্ম দিয়েছে।
পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম গুলো জানায়, স্বাধীনতা দিবসের রাতে করাচির বিভিন্ন এলাকায় আতশবাজি ও আনন্দ মিছিলে অংশ নিতে গিয়ে বহু মানুষ আকাশে গুলি চালায়। এর মধ্যে একটি গুলি গিয়ে লাগে ৮ বছরের শিশু মারহার মাথায়। সে সময় প্রথম শ্রেণির ছাত্রী মারহা নিজ বাড়ির জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। গুলিটি মাথায় লাগার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এই মর্মান্তিক দৃশ্য পরিবারের সদস্যদের সামনে ঘটায় এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
পৃথক ঘটনায় করাচির কোরাঙ্গি এবং লিয়ারির আগরা তাজ এলাকায় আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহতদের মধ্যে অনেকে গুলির আঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আহতদের করাচির অ্যাবাসি শাহিদ হাসপাতাল, সিভিল হাসপাতাল ও জিন্নাহ পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার পরপরই করাচি পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে প্রথমে ২০ জনকে গ্রেফতার ও বেশ কিছু অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে। পরে সিন্ধু পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) গুলাম নবী মেমন জানান, এখন পর্যন্ত মোট ৫৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সমান সংখ্যক অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে গুলি চালানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইজি গুলাম নবী মেমন গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন—
> “স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য আকাশে গুলি চালানো নয়। এই ধরনের কাজ প্রাণঘাতী এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন। সবাইকে অনুরোধ করছি এ ধরনের বিপজ্জনক উদযাপন থেকে বিরত থাকতে।”
তিনি আরও জানান, এই ধরনের ঘটনায় যাদের হাত রয়েছে, তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে উৎসব, বিবাহ অনুষ্ঠান বা জাতীয় দিবসের মতো বিশেষ উপলক্ষ্যে আকাশে গুলি ছোড়ার প্রবণতা বহুদিনের। তবে প্রতিবারই এর ফলে ঘটে প্রাণহানি ও আহত হওয়ার মতো ঘটনা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বারবার নিষেধাজ্ঞা দিলেও অনেকেই এই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেন। করাচির এই মর্মান্তিক ঘটনা আবারও প্রমাণ করল—উল্লাসের গুলি আনন্দ নয়, বরং তা শোক ও কান্নার জন্ম দেয়।
রিয়াজুল ইসলাম, হাতিয়া প্রতিনিধি
আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) পাকিস্তানজুড়ে পালিত হচ্ছে দেশটির ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস। জাতীয় পতাকা উড়ানো, রঙিন সাজসজ্জা, কুচকাওয়াজ ও নানান আয়োজনে মুখর ছিল গোটা দেশ। তবে করাচিতে এই আনন্দঘন দিনটি পরিণত হয়েছে শোকে। উল্লাসের নামে আকাশে গুলি বর্ষণের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩ জন, আহত হয়েছেন ৮৪ জনেরও বেশি মানুষ। নিহতদের মধ্যে রয়েছে মাত্র ৮ বছরের এক কন্যাশিশু। আহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু হওয়ায় এই ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও নিন্দার জন্ম দিয়েছে।
পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম গুলো জানায়, স্বাধীনতা দিবসের রাতে করাচির বিভিন্ন এলাকায় আতশবাজি ও আনন্দ মিছিলে অংশ নিতে গিয়ে বহু মানুষ আকাশে গুলি চালায়। এর মধ্যে একটি গুলি গিয়ে লাগে ৮ বছরের শিশু মারহার মাথায়। সে সময় প্রথম শ্রেণির ছাত্রী মারহা নিজ বাড়ির জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। গুলিটি মাথায় লাগার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এই মর্মান্তিক দৃশ্য পরিবারের সদস্যদের সামনে ঘটায় এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
পৃথক ঘটনায় করাচির কোরাঙ্গি এবং লিয়ারির আগরা তাজ এলাকায় আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহতদের মধ্যে অনেকে গুলির আঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আহতদের করাচির অ্যাবাসি শাহিদ হাসপাতাল, সিভিল হাসপাতাল ও জিন্নাহ পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার পরপরই করাচি পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে প্রথমে ২০ জনকে গ্রেফতার ও বেশ কিছু অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে। পরে সিন্ধু পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) গুলাম নবী মেমন জানান, এখন পর্যন্ত মোট ৫৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সমান সংখ্যক অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে গুলি চালানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইজি গুলাম নবী মেমন গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন—
> “স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য আকাশে গুলি চালানো নয়। এই ধরনের কাজ প্রাণঘাতী এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন। সবাইকে অনুরোধ করছি এ ধরনের বিপজ্জনক উদযাপন থেকে বিরত থাকতে।”
তিনি আরও জানান, এই ধরনের ঘটনায় যাদের হাত রয়েছে, তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে উৎসব, বিবাহ অনুষ্ঠান বা জাতীয় দিবসের মতো বিশেষ উপলক্ষ্যে আকাশে গুলি ছোড়ার প্রবণতা বহুদিনের। তবে প্রতিবারই এর ফলে ঘটে প্রাণহানি ও আহত হওয়ার মতো ঘটনা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বারবার নিষেধাজ্ঞা দিলেও অনেকেই এই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেন। করাচির এই মর্মান্তিক ঘটনা আবারও প্রমাণ করল—উল্লাসের গুলি আনন্দ নয়, বরং তা শোক ও কান্নার জন্ম দেয়।