রিয়াজুল ইসলাম,
নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপে মেঘনার ভয়াল ভাঙন প্রতিনিয়ত গ্রাস করছে ঘরবাড়ি, কৃষিজমি ও অবকাঠামো। বিশেষ করে চানন্দী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙনের ভয়াবহতা এতটাই যে, কোনো কোনোহাতিয়া পরিবারের একাধিকবার গৃহহারা হওয়ার করুণ অভিজ্ঞতা রয়েছে।
চানন্দী ইউনিয়নের প্রশাসক মুশফিকুর রহমান জানান, “যুগ যুগ ধরে হাতিয়া নদীভাঙনের শিকার হয়ে আসছে। কেউ কেউ জীবনে দুই-তিনবার ঘর হারিয়ে নতুন জায়গায় বসতি গড়েছেন। এখন অনেকেই বেড়িবাঁধের উপর কিংবা সরকারি খাস জমিতে অস্থায়ী আশ্রয়ে জীবনযাপন করছেন।”
ভাঙনের কারণে দ্বীপবাসীর দারিদ্র্যের হার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। জীবিকার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়েছে, কারণ চাষযোগ্য জমি ও মৎস্য খামার নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। স্থানীয়দের মতে, উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক পরিবার শহরমুখী হচ্ছে, কেউ কেউ আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন।