1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
মণিরামপুরে মিডল্যান্ড ব্যাংকের এজেন্ট শাখার উদ্বোধন হাইওয়ে মহাসড়কের বেহাল অবস্থা কে নিবে দায়ভার সিটি কর্পোরেশন নাকি প্রশাসন আনোয়ারায় শ্রী শ্রী লোকনাথ ধাম মন্দিরে দুর্ধর্ষ চুরি দুর্গাপুরে সরকারী জমি যর দখলের অভিযোগ নিরাপত্তাহীন সৈকতে আর প্রাণহানি নয়: পর্যটনের নামে গাফেলতির মূল্য কে দেবে:- প্রতিবাদে সোচ্চার স্বেচ্ছাসেবীরা ৯ নং রানাগাছা ইউনিয়নে লটারির মাধ্যমে ভিডব্লিউবি এর তালিকা প্রস্তুত রেলের জিএম’র সাথে পাবনা জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলের সাক্ষাত বিভিন্ন দাবী পেশ টাঙ্গাইলে মেডিক্যাল হোস্টেলে মিললো ছাত্রীর ঝু”ল”ন্ত ম”র”দে”হ সাতক্ষীরা দেবহাটায় নির্বাচনে কেন্দ্র পরিচালক ও পোলিং এজেন্টের প্রশিক্ষণ কর্মশালা মুন্সীগঞ্জে নিজের দুই মেয়েকে পুকুরে ফেলে হত্যার দায় স্বীকার করলেন মা

সান্তাহারে টাকা নিয়ে কার্ড করার অভিযোগ উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের বিরুদ্ধে।

মো: মোমিনুল ইসলাম (মোমিন) জেলা প্রতিনিধি বগুড়া। 
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

মো: মোমিনুল ইসলাম (মোমিন) জেলা প্রতিনিধি বগুড়া। 

বগুড়ার আদমদীঘিতে সরকারি বিভিন্ন ভাতার কার্ড দেওয়ার নামে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র পরিচয়দানকারী প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের মালশন ও সাহেব পাড়া এলাকায় কয়েকদিন ধরে টিসিবি, বয়স্ক, বিধবা ও মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য প্রায় দেড় শতাধিক ব্যক্তি থেকে ৩৫০ টাকা করে নিয়েছেন তারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আনদোলনের প্রতিনিধির পরিচয়ে আতিক নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। আতিক সান্তাহার মালশন গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে।

 

এ ঘটনায় অভিযুক্ত আতিকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, অভিযোগটি ভিত্তিহীন। এর সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। আদমদীঘি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ফাহাদ এই বিষয়ে অবগত রয়েছে বলে জানান তিনি।

 

জানা যায়, দেশের জনসাধারণের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করে আসছে সরকার। বিনামূল্যে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, টিসিবি সহ নানা সুবিধা দিচ্ছে সুবিধাভোগীদের। পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে প্রাপ্য লোকজনরা আবেদনের ভিত্তিতে এই সুবিধা পেয়ে থাকে। অথচ কিছু অসাধু ব্যক্তিরা অর্থের বিনিময়ে কার্ড বিক্রি করছে। ফলে সরকারি এই সুবিধা থেকেও অর্থের অভাবে অনেকেই বঞ্চিত হতে হচ্ছে। এদিকে গত কয়েকদিন আগে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিচয় দেওয়া প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে।

 

সরেজমিনে শনিবার বিকেলে উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের মালশন ও সাহেব পড়া এলাকায় সরকারি বিভিন্ন ভাতার কার্ড দেওয়ার নামে ৩৫০ টাকা নেওয়ার বিষয়ে বেশ কিছু ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। এসময় আক্ষেপ করে তারা ঘটনার বিষয়ে উল্লেখ করেন।

 

ভুক্তভোগী রেহেনা বেওয়া জানান, বিধবা ভাতার কার্ড করে দিবে বলে একদিন বাড়িতে আসে আতিক ও তার সহপাঠীরা। তারা জানায় উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরের লোকের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে। এরপর ভোটার আইডির ফটোকপি ও ছবি নিয়ে যায় এবং পরিশেষে অনলাইন আবেদন করার জন্য ৩৫০ টাকা নেয়৷

 

একই সুরে মোছাঃ খোতেজা নামের আরেক ভুক্তভোগী জানান, আমার স্বামী পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। কয়েকটা ছেলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবার সঙ্গে ভাতার কার্ডের কথা বলছিলো। এসময় সরকারি সুবিধা পেতে তাদের কথায় রাজি হই। তখন আমার স্বামীর ভোটার আইডি দেখে বলেন বয়স্ক ভাতার কার্ড করা সম্ভব। এটা এতদিনেও করেননি কেনো? পরে ভাতার কার্ড করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ৩৫০ টাকা খরচ নেন। এদিকে ৬৩ বছর বয়সি আজিবর হোসেন জানান, বর্তমানে বেকার হয়ে বাড়িতে আছি। সংসারের বিষয়টি ছেলেরা দেখছেন। এখন আগের মতো আর কোথায় কাজকর্মে যেতে পারিনা। এরআগে বয়স্ক ভাতার জন্য পৌরসভার গিয়েছিলাম বয়স কম থাকায় কার্ড করা সম্ভব হয়নি। গত পরশু হঠাৎ এলাকায় কিছু ছেলেরা আমার বাড়িতে এসে আমাকে দেখে বলেন বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দিবে। তখন তাদের কথায় আমি অত্যান্ত খুশি হয়। তারা বলে আপনি বেকার আছেন আপনার অগ্রাধিকার বেশি। তখন আমার থেকে ভোটার আইডি ও ছবি নেন। আর কিছু খরচের কথা বলে। তখন তাদের বলি টাকা কি কোথাও দিতে হবে উত্তরে তারা বলে এটা উপর মহলে খরচ লাগবে। এরপর তাদের চাহিদামতো টাকা দিয়।

 

সচেতন নাগরিক রাকিবুল ইসলাম ও স্বপন জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকায় কিছু ছেলেরা সরকারি বিভিন্ন ভাতার কার্ড করে দেওয়ার জন্য বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। মনে করলাম সরকার থেকে হয়তো তাদের কোন দায়িত্ব দিয়েছে। এরপর তাদের পরিচয় জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি পরিচয় বলেন। পরে এলাকায় খোঁজ খবর নিয়ে দেখলাম প্রায় দেড় শতাধিক লোকজনের থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ৩৫০ টাকা করে নিয়েছেন। বিষয়টি শুনে অবাক হয়। অনলাইন করতে কি ৩৫০ টাকা লাগে প্রথম শুনলাম। এরআগে স্থানীয় প্রতিনিধিরা ৬০/৭০ টাকার মধ্যে আবেদন করে দিয়েছে। অনেক অসহায় মানুষের থেকে যে ৩৫০ টাকা নেওয়া হয়েছে। যাদের ৩৫০ টাকায় একবেলা খাবার যোগান হয়। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানিয়ে প্রশাসনের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

 

উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আল ফাহাদ জানান, আতিক নামের ব্যক্তি কে আমার জানা নাই। কোন অবস্থায় সরকারি ভাতা আবেদন প্রতি ৩৫০ টাকা নেওয়া যাবেনা। আমার নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা নেওয়াটা অপরাধ। বিষয়ে আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি।

 

আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ জানান, সরকারি কোন সুবিধা পেতে কোন টাকার প্রয়োজন নাই। বিশেষ করে যেকোন ভাতা সংক্রান্ত। এ বিষয়ে খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট