লিল্লাহ বোর্ডিং নাকি স্কলারশিপ
দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হওয়া দরকার
মোহাম্মদ হানিফ ফেনী সদর প্রতিনিধি চট্টগ্রাম
লিল্লাহ বোর্ডিং নাকি স্কলারশিপ?
দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হওয়া দরকার
একজন তরুণ মেধাবী ছাত্র, জ্ঞান অর্জনের তৃষ্ণায় বিভোর। কেউ যায় অক্সফোর্ড, কেউ আল-আজহার। কেউ যায় ক্যামব্রিজ, কেউ মাদরাসায়। কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গির বৈপরীত্য কোথায় জানেন?
ইউনিভার্সিটিতে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ পেলে বলা হয়— “সে স্কলারশিপ পেয়েছে!” গর্ব, সম্মান, অভিভাবকের চোখে আনন্দের ঝিলিক।
কিন্তু মাদরাসায় কেউ ফ্রি পড়লে? বলা হয়— “সে লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে পড়ে!” করুণার সুর, দানের হিসাব!
কিন্তু মেধাবী তো মেধাবীই, সে ইউনিভার্সিটিতে পড়ুক বা মাদরাসায় পড়ুক । তাই মাদরাসাগুলোর দরজায় নতুন সাইনবোর্ড টাঙানো উচিত—
💥 “১০০% স্কলারশিপ মেধাবীদের জন্য”
💥 “অর্থনৈতিক অসচ্ছলদের জন্য প্রয়োজন-ভিত্তিক বৃত্তি”প্রদান
যে দিন ভাষা বদলাবে, সে দিন ভাবনাও বদলাবে। কেউ আর বলবে না— “হুজুররা সদকার টাকায় চলে!” বরং বলবে— “এরা স্কলারশিপ নিয়ে পড়ছে!”
[ এমনকি মাদরাসা আর প্রাইভেট কলেজ ভার্সিটির ফান্ড রাইজিং সিস্টেমও কিন্তু এক। উভয় প্রতিষ্ঠানেই কালেকশন সিস্টেম আছে। কেউ শুধু বড় বড় ডোনার থেকে কালেকশন করে, আর কেউ বড় ছোট সব ধরনের কালেকশনই করে। কিন্তু মাদ্রাসার বেলায় আসলে তখন সেটাকে চাঁদা কালেকশন বলে ছোট করা হয় ]
সম্মান আসে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনে, আর পরিবর্তন আসে সাহসী পদক্ষেপে। সেই পরিবর্তন আমাদের আনা প্রয়োজন।
দৃষ্টিভঙ্গি বদলালে বদলে যায় পথ,
বাধা নয়—সুযোগ খোঁজে সফলতার রথ।
নেতিবাচক ভাবনায় থামে চলার গতি,
আশাবাদের আলোয় জ্বলে নতুন জ্যোতি।**
চোখের দৃষ্টির চেয়েও বড় মনের দৃষ্টি,
যেখানে সংকটে খুঁজে নেয় সম্ভাবনার সৃষ্টি।
নয়নে নয়, দৃষ্টিভঙ্গিতে লুকায় ভবিষ্যতের আশা,
সেখানেই লুকিয়ে থাকে সাফল্যের ভাষা।
তাই বদলে ফেলো ভাবনার ধারা,
চলার পথে দেখবে বিজয়ের তারা।
জীবন যখন দেখবে নতুন রঙ্গে,
সফলতা আসবে আপন গতি ও ঢঙ্গে।
মাদরাসার ছাত্র/ছাত্রী, হুজুরদের প্রতি নিজের দৃষ্টি বঙ্গি ফিরিয়ে আনুন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন