1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
পত্নীতলায় বিএনপির কর্মী সমাবেশ ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন ‎দীর্ঘ ১৭ বছর পর অনুষ্ঠিত মেহেরপুর জেলা বিএনপির সম্মেলন, নতুন নেতৃত্বে জাভেদ মাসুদ মিল্টন সভাপতি ও কামরুল হাসান সাধারণ সম্পাদক গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নুরের উপর হা*মলার প্রতিবাদে নীলফামারীর জলঢাকায় সমাবেশ ও বি’ক্ষো’ভ মিছিল অনুষ্ঠিত। চৌদ্দগ্রামে করপাটি গ্রাম ইউনিট জামায়াতের মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত উলিপুর জাতীয় পার্টির আতিয়ার মুন্সী আহবায়ক ও সোবহান সদস্য সচিব সাতক্ষীরায় ভিপি নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে সর্বদলীয় বিক্ষোভ মিছিল ভিপি নূরের উপর হামলার প্রতিবাদে চৌদ্দগ্রামে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল ভিপি নূরের উপর হামলার প্রতিবাদে নেত্রকোনায় বিক্ষোভ প্রতিবাদ ঢাকা জেলা ডিবি (দক্ষিন) কর্তৃক ০২টি চোরাই স্মার্ট মোবাইল ফোনসহ গ্রেফতার ০২ জন। তালায় বায়না জমি অন্যত্র বিক্রি করায় বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে মারধর, অভিযুক্ত বিএনপি নেতা বহিষ্কার

যত দোষ নন্দ ঘোষ এর কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেল লাইন

দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

যত দোষ নন্দ ঘোষ এর কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেল লাইন

এম কে হাসান
বিশেষ প্রতিবেদক
কক্সবাজার

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ যেন এক মৃত্যুপুরী। গেল ১৮ মাসে এই রেল লাইনে প্রাণহানি হয়েছে ৩০ জনের। গত ২-৮-২০২৫ শনিবার দুপুরে রামু উপজেলার রশিদনগর ও ভারুয়াখালী সড়কের লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় ঢাকামুখি ট্রেন একটি সিএনজিকে টেনে নিয়ে যায় অন্তত ১ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত। এতে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া সিএনজি চালক ও এক শিশুসহ একই পরিবারের তিন সদস্য নিহত হন।

ইজিবাইক চালক নবাব মিয়া আমাদের জানালেন সেই মর্মান্তিক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী । নবাব মিয়া জানান, প্রতিনিয়ত আতংকে গাড়ী নিয়ে তার লেভেল ক্রসিং পার হতে হয়। এই স্থানে কোন গেটম্যান না থাকায় ট্রেন আসা-যাওয়ার আনুমানিক সিডিউল মেনে চলাচল করেন তারা। কিন্তু সেদিন দুর্ঘটনা কবলিত সিএনজিটির চালক লেভেল ক্রসিংয়ে অপেক্ষায় থাকা অন্য গাড়ী চালকদের কথা না শুনে পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

নবাব মিয়া বলেন, আমরা তিনটা ইজিবাইক এখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সিএনজি টি যখন ওভারটেক করে যাচ্ছিলো, আমরা তাকে নিষেধ করি না যেতে। তখন সে বলে আমি পার হতে পারবো। মুহুর্তের মধ্যেই রেললাইনে উঠার সাথে সাথেই ট্রেন চলে আসে। এরপর ট্রেনের সামনের অংশ সিএনজি কে ঠেলে নিয়ে যায় ৷ এর মধ্যে ওখানে থাকা যাত্রীরা একজন একজন পড়তে থাকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। চালকের পা ছিঁড়ে পরে যায়। কিছু দূর গিয়ে ট্রেন থামে, তখন সিএনজিটিকে আলাদা করা হয় ট্রেন থেকে। নবাব মিয়ার আরো জানান, ভারুয়াখালির যারা এই রাস্তায় গাড়ি চালান, তারা ট্রেনের সময়সূচি জানি। সাড়ে ১২ টা ও ১ টায় ট্রেন আসে। সেই সময় দেখে তারা আর লাইন পার হননা। আমাদেরও নিরাপত্তা নেই। এখানে গেইট নেই, গেইট ম্যান ও নেই । লেভেল ক্রসিং এর পাশে রেল লাইনটা যেভাবে এসেছে, সেখানে বাঁক নিয়েছে, যার ফলে গাছের জন্য আর ট্রেন দেখা যায়না- বলেন ইজিবাইক চালক নবাব।
রেলওয়ের প্রকল্প কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইনে মোট ৯টি সেকশন রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেভেল ক্রসিং গেট রয়েছে ইসলামাবাদ-রামু সেকশনে। ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেকশনে ১৭টি লেভেল ক্রসিং আছে। কিন্তু গেট ও গেটম্যান রয়েছে মাত্র একটিতে। বাকি ১৬টিতে কোনো ব্যারিয়ার বা গেটম্যান কিছুই নেই।
এছাড়া রেলপথের দোহাজারী-কক্সবাজার অংশে রেল কর্তৃপক্ষের অর্থরাইজড এবং আন-অর্থারাইজড লেভেল ক্রসিং রয়েছে অন্তত ১৪৪ টি। বেশির ভাগরই গেটম্যান নেই। এসব ক্রসিংই হয়ে উঠেছে সবচেয়ে চরম ঝুঁকিপূর্ণ।

কক্সবাজার রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী বলেন, অনেক সময় ব্রেক কষলেও দুর্ঘটনা এড়ানো যায় না। তবে নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি রেলপথ ঘনিষ্ট মানুষের মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা সম্ভব হলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, কোথাও কোথাও গাছগাছালির ঘন জঙ্গলে ঢেকে থাকায় ট্রেন আসা-যাওয়াও চোখে পড়ে না। অনেক সময় চালকেরা হুইসেলও দেন না এবং কোন গেটম্যান না থাকায় বাড়িয়ে দেয় বিপদের আশঙ্কা।
কক্সবাজারের একজন বিশিষ্ট পেশজীবি মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান বলেন, এই রেললাইনের গা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ঘরবাড়ি। কোথাও ঘন ঝোপঝাড়ে দৃশ্যমানতা একেবারেই নেই। এতে করে যাত্রী, চালক ও পথচারী—সবাই যেন ঝুঁকিতে দিন কাটাচ্ছে। এ রকম অবস্থা থাকলে দুর্ঘটনা আটকানো কঠিন।

এদিকে রোববার দুপুরে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং নিহতদের পরিবারের স্বজনদের খোঁজ খবর কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াছমিন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই রেলপথের প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ সম্পন্ন করে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে এখনো হস্তান্তর করেনি। এতে রেল কর্তৃপক্ষেরও কার্যকর ও স্থায়ী নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে আপদ কালীন সময়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এবং রেল কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে প্রচেষ্টা চলছে।
বিগত ২০১৮ সালে ১৮ হাজার কোটির বেশী টাকা ব্যয়ে দোহাজারি-কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণকাজ শুরু হয়। গত ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট