বিআইডব্লিউটিসির বহরে যুক্ত হচ্ছে ১৮টি আধুনিক জলযান,,দুই উপদেষ্টা
মো রাসেল সরকার গজারিয়া প্রতিনিধি
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) বহরে যুক্ত হচ্ছে নতুন করে ১৮টি নৌযান। মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার নয়ানগর এলাকায় অবস্থিত থ্রি-অ্যাঙ্গেল শিপইয়ার্ডে এসব জলযানের নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্নের পথে।
সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে নির্মাণস্থল পরিদর্শন করেন সরকারের নৌপরিবহন বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, “শিপইয়ার্ডে তৈরি হচ্ছে ১৮টি নৌযান, যার প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। কিছু কাঠামোগত ও কারিগরি জটিলতায় মার্চ মাসে ডেলিভারির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। তবে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ধাপে ধাপে নৌযানগুলো হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হবে।”
নৌযানগুলোর মধ্যে রয়েছে ৬টি আধুনিক ফেরি, ২টি অগ্নিনির্বাপক টাগবোট, ২টি উপকূলীয় ওয়েল ট্যাংকার, ৪টি সি-ট্রাক, ৩টি যাত্রীবাহী ইনল্যান্ড ভেসেল এবং ১টি পরিদর্শন বোট।
উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেনের সফরসঙ্গী ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এ সময় থ্রি-অ্যাঙ্গেল শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম জানান, “নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই আমরা নৌযানগুলোর আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর কার্যক্রম শুরু করব।”
এদিকে মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “বিষয়টি জেলা প্রশাসনের আওতাধীন, আপনারা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।”
বাংলাদেশে সামরিক নৌযান নির্মাণ সক্ষমতা সম্পর্কিত প্রশ্নে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে মন্তব্য করা আমার এখতিয়ারে পড়ে না।”
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সলিম উল্লাহ, প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলী জিয়াউল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডা. হামিদা মুস্তফা।