1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১২:১৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
তানোরে জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের পক্ষ থেকে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত সেচ্ছা-সেবী সংগঠন “”ভলান্টিয়ার ফর সেনবাগ”” এর উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি জামায়াত নেতাকর্মীরা ফাঁসির ভয়ে দেশ ত্যাগ করেননি, বরঞ্চ নিশ্চিত সাজা জেনেও মীর কাসেম আলী ভাই দেশে ফিরে এসেছেঃ- এটিএম আজহারুল ইসলাম জুলাই শহীদদের স্মরণে সমাবেশ টঙ্গীবাড়ীতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘রহিমা খাতুন মেধাবৃত্তি’ প্রদান বরিশালে ভরা মৌসুমেও মিলছেনা ইলিশ, বেড়েছে দাম চরমে। আশুলিয়ায় বিশেষ অভিযানে ছাত্র হত্যা মা,মলা,র আসা,মি,সহ গ্রে,প্তা,র ৯ ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে সেনাবাহিনীর অভিযানে হাতেনাতে দুইজন চাঁ*দাবা*জ গ্রে*প্তা*র* বাংলাদেশ নূরানী অ্যাসোসিয়েশনের ফেনী জেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন হয়েছে

২ আগস্ট চাবির কালো দিবস

দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

২ আগস্ট চাবির কালো দিবস

এম,এ,মান্নান,স্টাফ রিপোর্টার, নিয়ামতপুর (নওগাঁ)

ইতিহাসের প্রতিটি কালপঞ্জিতে কিছু দিন চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকে। সেই দিনগুলো কখনো বিজয়ের, কখনো বা বেদনাবিধুর ঘটনার সাক্ষী হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও মানবিক ইতিহাসে ২ আগস্ট এমনই একটি দিন, যা আজ “চাবির কালো দিবস” নামে পরিচিত। এ দিনটি এখন নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম এবং সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থানের প্রতীক হয়ে উঠেছে।চাবির কালো দিবসের জন্ম এক করুণ ও ন্যক্কারজনক ঘটনার মধ্য দিয়ে। ২০০২ সালের ২ আগস্ট বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক পটভূমিতে সংঘটিত হয় একটি গভীর ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা।

 

 

তৎকালীন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক কার্জন হল এলাকায় ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে এক তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই মধ্যে পুলিশ প্রশাসন একতরফাভাবে অভিযান পরিচালনা করে বিরোধীদলের ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে।এই অভিযানে ছাত্রদের ঘর তালাবদ্ধ করে চাবি নিয়ে যাওয়া হয়। ছাত্রদের আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হয়। কেউ কেউ বলেছিলেন, পুলিশ গোপনে চাবি নিয়ে গিয়ে তালা লাগিয়ে দেয়—এই “চাবি” তখন পরিণত হয় গণতন্ত্র হরণের প্রতীক-এ। সেই থেকেই দিনটি “চাবির কালো দিবস” নামে চিহ্নিত হয়ে ওঠে। ঘটনাটি ছিল একটি প্রশাসনিক দমননীতির নিদর্শন, যা ছাত্রসমাজকে স্তব্ধ করার প্রয়াস হিসেবেই বিবেচিত হয়।এই রচনায় “চাবি” শুধুমাত্র একটি বস্তু নয়, বরং এটি হয়ে উঠেছে ক্ষমতা, নিয়ন্ত্রণ, গোপনীয়তা, দমননীতি এবং নিরাপত্তার প্রতীক। যখন চাবি হয় নিপীড়নের হাতিয়ার, তখন তা হয়ে ওঠে প্রতীকী প্রতিবাদের কারণ।চাবি দিয়ে যেমন দরজা খোলা যায়, তেমনি চাবি দিয়ে কারো ভবিষ্যতও তালাবদ্ধ করা যায়—এই বাস্তবতা ২ আগস্ট নতুনভাবে সামনে আসে।২ আগস্ট চাবির কালো দিবস শুধু একটি ঘটনার স্মরণ নয়; এটি একটি প্রতিবাদ, একটি প্রতিরোধ, এবং গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান। এ দিবসটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়:রাজনৈতিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া ছাত্রসমাজের স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার রক্ষা করা
রাষ্ট্রীয় বাহিনীর অপব্যবহার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া,গণতন্ত্রের মূল্যবোধ রক্ষা করা।এই দিবসটিকে স্মরণ করে প্রতিবছর বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন, মানবাধিকার সংস্থা এবং নাগরিক সমাজ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে।যেমন:কালো ব্যাজ ধারণ,মানববন্ধন ও সমাবেশ,আলোচনা সভা,বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মোমবাতি প্রজ্বলন,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনতামূলক পোস্ট,তালাবদ্ধ দরজার সামনে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি,এই কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে মূলত শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, তাদের কণ্ঠ যেন কোনো অবস্থাতেই রুদ্ধ না হয়। কেউ যেন আর কখনও চাবি নিয়ে ছাত্রদের অধিকার হরণ করতে না পারে।২ আগস্ট আমাদের শিখিয়ে দেয়— ন্যায় ও সত্যের পথ সবসময় সহজ নয়, তবে প্রয়োজনীয়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় মত প্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার এবং সংগঠনের অধিকার রক্ষা করা সরকারের প্রথম দায়িত্ব। কিন্তু যখন সরকার বা তার নিয়ন্ত্রিত বাহিনীই সেই অধিকার হরণ করে, তখন জনগণের উচিত ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ জানানো।
চাবির কালো দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, নিরবতা মানেই অন্যায়ের সাথে আপোষ। তাই প্রতিবাদই হতে পারে সত্য প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ।“চাবির কালো দিবস” কেবল একটি নির্দিষ্ট দিনের স্মৃতি নয়, এটি একটি চেতনাবোধ, প্রতিবাদ, এবং জবাবদিহিতার আহ্বান। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, কোনো সমাজেই অন্যায়-অবিচার চিরস্থায়ী হতে পারে না।২ আগস্ট তাই আমাদের জাতীয় জীবনে এক গভীর বার্তা বহন করে—যেখানে চাবি নয়, সত্য এবং জনগণের ইচ্ছাই হবে চূড়ান্ত নিয়ামক শক্তি।আমরা চাই, এই দিনটির চেতনাকে ধারণ করে আগামী প্রজন্ম আরও সচেতন, দায়িত্বশীল এবং সাহসী হয়ে উঠুক। যেখানেই অন্যায়, সেখানেই প্রতিবাদ—এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।শেষ কথায়:
২ আগস্ট চাবির কালো দিবস শুধু অতীত নয়, এটি বর্তমান এবং ভবিষ্যতের এক মূল্যবান শিক্ষা। এর চেতনা বুকে ধারণ করেই গড়তে হবে একটি ন্যায়ের সমাজ—যেখানে কোনো দরজা চাবি দিয়ে বন্ধ করা যাবে না, আর কোনো স্বপ্ন তালাবদ্ধ হবে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট