গাজায় প্রবেশের পরই লুটপাটের শিকার ত্রাণবাহী ট্রাক
রিপোর্ট: পুলক শেখ । ভালুকা, ময়মনসিংহ
গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে ইসরাইল কর্তৃপক্ষ গাজা উপত্যকায় ১০৪টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দিলেও এর অধিকাংশই লুটপাটের শিকার হয়েছে। গাজা সরকারের মিডিয়া অফিসের এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তারা অভিযোগ করেছে, ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে, যা গাজায় ‘কাঠামোগত বিশৃঙ্খলা ও ক্ষুধানীতি’র অংশ।
গাজা সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইলের মূল লক্ষ্য মানবিক সহায়তা কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করা এবং বেসামরিক নাগরিকদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানো রোধ করা। এই পরিস্থিতির জন্য ইসরাইল ও তাদের সহযোগী দেশগুলোকে সম্পূর্ণভাবে দায়ী করে বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, অবিলম্বে গাজার সীমান্ত পয়েন্টগুলো সম্পূর্ণভাবে খুলে দিতে হবে, যাতে ত্রাণ সুষ্ঠুভাবে প্রবেশ করতে পারে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত পাঁচ মাসে ইসরাইলের আগ্রাসনের শুরু থেকে অপুষ্টি ও অনাহারে কমপক্ষে ১৬০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে ৯১ জন শিশু। স্থানীয় সূত্র জানায়, ইসরাইল দীর্ঘ সময় ধরে গাজার সীমান্ত বন্ধ রেখেছে, ফলে শিশুখাদ্য, ওষুধ এবং ন্যূনতম খাদ্যসামগ্রীর সরবরাহও বন্ধ রয়েছে।
গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস আরও জানায়, স্বাস্থ্য, খাদ্য ও সেবা খাতের ন্যূনতম চাহিদা পূরণে প্রতিদিন কমপক্ষে ৬০০টি ত্রাণ ও জ্বালানিবাহী ট্রাক প্রয়োজন। বর্তমানে ত্রাণ প্রবেশের এই সংকট গাজার জনগণের জন্য মানবিক বিপর্যয় আরও তীব্র করছে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গাজার এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। তবে ইসরাইল এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ত্রাণ বিতরণে বাধা এবং লুটপাটের ঘটনা গাজার মানবিক সংকটকে আরও গভীর করতে পারে, যা ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী নিন্দার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।