ই উ পি মেম্বার শহীদ এর ফাঁদে পা দিয়ে ভাতিজার বি,রু,দ্ধে চাচির ধ,র্ষ,ণে,র অভি,যোগ
মোঃ মাহবুবুল আলম। বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান ,ময়মনসিংহ।
ময়মনসিংহ জেলার, ফুলবাড়িয়া থানার, ভবানীপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে আপন ভাতিজার বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ চাচি বিলকিস বেগমের।
গত ৩০/০ ৭/ ২০২৫ ইং তারিখে ফুলবাড়িয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো :রোকনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযোগের তথ্য মতে গত ১৫ /০৭/ ২০২৫ ইং তারিখে রাত আনুমানিক তিন ঘটিকায় একই বাড়ির বাসিন্দা মোঃ হাবিবুল্লাহ( ২৮ )পিতা নুরুল ইসলাম মিন্টু ,চাচি বিলকিস বেগমের ঘরে প্রবেশ করে এবং তাকে ধর্ষণ করে।
এই ঘটনার পর থেকে বেশ কয়েকদিন মহিলাটি আত্মগোপনে ছিল। গত ২৯ /০৭ /২০২৫ ইং তারিখে রাত দশটায় বাড়ি ফিরে আসেন। ঐ রাতেই ইউপি মেম্বার জাকির হোসেন শহীদ স্থানীয় লোকজনকে বিষয় টি মীমাংসা করার জন্য মুঠোফোনে নির্দেশ দেন। গভীর রাত, শরীর ক্লান্ত , এসব কারণ দেখিয়ে সালিশে উপস্থিত থাকতে পারবেন না এমনটাই জানান শহীদ মেম্বার। তার কথামতো এলাকাবাসী হাবিবুল্লাহ ও বিলকিস আক্তারের বাড়িতে সালিশি বৈঠক বসান এবং সেখানে হাবিবুল্লাহ চাচি বিলকিসের পা ধরে ক্ষমা চান। পরে শালিশে উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ৫০ টাকার একটি স্টেম্পে আপোষ নামা লিখেন। যেখানে বিলকিস বেগম সালিশের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভাতিজা হাবিবুল্লাহ কে ক্ষমা প্রধান করে স্বেচ্ছায় তার অভিযোগটি তুলে নিয়ে মীমাংসা পত্রে স্বাক্ষর করেন ।
পরের দিন সকালে ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শহীদ এই আপোষ নামার গোর বিরোধিতা করেন। শহীদ মেম্বার মহিলাকে থানায় গিয়ে মামলা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। বিলকিস আক্তার কে আসামি পক্ষ থেকে এক লক্ষ টাকা পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। এই বিষয়টি বিলকিস আক্তার নিজে গণমাধ্যম কর্মীর কাছে স্বীকার করেন। তিনি আরও স্বীকার করেন ,সালিশে উপস্থিত সকলের নামে মামলা দায়ের করার জন্য শহীদ মেম্বার তাকে থানায় পাঠায়। সেই সাথে বারবার অভিযোগপত্র দায়ের করার জন্য মুঠোফোনে নির্দেশ দেন। (৩০-০৭ -২০২৫ ইং তারিখ সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত শহীদ মেম্বারের কল রেকর্ড যাচাই করলে বিষয়টির সততা মিলবে)।
পরিশেষে শহীদ মেম্বারের কথায় কর্ণ পাত না করে ভুক্তভোগী নারী ভাতিজা হাবিবুল্লাহ কে এককভাবে আসামি করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
উল্লেখ্য যে ,এই বিলকিস বেগমের স্বামী আব্দুল করিম দীর্ঘ আট বছর আগে মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার পর সে অন্যত্র নিকাহ বসে এবং সেখানে তার একটি পুত্র সন্তান হয়। পরে ওই স্বামী এবং পুত্র সন্তানকে ফেলে পুনরায় মৃত স্বামী আব্দুল করিমের বসত বাড়িতে বসবাস করতে থাকে। এলাকাবাসীর দাবি বিলকিস বেগম নানা সময় ভিন্ন পুরুষদের সাথে অবৈধ সামাজিক মেলা মেশায় লিপ্ত হতো ।একাধিকবার বিলকিস আক্তার কে ভাসুর নুরুল ইসলাম মিন্টু এসব অনৈতিক কাজে বাধা প্রদান করেছে ।যার ফলে ঐ মহিলা মিন্টু মিয়া ও তার ছেলে হাবিবুল্লাহর উপর ক্ষিপ্ত ছিলো। পূর্বের ঘটনার সূত্র ধরে এই মহিলা বিভিন্ন সময় হাবিবুল্লাহ সংসার ভাঙ্গার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিলো। স্বামী জীবিত থাকতেই একই এলাকার ডাব বিক্রেতা আবুল কালাম এর সাথে বিলকিসের অবৈধ মেলামেশার সময় জনতা হাতেনাতে আটক করে এবং তাদেরকে গ্রাম্য সালিশে বিচার করা হয়।
এলাকাবাসীর দাবি যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হোক। প্রশাসন ব্যক্তিগত ইশারায় প্রভাবিত না হয়ে আইনের সঠিক ধারায় বিচারকার্য পরিচালনা করবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।