বাতাসের তীব্রতায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত কুতুবদিয়া
সংবাদদাতাঃ উপজেলা কুতুবদিয়া, কক্সবাজার।
দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় স্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে এবং বাতাসের তীব্রতা বেড়ে সাগর উত্তাল রয়েছে। এই সময় মাছ ধরার ট্রলারগুলো নিরাপদ স্থানে চলে যায়। এদিকে, বেড়িবাঁধ না থাকায় বঙ্গোপসাগরে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের বায়ু বিদ্যুৎ, সাইট পাড়া, কাজির পাড়া, তেলিপাড়া, জেলে পাড়া, আনিচের ডেইল এলাকাসহ বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়।
শুক্রবার দুপুরের দিকে নিম্নচাপের প্রভাবে সাগরে জোয়ারের পানি বাড়তে থাকে, যার ফলে, কুতুবদিয়া দ্বীপের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকা গুলোতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে। ওই সব এলাকায় শতাধিক বসতঘর এখনও পানিবন্দি রয়েছে। এছাড়াও বেড়িবাঁধ এবং জিও ব্যাগ না থাকায় উপজেলার কৈয়ারবিল,বড়ঘোপ, আলী আকবর ডেইল,ইউনিয়নের কয়েকটি পয়েন্ট বেশ কিছু বসতঘর মসজিদ এবং মাদ্রাসা, মাছের ঘের, রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে।
এই সময় আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আকতার কামাল সিকদার বলেন পানি উন্নয়ন বোড়ের অবহেলার কারণে এই অবনতি ঘটেছে।
কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এম এ ছালাম কুতুবী বলেন, সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে বাতাসের তীব্রতা বাড়ালে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২/৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পায়। বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানিতে অনেক কৃষি জমি ঘরবাড়ি মাছ চাষের পুকুর প্লাবিত হয়েছে, দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কার না করলে পরে আরো অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতির হতে পারে তাই সরকারের কাছে আবেদন অতিদ্রুত যেনো টেকসই বেড়িবাঁধের মাধ্যমে কুতুবদিয়া কে রক্ষা করার যোর দাবি জানান।
কুতুবদিয়া আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক হুমায়ুন কবির জানান, নিম্নচাপ ও অমাবস্যার কারণে কুতুবদিয়ার নিম্নাঞ্চল ও চরসমূহ ১-৩ ফুট উচ্চতায় বাতাসের তীব্রতায় জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। এর প্রভাবে সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখতে বলা হয়েছে।
উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রকৌশলী এলটন চাকমা জানান, কুতুবদিয়ার ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ মেরামতের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত জিও ব্যাগের মাধ্যমে জোয়ারের পানি ঠেকাতে ব্যবস্থা নেয়ার আলোচনা চলতেছে।