কক্সবাজারে বিএনপি নেতা খুনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
মনজুর আলম স্টাপ রিপোর্টার কক্সবাজার
কক্সবাজার সদর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর উপজেলা বিএনপির আহাবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মাবুত;সদস্য সচিব সৈয়দনুর! বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা
এসময় বক্তারা বলেন রহিম উদ্দিন সিকদার। তিন মেয়ে ও দুই মাস বয়সী পুত্রসন্তানের পিতা।
রহিম উদ্দিন সিকন্দর লামা মাতামুহুরি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, চট্টগ্রাম ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক।
ছাত্রদলের রাজনীতি শেষে ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি ভারুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।
২০১৮ সালের নির্বাচনে রহিম উদ্দিন সিকদারের ঘরবাড়ি এমনকি বাথরুমের বেসিন পর্যন্ত ভেঙে দেয়া হয়। ছয়টা মামলার আসামী করা হয়৷
যারা তাঁর ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়েছিলো, যুবলীগ নেতা হিসেবে প্রতিনিয়ত রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতো আব্দুল্লাহ আল নোমান ও তাঁর বাহিনীর সশস্ত্র হামলায় মাথায় ২২টা সেলাই নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।
যুবলীগের সেই আব্দুল্লাহ আল নোমান বর্তমানে জামায়াত নেতা। জামায়াত ইসলামী কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড ফাতেরঘোনা ইউনিটের সভাপতি।
ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামীলীগ, ফ্যাসিস্ট পতন পরবর্তী জামায়াতের নেতা হিসেবে আবির্ভূত এই নোমান অনেক শক্তিধর।
৩ কণ্যা ও দুই মাস বয়সী পুত্রসন্তানের পিতা রহিম সিকদারকে বলি হতে হলো জামায়াতের দায়িত্বশীল নেতা শক্তিধর নোমান বাহিনীর হাতে৷
সদ্য প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ভাগ্নে কৃতিত্ব অর্জন করেছে। ভাগ্নের কৃতিত্বে খুশী মামা রহিম সিকদার মিষ্টি কেনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে বাজারের কাছাকাছি পৌঁছামাত্র জামায়াত নেতা নোমানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী অতর্কিত দা-কিরিচ নিয়ে হামলা করে।
এই পৈশাচিক হামলায় আহত চাচাকে উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সাকিব সিকদার অভি। যিনি বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
রহিমের খুনীদের দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী করেন!বিএনপির নেতা হত্যার বিষয়ে কোন অবহেলা মেনে নেবেনা!