আওয়ামী লীগের গ্রেফ*তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্ত করতে থানা ঘেরাও।
জাহাঙ্গীর আলম, স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ।
মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও পরিবারের সদস্যরা থানা থেকে গ্রেফতারকৃত নেতাদের ছিনিয়ে নিতে সাটুরিয়া থানার সামনে জটলা তৈরি করে ঘেরাও করেছিলো।
সোমবার (৭ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে সাটুরিয়া থানা পুলিশ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। এর কিছুক্ষণ পরই সন্ধ্যায় গ্রেফতারকৃতদের স্বজনরা থানা চত্বরে জড়ো হয়ে জটলা শুরু করেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, একাধিক মামলার ভিত্তিতে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন বাকা। উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল খালেক। সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী গোলাম রাব্বী।
এ বিষয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছক মুঠোফোনে একজন বলেন রাব্বির চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তি সে আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত। সে (রাব্বি) বিভিন্ন মামলার একজন পলাতক আসামি। তার জন্য এলাকাবাসী সব সময় আতংকে দিন কাটাতো। রাব্বি গ্রেফতারে স্থানীয় এলাকাবাসী স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন এবং তার (রাব্বির) কঠিন শাস্তি দাবী করেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী নুরুল আমিন জানান, গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে গোলাম রাব্বীর পরিবারের সদস্য ও অনুসারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং সাটুরিয়া থানায় গিয়ে পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামি রাব্বিকে প্রিজনভ্যান থেকে নামিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে সরকারি কাজে বাঁধা সৃষ্টি করার কারণে, আরো ৪(চার) জনকে আটক করেন সাটুরিয়া থানা পুলিশ।
আছরউদ্দিন (৫৫), পিতা মৃত্যু জাহেদ আলী, রোজিনা বেগম(৪০) স্বামী আছরউদ্দিন, আরজিনা বেগম (১৯), স্বামী গোলাম রাব্বি (২৫), রিফাত (১৬), পিতা আছরউদ্দিন, সর্ব সাং সওদাগর পাড়া, উত্তর কাওন্নারা, সাটুরিয়া।
এ বিষয় সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
মো. শাহীনুর ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা আজ বিকেলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করি। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টার দিকে কয়েকজন থানার সামনে এসে হট্টগোল করেন।
তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।