1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
গোপালগঞ্জে নিষি*দ্ধ ছাত্রলীগের হাম*লার প্রতি*বাদে মহিপালে মহাসড়ক ব্লকেড কর্মসুচি পালন করেন জুলাই শহীদ দিবসে সুবিপ্রবিতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এনসিপির নেতাকর্মীদের উপর হাম*লার প্রতিবাদে মাদারীপুরে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের শহীদের স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল মেহেরপুরে জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্টের শহীদদের স্মরণে সভা অনুষ্ঠিত সামরিক ইউনিফর্মসহ ২ ডা*কাত সদস্য গ্রেফ*তার দুস্কৃ*তিকারীদের দমন ছাড়া বিকল্প নেই –গোপালগঞ্জে থমথমে গোপালগঞ্জ: ১৪৪ ধারা জারি, ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন; সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে উ*দ্ধার হলেন এনসিপি নেতারা টঙ্গীবাড়ীতে যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের মৃ*ত্যুবা*র্ষিকী উপলক্ষে দোয়া-মিলাদ বলদিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ ও যুব সংগঠনের সংযোগ স্থাপনে একটি বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

পবিত্র আশুরা ও হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ)-এর শাহাদাৎ বার্ষিকী

দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫
  • ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

পবিত্র আশুরা ও হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ)-এর শাহাদাৎ বার্ষিকী

এম,এ,মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার,নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি,দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ

ইসলামের ইতিহাসে মুহাররম মাসের ১০ তারিখ, অর্থাৎ আশুরা দিবস এক অবিস্মরণীয় ও হৃদয়বিদারক দিন। এটি শুধুমাত্র একটি ঐতিহাসিক ঘটনা নয়, বরং একটি চেতনার নাম, একটি আত্মত্যাগের মহাকাব্য। এই দিনে পৃথিবীর বুকে ঘটেছিল এমন এক ঘটনা, যা আজও মুসলিম জাতির হৃদয়কে আলোড়িত করে। এটি সেই দিন, যেদিন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর দৌহিত্র, প্রিয় নাতি হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ), সত্য ও ন্যায়ের পথে জীবন উৎসর্গ করে কারবালার প্রান্তরে শাহাদাত বরণ করেছিলেন।আশুরা দিবস ইসলামের ইতিহাসে বহুবিধ গুরুত্ব বহন করে। হাদিস শরীফে উল্লেখ আছে, এই দিনে বহু নবীর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল। যেমন:এই দিনে হযরত মূসা (আঃ) ও তাঁর অনুসারীরা ফেরাউনের জুলুম থেকে মুক্তি পান এবং ফেরাউন তাঁর বাহিনীসহ নীল নদে ডুবে যায়।হযরত নূহ (আঃ) এর কিস্তি (নৌকা) তূর পাহাড়ে ভিড়ে।হযরত ইব্রাহিম (আঃ) আগুন থেকে রক্ষা পান।হযরত ইউনুস (আঃ) মাছের পেট থেকে মুক্তি পান।এমনকি, হযরত আদম (আঃ)-এর তওবা কবুল হয় এই দিনেই। তাই এই দিনটি আল্লাহর রহমত, মুক্তি ও আত্মত্যাগের প্রতীক। রাসূল (সাঃ) আশুরার রোজা রাখতেন এবং সাহাবায়ে কেরামকেও তা রাখতে উৎসাহিত করতেন।রাসূল (সাঃ)-এর ইন্তেকালের পর ইসলামী খেলাফতের রূপ ও নীতি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হতে থাকে। প্রথম চার খলিফার (খুলাফায়ে রাশেদিন) শাসনকাল শেষ হওয়ার পর, মুআবিয়া (রাঃ)-এর মৃত্যুর পর তার পুত্র ইয়াজিদ খেলাফতের দাবিদার হয়। কিন্তু ইয়াজিদ ছিল অত্যন্ত অন্যায়কারী, ধর্মহীন, জুলুমপরায়ণ ও পাপিষ্ঠ। তার শাসনকে বৈধতা দিতে হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ)-কে বাইআত (অনুগত্য স্বীকার) করতে বলা হয়। কিন্তু তিনি বলেন:
“যে ব্যক্তি অন্যায়ের দ্বারা শাসন করে, আমি কখনো তার অনুগত্য করতে পারি না।”
এই অবস্থায়, হোসাইন (রাঃ) নিজের পরিবার ও কয়েকজন সাহাবিকে নিয়ে মক্কা থেকে ইরাকের কুফার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু কারবালায় পৌঁছালে ইয়াজিদের সেনাবাহিনী তাঁদের ঘিরে ফেলে, পানির পথ বন্ধ করে দেয় এবং তিনদিন ধরে না খাইয়ে রাখে। শেষ পর্যন্ত ১০ই মুহাররম, ৬১ হিজরিতে (৬৮০ খ্রিস্টাব্দ), তিনি সহ তাঁর ৭২ জন সাহসী সাথী একে একে শহীদ হন। তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের বন্দি করে দামেস্কে নিয়ে যাওয়া হয়।কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসাইন (রাঃ) তাঁর জীবনের মাধ্যমে প্রমাণ করে গেছেন, ন্যায়ের পথে চলতে গেলে জীবনের চেয়েও বড় হয়ে দাঁড়ায় আদর্শ। তিনি শিখিয়েছেন—জুলুমের কাছে মাথানত না করে মৃত্যু বরণ করাই শ্রেয়।সত্য ও ধর্মের পক্ষে আপসহীন থাকা মুসলমানের দায়িত্ব।আত্মত্যাগই হলো ঈমানদারের শক্তি ও প্রেরণা। কারবালার ঘটনার মধ্যে নিহিত আছে মুসলিম উম্মাহর জন্য চিরন্তন শিক্ষা। এটি শুধু শোক ও বেদনার স্মৃতি নয়, বরং এটি আদর্শিক সংগ্রামেরআলোকবর্তিকা।
বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলিমরা আশুরার দিনটি যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালন করে। বিভিন্ন জায়গায় মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা, কুরআন খতম, দোয়া অনুষ্ঠান হয়। অনেকেই এই দিনে রোজা রাখেন, দান সদকা করেন এবং নফল ইবাদতে সময় কাটান।বিশেষ করে শিয়া মুসলিম সম্প্রদায় এই দিনটিকে গভীর শোকের মধ্য দিয়ে পালন করে, মিছিল-মাহফিলের মাধ্যমে ইমাম হোসাইনের আত্মত্যাগ স্মরণ করেন।পবিত্র আশুরা একটি আদর্শিক ও আত্মত্যাগের মহান স্মারক। হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ)-এর শাহাদাত আমাদের শিখিয়ে দেয়—সত্যের জন্য জীবন উৎসর্গ করা ইসলামের চেতনায় অবিচল থাকা। আজকের সমাজেও যখন অন্যায়, দুর্নীতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয় দেখা দেয়, তখন হোসাইন (রাঃ)-এর আদর্শ আমাদের আলোর পথ দেখায়।আশুরা আমাদের আত্মশুদ্ধির সুযোগ এনে দেয়। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের জীবনে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠা করাই হোক আশুরা পালনের মূল শিক্ষা।
اللهم اجعلنا من اتباع الحسين عليه السلام في الدنيا والآخرة۔
(হে আল্লাহ! আমাদেরকে হোসাইন (রাঃ)-এর অনুসারী বানাও দুনিয়া ও আখিরাতে। আমিন।)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট