তরুণ সমাজের বিষফোঁড়া মাদক সম্রাট শাকিল ও তার গুরু ‘ল্যাংড়া সোহেল’।
মোঃ নুরে আলম,বরিশাল জেলা প্রতিনিধি।
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার মহিষাপোতা গ্রামে তরুণ সমাজ আজ ভয়ংকর বিপদের মুখে। গ্রামটির কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী শাকিল এবং তার গুরু ‘ল্যাংড়া সোহেল’ আজ এলাকাবাসীর আতঙ্কের নাম।
সূত্র বলছে, ল্যাংড়া সোহেলই প্রথম শাকিলকে মাদকের ভয়ঙ্কর জগতে টেনে আনে। একসময় শিষ্য হলেও এখন মাদক ব্যবসায় শাকিল তার গুরুকেও পেছনে ফেলে দিয়েছে। ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল থেকে শুরু করে নানা রকম নেশাজাতীয় দ্রব্য ছড়িয়ে পড়েছে এই দুজনের হাত ধরে।
স্থানীয় কয়েকজন অভিভাবক জানান, “শাকিলের প্রভাবে আমাদের সন্তানরা মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। আমরা ভয় পেয়ে গেছি, কাকে বলবো? কোথায় যাবো?”
শাকিলের পারিবারিক জীবনও ভাঙনের পথে। নিজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও তার সম্পর্ক নেই বললেই চলে। বরং পরিবারের লোকজন নিজেরাই তাকে এড়িয়ে চলে। একাধিকবার পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও রহস্যজনক কারণে ২-১ দিনের মধ্যেই মুক্ত হয়ে যায় শাকিল।
স্থানীয় এক তরুণ বলেন, “পুলিশ ধরলেও শাকিল কয়েকদিন পরেই আবার এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। মনে হয়, তার পিছনে কোনো বড় শক্তি আছে।”
গ্রামের একজন শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা সন্তানদের নৈতিক শিক্ষা দেই, কিন্তু যখন তারা এইসব শাকিলদের মতো মাদক ব্যবসায়ীদের প্রভাব দেখে—সব নষ্ট হয়ে যায়।”
অপরদিকে, ল্যাংড়া সোহেল এখনও নানা এলাকায় তার নেটওয়ার্ক চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে সে একটু গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে, তবে তার সহযোগী হিসেবে শাকিল এখন পুরো মহিষাপোতা ও আশেপাশের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে চলছে।
এলাকাবাসীর দাবি: প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ এবং মাদকের উৎসবদ্ধ কার্যক্রমের স্থায়ী সমাধান।
তাদের প্রশ্ন—মাদকের মতো ভয়ংকর অপরাধে জড়িতরা বারবার ছাড়া পেয়ে কীভাবে এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়?
সচেতন নাগরিকদের আহ্বান—শুধু গ্রেপ্তার নয়, প্রয়োজন কঠোর নজরদারি ও বিচারের মুখোমুখি করা।