বিদেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র তাজা কার্তুজ সহ ৩ অ*স্ত্র ব্যবসায়ী গ্রে*প্তার
মো: কামরুল হাসান
বিশেষ প্রতিবেদক
কক্সবাজার
বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ অ্যামোনেশনসহ ৩ জন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে কক্সবাজার সদর থানাধীন দক্ষিণ কলাতলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫। সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায় । মায়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসী এবং অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী কর্তৃক অস্ত্র ও গুলি কক্সবাজারের বিভিন্ন রেজিস্ট্রার ক্যাম্পে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে এগুলো বিভিন্ন ক্যাম্প হতে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে কক্সবাজার মহেশখালীর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের কাছে ছড়িয়ে পড়ে। র্যাব-১৫ এর গোয়েন্দা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, মহেশখালীর কিছু অসাধু অস্ত্র ব্যবসায়ীর সাথে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কিছু অস্ত্র ব্যবসায়ীদের যোগসাজসে কক্সবাজারের বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায়, গত ০৩ জুলাই ২০২৫ খ্রিঃ রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, রোহিঙ্গা ক্যাম্প হতে অস্ত্র সরবরাহ করে অন্যত্র প্রেরণের উদ্দেশ্যে ০৩ জন অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী কক্সবাজার সদর থানাধীন দক্ষিণ কলাতলী এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্য মোতাবেক র্যাব-১৫ এর সদর ব্যাটালিয়নের আভিযানিক দল কক্সবাজার সদর থানাধীন দক্ষিণ কলাতলি এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ০১টি বিদেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ৬১টি তাজা কার্তুজ, ০৮টি বিদেশী পিস্তলের তাজা কার্তুজ, ০১টি স্মার্ট ফোন, ০২ টি বাটন ফোন, ০১টি ইজিবাইক ও নগদ ১২,৫০/- টাকাসহ ০৩ জন অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হচ্ছে ১) শাহ আলম (৪০), পিতা-আনজু মিয়া, মাতা-মোনতাহারা, সাং-মাঝার ডেইল, ০২নং ওয়ার্ড, ইউনিয়ন-বড় মহেশখালী, থানা-মহেশখালী, বর্তমনে- লামাজি পাড়া, ০৮নং ওয়ার্ড, ইউনিয়ন-খুরুশকুল, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার। ২) আব্দুল জলিল (২৯), পিতা-আয়ুব আলী, মাতা-ফাতেমা খাতুন, সাং-মাদার বুনিয়া, ইনানী, ০৮নং ওয়ার্ড, ইউনিয়ন-জালিয়াপালং, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার। ৩) আদিল প্রকাশ আদিল্লা (৩৫), পিতা-আব্দুল লতিফ, মাতা-শাকেরা বেগম, সাং-দেবাঙ্গা পাড়া, ০৪নং ওয়ার্ড, ইউনিয়ন-বড় মহেশখালী, জেলা-কক্সবাজার।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, অস্ত্র ও অ্যামোনেশন গুলো অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী শাহ আলম অজ্ঞাতনামা আসামীদের কাছ থেকে ক্রয় করার পর অটো চালক আব্দুল জলিলের সাথে যোগাযোগ করে বিকাশে টাকা পাঠায় এবং টাকা বুঝে পাওয়ার পর অটো চালক আব্দুল জলিল শাহ আলমের নির্দেশে মাদার বুনিয়া হতে উক্ত অস্ত্র ও গুলি নিজের অটো রিকশা করে শাহ আলম ও আরেক অস্ত্র ব্যবসায়ী আদিলকে বুঝিয়ে দিতে কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন ইনানি টু কলাতলী সড়কের দরিয়া নগর ব্রীজের উত্তর পাশে নিউ চিশতিয়া হ্যাচারি সামনে নিয়ে আসে।
গ্রেফতারকৃত অস্ত্র ব্যবসায়ী ও উদ্ধাকৃত অস্ত্র-গুলির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে সংশ্লিষ্ট থানায় হাস্তান্তর করা হয়েছে।