২৮ কেজি গা*জা ও ৯০,০০০ হাজার ইয়াবা উ*দ্ধার, আটক ৩ জন
মো: কামরুল হাসান
বিশেষ প্রতিবেদক
কক্সবাজার
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সীমান্তাঞ্চলে মাদক ও চোরাচালান দমনে সর্বদা অঙ্গীকারাবদ্ধ। এই অঙ্গীকারের বাস্তব প্রতিফলন স্বরূপ আজ ০১ জুলাই ২০২৫ তারিখ টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর উদ্যোগে পরিচালিত হয় মাদক বিরোধী দু’টি পৃথক অভিযান । গত ৩০ জুন গভীর রাতে অধিনায়ক ২ বিজিবি গোয়েন্দা সূত্রে মায়ানমার হতে সাগর পাড়ি দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান বাংলাদেশে আগমনের বিষয়ে জানতে পেরে তাৎক্ষনিক বিশেষ অভিযান পরিচালনার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তার পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ তদারকিতে মাদক পাচার কারীদের ধরতে গভীর রাতেই নাফ নদী ও তীরবর্তী অঞ্চলসহ মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন সৈকতে বিজিবি’র বেশ কয়েকটি বিশেষ টহল দলকে কৌশলগত অবস্থানে মোতায়েন করা হয়। পরবর্তীতে অপরাধী চক্রকে ধরতে নিবিড় গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে অদ্য ০১ জুলাই ২০২৫ তারিখ ভোরবেলা সাবরাং ইউনিয়নের একটি বাড়িতে মাদকের একটি বড় চালান সাগর পথে সংগ্রহ করে গোপনে লুকিয়ে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত হলে, আনুমানিক ৬ ঘটিকার সময় সাবরাং ইউনিয়নের আলীর ডেইল এলাকা ঘিরে রেখে বিজিবি’র টহল দল সমূহ চিরুনী অভিযান চালিয়ে মিনারা বেগমের বসত বাড়ি থেকে ৯০,০০০ (নব্বই হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ দুইজন আসামীকে হাতেনাতে ধরতে সমর্থ হয়। পরে আটককৃত আসামীদের কে প্রচলিত আইন অনুযায়ী আলামতসহ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আটককৃত মিনারা বেগম (৩৫), পিতা-মৃত ছিদ্দিক আহমদ,
মোঃ কেফায়েত উল্লাহ (১৯), পিতা-ফরিদ আলম, উভয়ের ঠিকানা: গ্রাম-সাবরাং আলীর ডেইল, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার। উক্ত অভিযান চলাকালীন এক পর্যায়ে টেকনাফের খুরেরমুখ এলাকার একটি বাড়িতে বিপুল পরিমাণ গাঁজা রক্ষিত থাকার সংবাদ পেয়ে অধিনায়ক ২ বিজিবি তাৎক্ষণিক অপর একটি চৌকশ দলকে অভিযান পরিচালনায় নিয়োজিত করেন। এসময় সন্দেহ জনক বাড়িটি ঘিরে ফেলে বিষদ তল্লাশী চালিয়ে কথিত জমিলা বেগমের বাড়ির মুরগীর খামারে ভিতরে কৌশলে সংরক্ষিত ২৮ কেজি গাঁজাসহ একজন আসামীকে আটক করা হয়। পরে আসামীকে প্রচলিত আইন অনুযায়ী আলামতসহ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আটককৃত জমিলা বেগম (৫০), স্বামী-মৃত আলী আহমেদ, গ্রাম-খুরেরমুখ, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার ।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা, মাদক নির্মূল এবং সকল অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রেখে অত্যন্ত পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বলে জানান । বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে জানান ভবিষ্যতেও জাতীয় নিরাপত্তা ও জনস্বার্থে এ ধরনের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে।