1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী অন্যতম সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কর্মী বৈঠক হরিপুর সীমান্তে ১৪ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশের সময় আ,ট,ক বগুড়ায় গরুর খাবারে বিষ মিশিয়ে ৩টি গরু হত্যা গফরগাঁও উপজেলা রসুলপুর ইউনিয়নে জমি দখল ও চাঁদা দাবিতে ভাঙচুরের অভিযোগ সেনবাগ ইউএনও মোঃ মহিউদ্দিনের শেষ কর্মদিবস পলাশে উৎসর্গ ফাউন্ডেশন আয়োজিত ফ্রী ব্লাডগ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি অনুষ্ঠিত শান্তিগঞ্জে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেনের গণ সংযোগ বিরোধ কমাতে ভুমি ব্যবস্হাপনাকে ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে আলি ইমাম মজুমদার তালা উপজেলার খলিষখালী ইউনিয়নে ভি ডব্লিউ বি কার্ডের ৩০ কেজি চাউল বিতারন ওয়াজেদ হত্যা মামলার দুই আসামী গ্রেফতার

তালাকনামা হাতে পেয়ে ‘পাপমুক্তির’ ঘোষণা, গরুর দুধে গোসল শেরপুরে

হেলাল উদ্দিন, প্রভাতী বাংলাদেশ 
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

হেলাল উদ্দিন, প্রভাতী বাংলাদেশ 

শেরপুরের সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের মধ্য কুমড়ি গ্রামে তালাকনামা হাতে পাওয়ার পর ‘পাপমুক্তি’ দাবি করে গরুর দুধ দিয়ে গোসল করেছেন পঞ্চাশোর্ধ এক ব্যক্তি। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। গোসল করা ওই ব্যক্তির নাম ফজল মিয়া (৫০)। তিনি মধ্য কুমড়ি গ্রামের মৃত আক্রাম হোসেনের ছেলে এবং পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৮ বছর আগে ফজল মিয়ার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী এলাকার ময়না বেগমের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ইতোমধ্যে মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। তবে সম্প্রতি পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে ময়না বেগম প্রথমে শেরপুর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আয়ার কাজ নেন এবং পরে ঢাকায় একটি সোয়েটার ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন।

ঢাকায় যাওয়ার পর দীর্ঘ দেড় বছর ধরে স্বামী ফজলের সঙ্গে তার আর কোনো যোগাযোগ ছিল না বলে জানা গেছে। এই পরিস্থিতিতে দাম্পত্য কলহ বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে ময়না বেগম ঢাকা থেকেই একটি তালাকনামা পাঠিয়ে দেন।

তালাকনামা হাতে পেয়ে ফজল মিয়া বাজিতখিলা বাজারে শত শত মানুষের সামনে একটি বালতিতে গরুর দুধ ঢেলে প্রকাশ্যে গোসল করেন এবং বলেন, “১৮ বছর ভুল মানুষের সঙ্গে সংসার করেছি। আজ আমি পাপমুক্ত হলাম।”

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি চাচ্ছি—আমার মতো আর কেউ যেন স্ত্রীকে একা ঢাকায় কাজ করতে পাঠিয়ে ভুল না করে।”

এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, “ঢাকায় যাওয়ার পর থেকে স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন, যেটি আমাদের সংসার ভাঙার অন্যতম কারণ।”

বাজিতখিলা ইউনিয়নের স্থানীয় মেম্বার রুবেল মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ঢাকায় যাওয়ার পর থেকে ময়না বেগমের সঙ্গে ফজল মিয়ার যোগাযোগ ছিল না বলে শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল। বুধবার তালাকনামা হাতে পাওয়ার পরই ফজল এমন কাণ্ড ঘটান।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট