আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস
এম,এ,মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার (নওগাঁ) প্রতিনিধি,দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
বিশ্বজুড়ে আজও লাখো মানুষ শারীরিক, মানসিক ও নানাবিধ নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। ব্যক্তিগত, সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এই নির্যাতন মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। নির্যাতন বন্ধ ও নির্যাতনের শিকারদের অধিকার রক্ষায় জাতিসংঘ প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবসহয়ে করে থাকে।১৯৮৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ নির্যাতন প্রতিরোধে একটি চুক্তি গ্রহণ করে, যা ১৯৮৭ সালের ২৬ জুন কার্যকর হয়। এই দিনটির গুরুত্ব স্মরণে ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘ প্রতি বছর ২৬ জুনকে আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবসহিসাবে ঘোষণা করে। এই দিবসটি বিশ্বব্যাপী নির্যাতনবিরোধী আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।এই দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো—
নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা,
নির্যাতনের শিকারদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করা,
এবং সরকার ও প্রতিষ্ঠানগুলিকে নির্যাতন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে উদ্বুদ্ধ করা।এই দিনটি মানুষকে মনে করিয়ে দেয় যে নির্যাতন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং এর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। বর্তমান বিশ্বে যুদ্ধ, দমন-পীড়ন, রাজনৈতিক নিপীড়ন, গোপন আটক কেন্দ্র ইত্যাদির কারণে বহু মানুষ নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অনেক সময় নিরাপত্তা ও আইন প্রয়োগের অজুহাতে নিরীহ মানুষকেও নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। এসব অনাচার বন্ধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও আইন প্রয়োগের বিকল্প নেই।বাংলাদেশেও কখনো কখনো হেফাজতে মৃত্যু, পুলিশি নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ শোনা যায়। তবে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং মানবাধিকার কমিশনের কাজের ফলে সচেতনতা বাড়ছে। আন্তর্জাতিক দিবস পালনের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করে তোলা এবং বিচারপ্রাপ্তির সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব।নির্যাতন কোনো সভ্য সমাজে স্থান পেতে পারে না। মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে হলে নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি একটি প্রতিজ্ঞা—নির্যাতনমুক্ত একটি পৃথিবী গড়ে তোলার।