সাংবাদিককে গলাকেটে হ*ত্যার হু*মকি থানায় সাধারণ ডায়েরি।
মোঃ নুরে আলম,বরিশাল জেলা প্রতিনিধি।
বরিশাল নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে চাঁদা উত্তোলনের ঘটনার বিষয় সাংবাদিকরা অনুসন্ধান করলে এক সাংবাদিককে ফোন করে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে চাঁদা উত্তোলনকারী বরিশাল মহানগরের সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ—সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সজীব ও তার এক অনুসারী দৈনিক আলোকিত বরিশাল পত্রিকার চীফ রিপোর্টার তারিকুল ইসলামকে ফোন করে সরাসরি গলা কেটে হত্যা করার হুমকি দেয়। সাংবাদিক তারিকুল ইসলামকে যে হুমকি দেওয়া হয়েছিল মোবাইল ফোনে সেই কল রেকর্ডিং টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
জীবন রক্ষার্থে সাংবাদিক তারিকুল ইসলাম বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় বরিশাল নথুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ড থেকে মানুষকে জিম্মি করে চাঁদা উত্তোলনকারী শাহাদাত হোসেন সজীবের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি দ্বানের বিষয় একটি সাধারন ডায়েরি করেন।যাহার ডায়েরি নাম্বার ১৪২৬।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ— সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সজীবের সাংবাদিকদের প্রতি এমন আচরণে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম নিয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন সাংবাদিকদের সংগঠনের নেতাদের মধ্যে।
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ট্রাস্টিবোর্ডের সভাপতি আহমেদ আবু জাফর এমন ঘটনা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বরিশালের বিভিন্ন সাংবাদিক মহলের সাংবাদিক সাংবাদিকের প্রতি এমন আচরণের জন্য চাঁদাবাজ সন্ত্রাস শাহাদাত হোসেন সজিবের বিচার দাবি করেছেন বিএনপি দলীয় নেতাদের এবং আইন—শৃঙ্খ রক্ষা বাহিনীর কাছে।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, বরিশাল নথুল্লাবাদ থেকে চাঁদা উত্তোলনকারী সজীব বরিশালের এক বিএনপির নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে বরিশাল নথুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ড থেকে চাঁদা উত্তোলন করে। সজীবের চাঁদা উত্তোলনের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বরিশাল নতুল্লাবাদের বাস স্টান্ডের অনেক সাধারণ নিরীহ মানুষ। এভাবে চলতে থাকলে বিএনপির সুনাম ঐতিহ্য নষ্ট হবে বলে ধারণা করেন নথুল্লাবাদ বাস স্টানের একাধিক ব্যক্তিরা।
বরিশাল সাংবাদিক মহলের একটাই দাবি এই চাঁদাবাজ সন্ত্রাস প্রকাশে সাংবাদিককে হত্যা হুমকি দাতা শাহাদাত হোসেন সজীবকে বিএনপির সকল সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করে আইন—শৃঙ্খলা বাহিনী হাতে তুলে দেওয়া এবং হত্যার হুমকি দানের জন্য উপযুক্ত শাস্তি পাওয়াই হল এখন বরিশাল সাংবাদিকদের সমাজের দাবি।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতা রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হচ্ছে।