এম,এ,মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার (নওগাঁ) প্রতিনিধি,দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
শিশুদের শৈশব হওয়া উচিত নির্ভার, নিরাপদ ও আনন্দময়। কিন্তু আজও বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি শিশু শ্রমে নিযুক্ত, যারা জীবিকার তাগিদে শৈশব হারিয়ে ফেলছে কঠিন বাস্তবতায়। এই বাস্তবতার বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য প্রতিবছর ১২ জুন বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস
তবে চলতি বছরে (২০২৫ সালে) ১২ জুন তারিখে সরকারি ছুটি থাকায় বাংলাদেশে দিবসটি ১৯ জুন বৃহস্পতিবার পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এ তথ্য শ্রম উপদেষ্টা এক বিবৃতিতে জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার শিশু শ্রম নির্মূলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এবারের কর্মসূচি তাই ১৯ জুন উদযাপিত হলেও দিবসটির তাৎপর্য কোনো অংশে কমবে না।
বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবসের উদ্দেশ্য হলো শিশুদের অধিকার রক্ষা, তাদের জন্য শিক্ষা ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা, এবং ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম থেকে শিশুদের মুক্ত করা। এই দিনে সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন একযোগে নানা সচেতনতামূলক কার্যক্রম পালন করে। যেমন: র্যালি, সেমিনার, পোস্টার প্রদর্শনী, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, নাটক ও আলোচনা সভা।
বাংলাদেশে এখনো বহু শিশু গৃহস্থালি কাজ, চায়ের দোকান, কারখানা, হোটেল এমনকি ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশেও কাজ করছে। এসব শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ে এবং মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়। এসব সমস্যা দূর করতে হলে শুধু আইন প্রয়োগ নয়, দরকার সামাজিক সচেতনতা ও মানবিক দায়িত্ববোধ।
সরকার ইতোমধ্যে শিশু শ্রম নির্মূলে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রম সম্পূর্ণ নির্মূল করার লক্ষ্যে কাজ করছে।বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস কেবল একটি আনুষ্ঠানিক দিবস নয়—এটি আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়। এই দিনে আমরা শপথ নেই, যেন কোনো শিশুর শৈশব কারখানার ধোঁয়ায় হারিয়ে না যায়, যেন প্রতিটি শিশু বই-খাতার সঙ্গে বেড়ে ওঠে ভালোবাসা ও নিরাপত্তায়।