এম,এ,ফারুকী, প্রভাতী বাংলাদেশ
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চর ফুলবাড়ী, ইজলামারী, গোয়ালগ্রাম ও ভন্দুর চর এলাকার শত শত বাসিন্দা ফুলবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্তকে বিকল্প স্থানে নির্মাণের দাবিতে বুধবার ১৮ জুন বিকালের দিকে ফুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিদ্যালয় মাঠের কেন্দ্রে একটি বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। তবে এলাকাবাসীর দাবি, এটি মাঠের ব্যবহারযোগ্যতা নষ্ট করবে এবং শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার একমাত্র উন্মুক্ত স্থান হারিয়ে যাবে।
এ নিয়ে এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “বিদ্যালয়ের এই মাঠ দীর্ঘদিন ধরে এলাকার একমাত্র খেলার জায়গা। প্রতিদিন স্কুল শেষে কিংবা ছুটির দিনে এখানেই শিশুরা খেলাধুলা করে। মাঠের মাঝে স্থাপনা নির্মাণ হলে তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
তারা জানান, মাঠের একেবারে উত্তর ও পশ্চিম পাশে বিদ্যালয়ের দুটি পুকুর রয়েছে। যদি আশ্রয়কেন্দ্রটি ওই পুকুরগুলোর কোনো একটি ভরাট করে নির্মাণ করা হয়, তাহলে মাঠটি রক্ষা পাবে এবং খেলাধুলা চালু রাখা সম্ভব হবে। পাশাপাশি সরকার ঘোষিত “স্পোর্টস ফর ডেভেলপমেন্ট” নীতির সঙ্গেও এটি সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে বলে মনে করছেন তারা।
স্থানীয় তরুণ ও অভিভাবকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “বাচ্চারা মাঠে খেলতে না পারলে মোবাইল ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডের দিকে ঝুঁকে পড়বে। এটি সমাজের জন্যও ক্ষতিকর।
এছাড়া বর্ষা মৌসুমে যখন আশপাশের এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়, তখন কৃষকেরা এই মাঠেই ফসল শুকানোর কাজ করেন। মাঠটি বরাবরই স্থানীয় জনজীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
এলাকাবাসী মানবিক ও বাস্তবিক দিক বিবেচনায় ইউএনও’র প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তিনি যেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এসব ভবন দুর্যোগকালীন সময়ে নিরাপদ আশ্রয় এবং সুষ্ককালের স্কুল ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে স্থান নির্বাচনের ক্ষেত্রে সচেতন মহল।