গল্প: “মায়ার রং”
✍️ দোয়েল আহম্মেদ
রাতের নীরবতাটা আজ যেন একটু বেশি ভারি মনে হচ্ছে। সবকিছু চুপচাপ, শুধু হৃদয়ের ভেতরে এক অশান্ত ঢেউ খেলে যাচ্ছে।
নাম তার আরিশা।
একটা সময় ছিল, যখন প্রতিদিন ভোরবেলা ঘুম ভাঙত তার “সুপ্রভাত” মেসেজে। দিন গড়াত তার হাসিতে, রাত কাটত তার কণ্ঠের মায়ায়। সে যেন একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল—শ্বাস নেওয়ার মতো সহজ, অথচ ছেড়ে দিলে যেন মৃত্যু।
হঠাৎ করে একদিন আর কথা বলল না সে। না কোনো কারণ, না কোনো অভিযোগ, শুধু নিঃশব্দ বিদায়।
প্রথমে ভেবেছিলাম, হয়তো ব্যস্ত। পরে বুঝলাম—এ ব্যস্ততা আসলে অবহেলার আরেক নাম।
তবুও প্রতিদিন তার অনলাইনে আসা দেখি, মনে মনে চাই—একবার শুধু বলুক, “কেমন আছো?”
কিন্তু না, সে নীরব। আর আমি মায়ার গভীরে ডুবে যাচ্ছি ধীরে ধীরে।
আজ রাতেও একটা মেসেজ লিখে রেখে দিলাম…
“তুমি বুঝবে একদিন, যখন কারো মায়ায় পড়ে যাবে আর সে তোমার খোঁজ নেবে না। তখন বুঝবে মায়া কাকে বলে, মায়ায় পড়লে কেমন লাগে।”
হয়তো সে কখনও পড়বে না এই কথাগুলো।
হয়তো সে হাসবে অন্য কারো কথায়।
কিন্তু আমি জানি, আমি সত্যিই ভালোবেসেছিলাম।
ভালোবাসা মানে দখল নয়, ভালোবাসা মানে—নিঃশব্দে অপেক্ষা, কোনো এক দুপুরে তার ফিরে আসার সম্ভাবনার জন্য।
—
শেষ কথা:
মায়া কখনও মরে না, সে থেকে যায়… কারো চোখে জল হয়ে, কারো মনে স্মৃতি হয়ে।