1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৫০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
আল্লামা সাঈদীর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী: স্মৃতিতে অম্লান মুফাসসিরে কোরআন ভোলা জেলার ডিবি পুলিশের অভিযানেঃ- ১০০ (একশত) পিচ অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ০২ জন আটক সবার জন্য প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠনের ত্রাণ বিতরণ ও আলোচনা সভা উলিপুরে দুর্যোগ-দুর্ভোগে অসহায় মানুষের আশ্রয়স্থল আব্দুস সোবহান। সাতক্ষীরার তালায় ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক ৭ ফার্মেসীতে ১৬ হাজার টাকা জ,রি,মা,না। হরিপুরে গলায় ফাঁ,স দিয়ে এক ব্যক্তি আ,ত্ম,হত্য চট্টগ্রাম সিটি রেড ক্রিসেন্টের উদ্যোগে জুলাই আন্দোলন ও ফেনী বন্যায় মানবসেবী স্বেচ্ছাসেবকদের সম্মাননা প্রদান কালকিনিতে মানবপাচার মা,মলা,সহ ১০টি মা,ম,লার আ,সা,মী গ্রে,ফ,তার ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন করে যুদ্ধের উত্তেজনা, পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি রাকসু নির্বাচন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা বিষয়ক মতবিনিময় সভা

নওগাঁর সাপাহারে আমের সরবরাহ বেড়েছে, ন্যায্য দাম না পেয়ে হতাশ আম চাষিরা

✍️ সাজেদুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

✍️ সাজেদুর রহমান
স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ

আমের রাজধানী হিসেবে খ্যাত নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় এখন পুরোদমে আমের মৌসুম। প্রতিদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই আমচাষিরা ভ্যান, অটোরিকশা ও ভটভটিতে করে বিভিন্ন জাতের আম নিয়ে হাজির হচ্ছেন সাপাহারের আম হাটে। কিন্তু হাটজুড়ে আমের সরবরাহ বাড়লেও, আশানুরূপ দাম না পেয়ে হতাশ চাষিরা।

স্থানীয় প্রশাসনের সময়সূচি অনুযায়ী ১৮ জুন থেকে আম্রপালি বাজারজাত হওয়ার কথা থাকলেও, আগাম গরম এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে আম আগে থেকেই পরিপক্ব হয়ে গেছে বলে দাবি করছেন চাষিরা। ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই বাজারে আম্রপালি চলে এসেছে।

তবে প্রশাসনের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও এখনও অনেক বাজারে কেজিতে বিক্রির নিয়ম মানা হচ্ছে না। বরং ৫২ কেজিকে এক মণ হিসেবে ধরে আম ক্রয়-বিক্রয় চলছে। এতে অতিরিক্ত ১২-১৩ কেজি আম দিয়ে চাষিদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

রোববার (১৫ জুন) সাপাহারের জিরো পয়েন্ট থেকে গোডাউনপাড়া মোড় পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে জমে ওঠে আমের হাট। হিমসাগর, ল্যাংড়া, নাক ফজলি, ব্যানানা ম্যাংগো, হাড়িভাঙা ও আম্রপালি জাতের আমের সরবরাহ রয়েছে চোখে পড়ার মতো।

তবে দামে রয়েছে চরম হতাশা। হিমসাগর বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ ১২০০-১৬০০ টাকা, ল্যাংড়া ৮০০-১৫০০ টাকা, নাক ফজলি ১২০০-১৫০০ টাকা, ব্যানানা ম্যাংগো ২৮০০-৩৫০০ টাকা, হাড়িভাঙা ১৫০০-২৫০০ টাকা এবং আম্রপালি ১৮০০-৩২০০ টাকা মণে।

আঁচলিক সংকট, জাতীয় প্রভাব পত্নীতলার আমচাষি মোঃ জুয়েল রানা (ডাবলু) জানান, “বর্গা নেয়া জমিতে আম্রপালি লাগিয়েছি। গত বছর যে আম ৪৫০০ টাকায় বিক্রি করেছি, সেই আম এবার ২০০০-২৫০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। কীটনাশক ও শ্রমিক খরচই উঠছে না।”

সাপাহারের হরিপুর গ্রামের চাষি খাইরুল বাসার বলেন, “প্রশাসনের নির্দেশ ছিল কেজিতে আম বিক্রির, কিন্তু এখনো ৫২ কেজিতে এক মণ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে। ফলন কম, দামও কম—এরপর যদি ওজনে বাড়তি আম দেই, তাহলে কৃষক হিসেবে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।”

চট্টগ্রাম থেকে আসা ব্যবসায়ী ফয়সাল বলেন, “মোকামে আমের চাহিদা নেই। ১০০ ক্যারেট আম কিনলেও ৫০ ক্যারেট বিক্রি হচ্ছে। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে।”

প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের মতামত বাংলাদেশ ফল ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী শাকিল হোসেন জানান, “সব ক্যারেটের আম একই সাইজের না হওয়ায় কৃষকদের সঙ্গে সমঝোতায় কেউ ৪৮ কেজি, কেউ ৫০ কেজি করে দিচ্ছে। তবে এটি নির্দিষ্টভাবে ৫২ কেজি না।”

সাপাহার উপজেলা আম আড়তদার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন রিফাত বলেন, “চলতি বছর আমের সাইজ ভালো হলেও উৎপাদন কিছুটা কম। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বেপারীরা এসে আম কিনছেন। আশা করছি, এ বছর ৫-৬ হাজার কোটি টাকার আম বেচাকেনা হবে। তবে কেজি ভিত্তিক আম বিক্রি সারাদেশে নিশ্চিত না হলে বাজারে একরকম বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে।”

তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের নির্দেশনায় কাজ করা হলেও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ব্যবসায়ীরা নিজেদের নিয়মে মণ হিসেবে কিনছেন। এ বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এ বছর নওগাঁ জেলায় ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ২৩৪ টন।

উপসংহার সাপাহারের হাটে আমের সরবরাহ যতটা বেশি, বাজারে দামের অবস্থা ঠিক তার উল্টো। আমের উৎপাদন, পরিবহন, সংরক্ষণ ও ন্যায্য মূল্যের নিশ্চয়তা না থাকলে শুধু কৃষকই নয়—পুরো ব্যবস্থাপনা পড়বে চরম সঙ্কটে। প্রশাসন, ব্যবসায়ী ও কৃষকদের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এই সমস্যা সমাধান কঠিন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট