1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৫:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
বগুড়ায় মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়াই বাবাকে হ*ত্যা গ্রে*ফতার ৩ কক্সবাজারে আবাসিক হোটেলে অভিযান, ৪৮ তরুণ-তরুণী আ*টক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত ১ জন। আজ বাবা দিবস বাবা মানে সংসারের ছায়া “বাবার আদর্শে জীবন গড়ি, বাবার স্বপ্ন পূরণ করি।” এক লক্ষ চল্লিশ হাজার পিস ইয়াবা ফেলে মাদক কারবারীরা পালালো। বিশ্ব বাবা দিবস: শ্রদ্ধা আর নিঃশর্ত ভালোবাসার এক দিন ছাগল পালনে স্বাবলম্বী সাগরি বেগম: নগরকান্দার এক সফল নারী উদ্যোক্তা মো: রিপন হোসেন জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার বাশাগাড়ী গ্রামের সাগরি বেগম এখন এলাকায় পরিচিত এক সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে। স্বল্প পুঁজি আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে শুরু করা ছাগল পালনের খামার আজ তাকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করেছে। তার এই সফলতা স্থানীয় নারীদের মধ্যেও নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। সাগরি বেগমের ছাগল পালনের যাত্রা শুরু হয় মাত্র তিন বছর আগে। প্রথমে তিনি স্থানীয় একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তিনটি ছাগল কেনেন। পাশাপাশি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ছাগল পালন ও রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। সময়ের সঙ্গে তার খামারের পরিধি বাড়তে থাকে। বর্তমানে তার খামারে ৫০টিরও বেশি ছাগল রয়েছে। সাগরি বেগম জানান, ছাগল পালন থেকে বছরে প্রায় এক লাখ টাকার বেশি আয় হচ্ছে। এ আয় দিয়ে তিনি সংসারের খরচ চালানোর পাশাপাশি সন্তানদের শিক্ষার ব্যয় ও চিকিৎসা খরচ মেটাতে সক্ষম হচ্ছেন। তার খামারে দেশি ও উন্নত জাতের ছাগলের সমন্বয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সাগরি বেগমের পথচলা সহজ ছিল না। বাজারে ছাগলের দাম ওঠানামা, পশু চিকিৎসা সেবার অভাবসহ নানা সমস্যা তাকে পোহাতে হয়েছে। তিনি বলেন, “প্রথম দিকে বাজারে ভালো দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। তবে এখন স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী উপজেলা ও জেলায় সরবরাহ শুরু করেছি। এতে লাভ কিছুটা বেড়েছে।” এছাড়া তিনি গ্রামের অন্য নারীদেরও ছাগল পালনের প্রতি আগ্রহী করে তুলছেন। নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন। সাগরি বেগমের আশা, সরকারি সহযোগিতা পেলে খামারটি আরও বড় করবেন এবং স্থানীয় নারীদের জন্য ছাগল পালন প্রশিক্ষণ ও বাজার সুবিধা নিশ্চিত করবেন। নগরকান্দা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, “সাগরি বেগমের মতো উদ্যোক্তারা গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা করতে বড় ভূমিকা রাখছেন। তাদের সহায়তায় আমরা সব সময় প্রস্তুত।” সাগরি বেগমের সাফল্য স্থানীয় নারীদের মধ্যে স্বনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন জাগিয়ে তুলেছে। গ্রামীণ অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় এমন উদ্যোক্তারা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন বলেই মনে করেন সচেতন মহল। মাদারীপুরে নিখোঁজের ১৭ দিন পর পাটক্ষেত থেকে উ*দ্ধার ম*রা*দেহ আশাশুনির খরিয়াটিতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে খাল খননের অভিযোগ।

বড়াইগ্রামে গভীর রাতে নলকূপের পাইপ ভাঙচুর, কমেদের স্পষ্ট স্বীকারোক্তি: “ভেঙেছি, এটা অপরাধ না… বিএনপির অনেক উপরে আমার হাত আছে”

দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

বড়াইগ্রামে গভীর রাতে নলকূপের পাইপ ভাঙচুর, কমেদের স্পষ্ট স্বীকারোক্তি: “ভেঙেছি, এটা অপরাধ না… বিএনপির অনেক উপরে আমার হাত আছে”

বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রতিনিধি মো: আজাদুল ইসলাম

নাটোরের বড়াইগ্রামের শ্যামপুর গ্রামে গভীর রাতে বিএডিসি’র গভীর নলকূপের পাইপ ভাঙচুর করে সেচ ব্যবস্থায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটানো হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী মোঃ কামরুজ্জামান কমেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ফরহাদ সরকার বড়াইগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

আসামির বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে গভীর নলকূপটির পাইপ লাইন ছিল। অভিযোগ অনুযায়ী, কাবিখা প্রকল্পে ব্যবহৃত একটি ভেকুর চালককে জোর করে নিয়ে গিয়ে রাতে পাইপ ভাঙানো হয়।
ভেকুর চালক জানান,
“রাত ১০টার দিকে কমেদ আমাকে জোর করে নিয়ে যান। পরে তার নির্দেশেই পাইপ ভাঙি।”

কমেদকে সরাসরি জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্পষ্ট বলেন:
“হ্যাঁ, আমি ভেঙেছি। এতে কোনো অন্যায় করিনি, এটা অপরাধও না।”
জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি আরও বলেন:
“হ্যাঁ, আমি বিএনপি করি। কোনো পদে নেই, কিন্তু অনেক উপরে আমার হাত আছে।”

কমেদের এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যে হতবাক স্থানীয়রা বলছেন, রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে এমন সেচব্যবস্থা ধ্বংস করায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন।

এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গুলাম সারোয়ার বলেন:
“লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ছাগল পালনে স্বাবলম্বী সাগরি বেগম: নগরকান্দার এক সফল নারী উদ্যোক্তা মো: রিপন হোসেন জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার বাশাগাড়ী গ্রামের সাগরি বেগম এখন এলাকায় পরিচিত এক সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে। স্বল্প পুঁজি আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে শুরু করা ছাগল পালনের খামার আজ তাকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করেছে। তার এই সফলতা স্থানীয় নারীদের মধ্যেও নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। সাগরি বেগমের ছাগল পালনের যাত্রা শুরু হয় মাত্র তিন বছর আগে। প্রথমে তিনি স্থানীয় একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তিনটি ছাগল কেনেন। পাশাপাশি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ছাগল পালন ও রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। সময়ের সঙ্গে তার খামারের পরিধি বাড়তে থাকে। বর্তমানে তার খামারে ৫০টিরও বেশি ছাগল রয়েছে। সাগরি বেগম জানান, ছাগল পালন থেকে বছরে প্রায় এক লাখ টাকার বেশি আয় হচ্ছে। এ আয় দিয়ে তিনি সংসারের খরচ চালানোর পাশাপাশি সন্তানদের শিক্ষার ব্যয় ও চিকিৎসা খরচ মেটাতে সক্ষম হচ্ছেন। তার খামারে দেশি ও উন্নত জাতের ছাগলের সমন্বয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সাগরি বেগমের পথচলা সহজ ছিল না। বাজারে ছাগলের দাম ওঠানামা, পশু চিকিৎসা সেবার অভাবসহ নানা সমস্যা তাকে পোহাতে হয়েছে। তিনি বলেন, “প্রথম দিকে বাজারে ভালো দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। তবে এখন স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী উপজেলা ও জেলায় সরবরাহ শুরু করেছি। এতে লাভ কিছুটা বেড়েছে।” এছাড়া তিনি গ্রামের অন্য নারীদেরও ছাগল পালনের প্রতি আগ্রহী করে তুলছেন। নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন। সাগরি বেগমের আশা, সরকারি সহযোগিতা পেলে খামারটি আরও বড় করবেন এবং স্থানীয় নারীদের জন্য ছাগল পালন প্রশিক্ষণ ও বাজার সুবিধা নিশ্চিত করবেন। নগরকান্দা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, “সাগরি বেগমের মতো উদ্যোক্তারা গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা করতে বড় ভূমিকা রাখছেন। তাদের সহায়তায় আমরা সব সময় প্রস্তুত।” সাগরি বেগমের সাফল্য স্থানীয় নারীদের মধ্যে স্বনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন জাগিয়ে তুলেছে। গ্রামীণ অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় এমন উদ্যোক্তারা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন বলেই মনে করেন সচেতন মহল।

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট