1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
গজারিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের উপর হামলা ও মোটরসাইকেলে আগুন। মো রাসেল সরকার গজারিয়া প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এক যুবককে মারধর করে একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। রবিবার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে এগারোটা দিকে গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামে আমিরুল ইসলাম মেম্বারের বাড়ির সামনের রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী যুবকের নাম শাকিল সরকার (২৫)। সে গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামের সালাউদ্দিন সরকারের ছেলে বলে জানা গেছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আহত শাকিল সরকারের বড় ভাই শাকিব সরকার বলেন, আমার ভাই শাকিল একজন আনসার সদস্য। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার ভাইয়ের উপর স্থানীয় হৃদয় বাগ ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত ছিল। তাদের ধারণা আমার ভাই তাদের প্রতিপক্ষ লালু-সৈকত গ্রুপের লোক। এই ঘটনার জের ধরে রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে ভবেরচর যাওয়ার পথে হোগলাকান্দি গ্রামের রাস্তায় তারা আমার ভাইয়ের গতিরোধ করে। এ সময় হৃদয় বাগ ও তার সহযোগী হামিমসহ ১০/১২জন আমার ভাইকে মারধর করে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়। বিষয়টি আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানিয়েছি’। স্থানীয়রা জানায়, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গজারিয়া উপজেলা হোগলাকান্দি গ্রামের লালু-সৈকত গ্রুপের সাথে আমিরুল ইসলাম মেম্বার গ্রুপের বিরোধ ছিলো। লালু-সৈকত ও হৃদয় বাগ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিল। হৃদয় বাগ ইমামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিল। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত হৃদয় বাগের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি সম্পর্কে আমিরুল ইসলাম মেম্বার বলেন, ‘ একটি মামলার কাজে আমরা মুন্সীগঞ্জে রয়েছি। হৃদয় বাগ অসুস্থ, তার পায়ে সমস্যা। সে ঠিকমতো হাঁটতে না পারায় বর্তমানে সে বাড়িতে অবস্থান করছে। সে একাজ করছে সেটা আমি বিশ্বাস করিনা’। বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘ এরকম একটি খবর আমিও পেয়েছি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। বগুড়ায় মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়াই বাবাকে হ*ত্যা গ্রে*ফতার ৩ কক্সবাজারে আবাসিক হোটেলে অভিযান, ৪৮ তরুণ-তরুণী আ*টক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত ১ জন। আজ বাবা দিবস বাবা মানে সংসারের ছায়া “বাবার আদর্শে জীবন গড়ি, বাবার স্বপ্ন পূরণ করি।” এক লক্ষ চল্লিশ হাজার পিস ইয়াবা ফেলে মাদক কারবারীরা পালালো। বিশ্ব বাবা দিবস: শ্রদ্ধা আর নিঃশর্ত ভালোবাসার এক দিন ছাগল পালনে স্বাবলম্বী সাগরি বেগম: নগরকান্দার এক সফল নারী উদ্যোক্তা মো: রিপন হোসেন জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার বাশাগাড়ী গ্রামের সাগরি বেগম এখন এলাকায় পরিচিত এক সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে। স্বল্প পুঁজি আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে শুরু করা ছাগল পালনের খামার আজ তাকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করেছে। তার এই সফলতা স্থানীয় নারীদের মধ্যেও নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। সাগরি বেগমের ছাগল পালনের যাত্রা শুরু হয় মাত্র তিন বছর আগে। প্রথমে তিনি স্থানীয় একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তিনটি ছাগল কেনেন। পাশাপাশি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ছাগল পালন ও রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। সময়ের সঙ্গে তার খামারের পরিধি বাড়তে থাকে। বর্তমানে তার খামারে ৫০টিরও বেশি ছাগল রয়েছে। সাগরি বেগম জানান, ছাগল পালন থেকে বছরে প্রায় এক লাখ টাকার বেশি আয় হচ্ছে। এ আয় দিয়ে তিনি সংসারের খরচ চালানোর পাশাপাশি সন্তানদের শিক্ষার ব্যয় ও চিকিৎসা খরচ মেটাতে সক্ষম হচ্ছেন। তার খামারে দেশি ও উন্নত জাতের ছাগলের সমন্বয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সাগরি বেগমের পথচলা সহজ ছিল না। বাজারে ছাগলের দাম ওঠানামা, পশু চিকিৎসা সেবার অভাবসহ নানা সমস্যা তাকে পোহাতে হয়েছে। তিনি বলেন, “প্রথম দিকে বাজারে ভালো দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। তবে এখন স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী উপজেলা ও জেলায় সরবরাহ শুরু করেছি। এতে লাভ কিছুটা বেড়েছে।” এছাড়া তিনি গ্রামের অন্য নারীদেরও ছাগল পালনের প্রতি আগ্রহী করে তুলছেন। নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন। সাগরি বেগমের আশা, সরকারি সহযোগিতা পেলে খামারটি আরও বড় করবেন এবং স্থানীয় নারীদের জন্য ছাগল পালন প্রশিক্ষণ ও বাজার সুবিধা নিশ্চিত করবেন। নগরকান্দা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, “সাগরি বেগমের মতো উদ্যোক্তারা গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা করতে বড় ভূমিকা রাখছেন। তাদের সহায়তায় আমরা সব সময় প্রস্তুত।” সাগরি বেগমের সাফল্য স্থানীয় নারীদের মধ্যে স্বনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন জাগিয়ে তুলেছে। গ্রামীণ অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় এমন উদ্যোক্তারা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন বলেই মনে করেন সচেতন মহল। মাদারীপুরে নিখোঁজের ১৭ দিন পর পাটক্ষেত থেকে উ*দ্ধার ম*রা*দেহ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দূর পাল্লার গাড়ী চলাচল চাপ থাকলেও নেই যানজট।

মোঃ ওয়াকিল আহমেদ নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দূর পাল্লার গাড়ী চলাচল চাপ থাকলেও নেই যানজট।

মোঃ ওয়াকিল আহমেদ নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

ঈদুল আজহার লম্বা ছুটি শেষে রোববার (১৫ জুন) থেকে অফিস-আদালত পুরোপুরি শুরু হবে। তাই স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে এখন নারায়ণগঞ্জে ফিরছে মানুষ।

ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপ দেখা গেছে। তবে স্বাভাবিক রয়েছে যান চলাচল। কোনো যানজট দেখা যায়নি।
শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় সাইনবোর্ড ও শিমরাইল মোড়ে দেখা যায়, মানুষ বিভিন্ন দূরপাল্লার বাসে করে ফিরছে। যাত্রীরা বলছেন, এ যাত্রায় সড়কে যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হয়নি তাদের।

পরিবার নিয়ে ফেনী থেকে ফিরেছেন আদমজী ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানার কর্মী ইয়াছিন আরাফাত সবুজ। তিনি বলেন, আমাদের ফ্যাক্টরি ১০ দিন ছুটি দিয়েছিল। রোববার চালু হবে। তাই একদিন আগেই ফিরে এসেছি। রাস্তা একবারে ফাঁকা।
চট্টগ্রাম থেকে আসা মজিব ফ্যাশন নামে এক পোশাক কারখানার শ্রমিক আরাফাত বলেন, আগামীকাল থেকে আমাদের অফিস খোলা। তাই আজ ফিরে এসেছি।

চিটাগাংরোডে হানিফ শ্যামুলি কাউন্টার ঘুরে জানা গেছে ফেরার যাত্রীর চাপ রয়েছে। চাপ কাল সকাল পর্যন্ত থাকবে। আর যাওয়ার যাত্রী একবারেই কম।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ আমাদের বলেন বলেন, ঘরমুখো মানুষ কর্মে যোগ দেওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ ফিরছে। আমাদের পুলিশ সদস্যরা সড়কে খেয়াল রাখছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

গজারিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের উপর হামলা ও মোটরসাইকেলে আগুন। মো রাসেল সরকার গজারিয়া প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এক যুবককে মারধর করে একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। রবিবার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে এগারোটা দিকে গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামে আমিরুল ইসলাম মেম্বারের বাড়ির সামনের রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী যুবকের নাম শাকিল সরকার (২৫)। সে গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামের সালাউদ্দিন সরকারের ছেলে বলে জানা গেছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আহত শাকিল সরকারের বড় ভাই শাকিব সরকার বলেন, আমার ভাই শাকিল একজন আনসার সদস্য। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার ভাইয়ের উপর স্থানীয় হৃদয় বাগ ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত ছিল। তাদের ধারণা আমার ভাই তাদের প্রতিপক্ষ লালু-সৈকত গ্রুপের লোক। এই ঘটনার জের ধরে রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে ভবেরচর যাওয়ার পথে হোগলাকান্দি গ্রামের রাস্তায় তারা আমার ভাইয়ের গতিরোধ করে। এ সময় হৃদয় বাগ ও তার সহযোগী হামিমসহ ১০/১২জন আমার ভাইকে মারধর করে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়। বিষয়টি আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানিয়েছি’। স্থানীয়রা জানায়, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গজারিয়া উপজেলা হোগলাকান্দি গ্রামের লালু-সৈকত গ্রুপের সাথে আমিরুল ইসলাম মেম্বার গ্রুপের বিরোধ ছিলো। লালু-সৈকত ও হৃদয় বাগ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিল। হৃদয় বাগ ইমামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিল। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত হৃদয় বাগের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি সম্পর্কে আমিরুল ইসলাম মেম্বার বলেন, ‘ একটি মামলার কাজে আমরা মুন্সীগঞ্জে রয়েছি। হৃদয় বাগ অসুস্থ, তার পায়ে সমস্যা। সে ঠিকমতো হাঁটতে না পারায় বর্তমানে সে বাড়িতে অবস্থান করছে। সে একাজ করছে সেটা আমি বিশ্বাস করিনা’। বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘ এরকম একটি খবর আমিও পেয়েছি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

গজারিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের উপর হামলা ও মোটরসাইকেলে আগুন। মো রাসেল সরকার গজারিয়া প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এক যুবককে মারধর করে একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। রবিবার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে এগারোটা দিকে গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামে আমিরুল ইসলাম মেম্বারের বাড়ির সামনের রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী যুবকের নাম শাকিল সরকার (২৫)। সে গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামের সালাউদ্দিন সরকারের ছেলে বলে জানা গেছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আহত শাকিল সরকারের বড় ভাই শাকিব সরকার বলেন, আমার ভাই শাকিল একজন আনসার সদস্য। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার ভাইয়ের উপর স্থানীয় হৃদয় বাগ ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত ছিল। তাদের ধারণা আমার ভাই তাদের প্রতিপক্ষ লালু-সৈকত গ্রুপের লোক। এই ঘটনার জের ধরে রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে ভবেরচর যাওয়ার পথে হোগলাকান্দি গ্রামের রাস্তায় তারা আমার ভাইয়ের গতিরোধ করে। এ সময় হৃদয় বাগ ও তার সহযোগী হামিমসহ ১০/১২জন আমার ভাইকে মারধর করে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়। বিষয়টি আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানিয়েছি’। স্থানীয়রা জানায়, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গজারিয়া উপজেলা হোগলাকান্দি গ্রামের লালু-সৈকত গ্রুপের সাথে আমিরুল ইসলাম মেম্বার গ্রুপের বিরোধ ছিলো। লালু-সৈকত ও হৃদয় বাগ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিল। হৃদয় বাগ ইমামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিল। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত হৃদয় বাগের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি সম্পর্কে আমিরুল ইসলাম মেম্বার বলেন, ‘ একটি মামলার কাজে আমরা মুন্সীগঞ্জে রয়েছি। হৃদয় বাগ অসুস্থ, তার পায়ে সমস্যা। সে ঠিকমতো হাঁটতে না পারায় বর্তমানে সে বাড়িতে অবস্থান করছে। সে একাজ করছে সেটা আমি বিশ্বাস করিনা’। বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘ এরকম একটি খবর আমিও পেয়েছি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

ছাগল পালনে স্বাবলম্বী সাগরি বেগম: নগরকান্দার এক সফল নারী উদ্যোক্তা মো: রিপন হোসেন জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার বাশাগাড়ী গ্রামের সাগরি বেগম এখন এলাকায় পরিচিত এক সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে। স্বল্প পুঁজি আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে শুরু করা ছাগল পালনের খামার আজ তাকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করেছে। তার এই সফলতা স্থানীয় নারীদের মধ্যেও নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। সাগরি বেগমের ছাগল পালনের যাত্রা শুরু হয় মাত্র তিন বছর আগে। প্রথমে তিনি স্থানীয় একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তিনটি ছাগল কেনেন। পাশাপাশি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ছাগল পালন ও রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। সময়ের সঙ্গে তার খামারের পরিধি বাড়তে থাকে। বর্তমানে তার খামারে ৫০টিরও বেশি ছাগল রয়েছে। সাগরি বেগম জানান, ছাগল পালন থেকে বছরে প্রায় এক লাখ টাকার বেশি আয় হচ্ছে। এ আয় দিয়ে তিনি সংসারের খরচ চালানোর পাশাপাশি সন্তানদের শিক্ষার ব্যয় ও চিকিৎসা খরচ মেটাতে সক্ষম হচ্ছেন। তার খামারে দেশি ও উন্নত জাতের ছাগলের সমন্বয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সাগরি বেগমের পথচলা সহজ ছিল না। বাজারে ছাগলের দাম ওঠানামা, পশু চিকিৎসা সেবার অভাবসহ নানা সমস্যা তাকে পোহাতে হয়েছে। তিনি বলেন, “প্রথম দিকে বাজারে ভালো দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। তবে এখন স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী উপজেলা ও জেলায় সরবরাহ শুরু করেছি। এতে লাভ কিছুটা বেড়েছে।” এছাড়া তিনি গ্রামের অন্য নারীদেরও ছাগল পালনের প্রতি আগ্রহী করে তুলছেন। নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন। সাগরি বেগমের আশা, সরকারি সহযোগিতা পেলে খামারটি আরও বড় করবেন এবং স্থানীয় নারীদের জন্য ছাগল পালন প্রশিক্ষণ ও বাজার সুবিধা নিশ্চিত করবেন। নগরকান্দা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, “সাগরি বেগমের মতো উদ্যোক্তারা গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা করতে বড় ভূমিকা রাখছেন। তাদের সহায়তায় আমরা সব সময় প্রস্তুত।” সাগরি বেগমের সাফল্য স্থানীয় নারীদের মধ্যে স্বনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন জাগিয়ে তুলেছে। গ্রামীণ অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় এমন উদ্যোক্তারা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন বলেই মনে করেন সচেতন মহল।

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট