1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
উচ্চ বিদ্যালয়ে আধুনিক বহুতল ভবন না থাকায় পাঠদানে বিঘ্নতার সৃষ্টি হচ্ছে তানোরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ২৯জন শিক্ষার্থী নওগাঁর আত্রাইয়ে স্কুলশিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ বান্দরবানের যুবদল নেতা ফারুক কে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা পার্শ্ববর্তী লোহাগড়ায় উদ্ধার পত্নীতলায় নেচে গেয়ে কারাম উদযাপন রাজশাহী’তে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে-মানববন্ধন আগুনে ছাই গাজীপুর চৌরাস্তা কাঁচাবাজার অগ্নিকাণ্ডে জীবিকার স্বপ্ন হারালেন শতাধিক ব্যবসায়ী পরিবার শ্যামনগরে জেলা প্রশাসকের নানাবিধ উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ভাঙ্গা-ফরিদপুর মহাসড়ক যেন মৃত্যুফাঁদ

দোকানের কোণায় দাঁড়িয়ে আর্তনাদ—এক জনপ্রতিনিধির কাছে নিঃস্ব এক নারীর জীবনের গল্প”

দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

দোকানের কোণায় দাঁড়িয়ে আর্তনাদ—এক জনপ্রতিনিধির কাছে নিঃস্ব এক নারীর জীবনের গল্প”

বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রতিনিধ
মো: আজাদুল ইসলাম

নাটোরের বড়াইগ্রামের জোনাইল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইমরান হোসেন কালুর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে বাজারের একটি দোকানের ভেতরে দাঁড়িয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন তারই স্ত্রী মরিয়ম খাতুন। চারদিকে হাটের কোলাহল, আর মাঝখানে একজন নিঃসঙ্গ নারী—যার কণ্ঠে ছিল না চিৎকার, ছিল শুধু গভীর, মায়াভরা এক আর্তনাদ।

মরিয়ম বলেন, “আমি শুধু একজন স্ত্রী ছিলাম না—আমি ছিলাম একজন মানুষের জীবনের অংশ। অথচ সেই মানুষটাই আমাকে ভাঙলো, তুচ্ছ করলো, ধ্বংস করলো। বছরের পর বছর ধরে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে গেছে।”

তিনি জানান, ইউপি সদস্য ইমরান হোসেন কালু সমাজে একজন সম্মানিত জনপ্রতিনিধি হলেও ঘরের ভেতরে তার রূপ ভিন্ন। “মানুষ তাকে ভোট দিয়েছে, বিশ্বাস করেছে। অথচ সেই মানুষটাই দিনের পর দিন একজন নারীকে নিঃশেষ করে দিয়েছে।”

মরিয়ম বলেন, তিনি অতীতেও তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন, কিন্তু নানা অজুহাত, প্রতিশ্রুতি ও সামাজিক চাপে পড়ে সেসব মামলা তুলে নিতে হয়েছিল তাকে। “আমি চেয়েছিলাম সংসারটা টিকুক। কিন্তু আমার সহ্য করাটাই তার পাষণ্ডতার পাথরে আরও ইট জুড়েছে।”

তবে এবার আর পিছু হটেননি তিনি। মরিয়ম খাতুন আবারও আদালতে মামলা করেছেন।
তিনি বলেন, “এবার আমি শেষ পর্যন্ত যাব। বিচার আদায় না করে থামবো না। কারণ এবার আমি শুধু নিজের জন্য নয়—সকল নির্যাতিত নারীর জন্য লড়ছি।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ইমরান হোসেন কালু একাধিক বিয়ে করেছেন এবং প্রতিটি সম্পর্কে নারীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। তবে সংবাদ সম্মেলনে মরিয়ম কোনও নারীর বিরুদ্ধে একটিও শব্দ উচ্চারণ করেননি—তার সব কথা ছিল শুধুমাত্র নির্যাতনের দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

“আজ আমার পাশে কেউ নেই। বাজারের একটা দোকানের কোণায় দাঁড়িয়ে নিজের জন্য লড়ছি। কারণ আমি জানি, যদি আজ আমি চুপ থাকি, কাল অন্য একজনও কাঁদবে আমার মতো। আমি বিচার চাই। আমি নিরাপত্তা চাই,” বলেন মরিয়ম।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রশাসনের কাছে তার এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানান। সেইসঙ্গে একজন জনপ্রতিনিধির হাতে নির্যাতনের শিকার হওয়া এক নারীর পক্ষ থেকে ইমরান হোসেন কালুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

এই প্রতিবেদন শুধু একটি অভিযোগ নয়—এ যেন এক ভাঙা হৃদয়ের অভিমানে উচ্চারিত সমাজের প্রতি প্রশ্ন:
“কতদিন আর নারীর কান্না চাপা পড়ে থাকবে দেওয়ালের আড়ালে?”

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট