1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
চিরিরবন্দর উপজেলা ক্রীয়া সংস্কার,এডহক কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা । নীলফামারির ডোমারে ৫০ বোতল ফেনসিডিল সহ একজন আ,ট ক ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে আপত্তির মুখে বাস ভাড়া বাড়ল ৫ টাকা । লফস’র মশারি বিতরণ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে প্রভাতের গ্রাম পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া থেকে পথযাত্রা শুরু করেছেন আল-আমিন মানবিক সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পরিচালক ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় ৪ মা,দ,ক কারবারি আ,ট,ক নীলফামারী পুলিশ লাইন্স মাঠে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চিরিরবন্দর, রানীর বন্দরে ড্রাম ট্রাক মোটরসাইকেলে সড়ক দু,র্ঘট,না, নি,হ,ত ১ ,আ,হ,ত ১।

রৌমারীর অনাবাদি জমিতে পুষ্টিবাগানে নতুন সম্ভাবনা

মোঃ শাহিনুর রহমান আকাশ
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫
  • ৫১ বার পড়া হয়েছে

রৌমারীর অনাবাদি জমিতে পুষ্টিবাগানে নতুন সম্ভাবনা

এম, এ, ফারুকী, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বসতবাড়ির আঙিনায় ও অনাবাদি পতিত জমিতে পুষ্টিবাগান। উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্ঠিবাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় এসব বাগান করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে কৃষকদের, দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণও। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে এসব তথ্য।

এবার চলতি খরিপ মৌসুমে ১৮৫ টি পরিবারকে উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় বিভিন্ন প্রকার সবজি বীজ ও ফলের চারা প্রদান করা হয়। কৃষকরা এসকল বীজ ও ফলের চারা রোপন করে পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ শাকসবজি ও ফল উৎপাদন করছে। ফলে একদিকে যেমন অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আসছে। তেমন প্রতিটি পরিবার তাদের দৈনিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করছে। পাশাপাশি শি বাজারে এসব সবজি বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে।

এতে প্রতি ইঞ্চি অব্যবহৃত ও অ্যাবাদি জমির ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে। কৃষকেরা বলছেন বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষ করার ফলে তাঁরা নিজেরাই পরিচর্যা করতে পারছেন। পরিবারের সবজির চাহিদা পূরণ করতে বাইরে থেকে সবজি কিনতে হচ্ছে না।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি খরিপ মৌসুমে ১৮৫ টি পরিবারকে সহায়তা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় বিনা মূলে প্রতিটি ইউনিয়নে পর্যায় ক্রমে আরও বৃদ্ধি করা হবে। প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ জনপদের বসতবাড়ির আঙিনা, আঙিনা, পুকুর-খালের পাড় পাড়, বাড়ির বাড়ির আশলাশ, নাতিসেতে ছায়াযুক্ত স্থানে সবজি-মসলা চাষ হবে। সেই সঙ্গে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য কৃষক পরিবারগুলাতে সবজি ও মসলার চাষাবাদ করা হবে। এতে বাড়ি বাড়ি বাড়ি বাড়ি গড়ে গড়ে উঠবে পুষ্টিবাগান। বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি চাষের পাশাপাশি হলুদ, মরিচ ও আদাসহ মসলা জাতীয় ফসলের চাষ হবে সেখানে। পাঠ পর্যয়ে সরেজমিনে দেখতে আসেন মামুনুর রহমান, জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার ডিএই, খামারবাড়ি কুড়িগ্রাম।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের মির্জাপাড় গ্রামের সুমি আক্তার বলেন, ‘বনত বাড়ির পাশে যে স্বল্প পতিত জায়গা ছিল সেখানে পুষ্টি বাগান স্থাপন করে ৯ থেকে ১০ প্রকার শাক সবজির চাষ করছি। বাড়ির আঙিনায় হওয়ায় নিজেই এর পরিচর্যা করতে পারি। এখন আমাদের বাজার থেকে শাক সবজি কিনতে হয়না।

উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাশেম জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা যেমন পকা হবে তেমনি কৃষক ধীরে ধীরে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহারের পরিবর্তে জমতে আর্মি কম্পোস্ট ও জৈব সারের ব্যবহার শিখবে। মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে ও সংরক্ষিত থাকবে পরিবেশ। একই সঙ্গে মানুষের পুষ্টিহীনতা দূর হওয়ার পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধরী বলেন, ফসল চাষের আধুনিক কলাকৌশল বিষয়ে প্রশিক্ষণ পাবেন প্রদর্শনীভুক্ত কৃষক-কৃষাণী। ফলে উৎপাদনে যুগোপযোগী প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে তাঁরা শল্যের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন। এমনকি প্রকল্পভুক্ত ফসলের উৎপাদন, সংগ্রহে, গ্রেজি, প্যাকিংসহ বিভিন্ন কাজে সম্পৃক্ত হয়ে নারীদের কর্মসংস্থান বাড়বে। ফলে পারিবারিক আর বৃদ্ধির পাশাপাশি পুষ্টির ঘাটতি পূরা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট