ছোট বোন হারিয়ে কাঁদছেন দৈনিক ক্রাইম তালাশের সম্পাদক ও প্রকাশক, সাংবাদিক মাহমুদুল কবির নয়ন
আরিফুর রহমান তীব্র,সদর উপজেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর।
দেশের বরেণ্য সাংবাদিক ও দৈনিক ক্রাইম তালাশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহমুদুল কবির নয়ন আজ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এক আবেগঘন স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন ছোট বোন শ্রাবণী আক্তারের মৃত্যুর আবেগময়ী ঘটনা।
নয়ন জানান, রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও শ্রাবণীকে তিনি ছোট বোনের মতো ভালোবেসে দেখতেন। মাত্র ২৬ বছর বয়সে ক্যান্সারের সাথে দীর্ঘদিনের লড়াই শেষে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গত ২২ মে রাতের অন্ধকারে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন শ্রাবণী।
নিজের বোনের জন্য নয়নের অনুভূতি ছিল গভীর এবং ব্যথাদায়ক। তিনি লিখেছেন, “একটুকু অংশ বুকের যেন অন্ধকারে রেখে আসলাম; একা, চির একা।” শেষ মুহূর্তে ছোট বোনের বুক থেকে শোনা চাওয়া ছিল—“আরেকটু সময়, আরেকটু জীবন” — যা ছিল সময়ের বিরুদ্ধে হার।
ছোট বোনের রেখে যাওয়া অমূল্য স্মৃতি মাত্র দুই বছরের এক শিশু সন্তান, যার মায়ের ঘ্রাণ সেই ছোট্ট শরীরে এখনও বাঁচে। নয়ন তার পোস্টে বলেন, “মা আর নেই, এখন সে হয়তো শুধু ছবি দেখে চিনবে।”
একজন সাংবাদিক হিসেবে অন্যের জীবনের গল্প বলতে বলতে নিজের ছোট বোনের বিদায়ের সংবাদ লেখা ছিল যেন অসম্ভব এক কঠিন কাজ। নয়নের কলম বারবার থেমে গিয়েছিল, চোখের পানিতে লেখার পাতা ভিজে যেত। তিনি নিজেকে অপরাধী মনে করেন কারণ ভালোবাসা যথেষ্ট প্রকাশ করতে পারেননি।
নয়ন তার আবেগঘন স্ট্যাটাসে বলেন, “এটি কোনো পেশাগত প্রতিবেদন নয়; এটি এক ভাইয়ের আর্তনাদ, একজন মানুষের হৃদয়ের কান্না।”
তিনি মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেছেন শ্রাবণী আক্তারের জন্য জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ স্থান বরাদ্দের এবং তার সন্তান ও পরিবারকে ধৈর্যের আশীর্বাদ দান করার।
তিনি আরো জানিয়েছেন, তাঁর ছোট বোনের মৃত্যুজনিত কারণে গতকাল দৈনিক ক্রাইম তালাশ পত্রিকার সমস্ত কার্যক্রম স্থগিত ছিল। শুধু তাই নয়, নয়নের পক্ষ থেকে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় পত্রিকার যেসব প্রতিনিধি রয়েছেন—তাঁদের মাধ্যমে শ্রাবণী আক্তারের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এই শোক বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে এবং দেশের সাংবাদিক সমাজ এই অকাল প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছে।