নাটোর উপজেলা প্রতিনিধি মো: আজাদুল ইসলাম
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সম্প্রতি এলাকাবাসী এক মানববন্ধনের আয়োজন করেন। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া স্থানীয়রা অভিযোগ করেন—উক্ত সদস্য সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও প্রভাব খাটিয়ে ব্যক্তিস্বার্থে সুবিধা নিচ্ছেন।
তাদের দাবি, টিআর, কাবিখা ও অন্যান্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা প্রকৃত হতদরিদ্রদের না দিয়ে সদস্য নিজ গোষ্ঠীকে প্রদান করেছেন। অভিযোগ আছে, তিনি কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঘুষ ছাড়া কাজ করতেন না।
মানববন্ধনের পরপরই অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হঠাৎ করে নিজেই একটি পাল্টা মানববন্ধনের আয়োজন করেন। সেই মানববন্ধনের আয়োজন এবং বক্তব্য ঘিরে গ্রামজুড়ে শুরু হয় নতুন করে আলোচনা ও বিতর্ক। স্থানীয়রা জানান, ওই কর্মসূচিতে অংশ নিতে অনেককেই চাপ প্রয়োগ করা হয়। কেউ কেউ অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক প্রলোভনের শিকার হয়ে সেখানে উপস্থিত হন।
সবচেয়ে আলোচিত ও বিতর্কিত ছিল মানববন্ধনে ইউপি সদস্যের দেওয়া বক্তব্য, যেখানে তিনি বলেন—“এক সাংবাদিক আমার কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছে।” তিনি শত শত মানুষের সামনে এ দাবি করেন।
তবে সচেতন মহল ও সাংবাদিক সমাজের মতে, এটি একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার। একজন সাংবাদিক কখনোই শত শত মানুষের সামনে চাঁদা দাবি করতে পারেন না। বরং এটি প্রকৃত দুর্নীতির অভিযোগ থেকে দৃষ্টি সরাতে এবং নিজের অপকর্ম আড়াল করতে সাংবাদিকদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা।
একজন প্রবীণ স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “যিনি জনগণের টাকা আত্মসাৎ করেন, তিনি এখন সাংবাদিককে টার্গেট করে দায় চাপাতে চাইছেন—এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক।”
এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, ওই ইউপি সদস্য পরিষদের বাইরে প্রভাব বিস্তার করে নানা অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির কার্ড, রেশন, এবং প্রকল্পভিত্তিক নিয়োগ বণ্টনে পক্ষপাতিত্ব ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ রয়েছে।
বর্তমানে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি জোরালো হচ্ছে।