কে এম শহীদুল সুনামগঞ্জ:
সুনামগঞ্জের পশ্চিম তেঘরিয়া নিবাসি মৃত মোঃ সামছুল হকের ছেলে বর্তমান নতুন পাড়ার বাসিন্দা আল মুবিন নামে এক ব্যাক্তি খুন হয়েছেন। ঘটনা ঘটে ৬মে ২০২৫ ইং মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে। জানাযায় একই মহল্লার বখাটে হৃদয় বণিক নামে এক সন্ত্রাসী একই মহল্লার আল মুবিন নামে এক ব্যাক্তিকে ফারিয়া একাডেমী সংলগ্ন বাসার পাশে বালুর উপর ফেলে দাঁড়ালো চুরি দিয়ে এলো পাতারি আঘাত করতে থাকে। এসময় আল মুবিন গুরতর আহত হন। আহত অবস্থায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে আহত আল মুবিন এর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সিলেটে রেফার্ট করেন সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে আল মুবিন মৃত্যু বরণ করেন।
পরে রাত ৮ দিকে সদর থানা পুলিশ ঘাতক একই এলাকার হৃদয় বণিককের নিজ বাসা থেকে দরজা প্রায় ঘন্টা খানেক খুঁজে হৃদয় বনিকের বাসার ২য় তলার একটি রুমের ভিতর থেকে দরজা ভেঙে আটক করতে সক্ষম হন পুলিশ সদস্যরা । এসময় শতশত মানুষ ঘাতক হৃদয়কে ঘেরাও করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সদর থানার ওসি মোঃ আবুল কালাম উত্তেজিত জনতাকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে ঘাতককে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় শতশত পাবলিক জনতা ঘাতক হৃদয়কে পাবলিক ধুলাই দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সহ পুলিশের একটি টিম তাকে দ্রুত গতিতে গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যান। জানা যায় নিহত আল মুবিন এবং ঘাতক হৃদয় বণিক একই এলাকার বাসিন্দা ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,ঘাতক হৃদয় বণিক সে প্রায়ই দাড়াঁলো ছুরি সাথে নিয়ে চলাফেরা করত এবং মাদক জাতীয় নেশা সেবন করে এলাকার মধ্যে অশালীন আচরণ করতো মানুষের সাথে এমনটি জানান অনেকেই ।
জানা যায় ঘটনার সময় নতুনপাড়া এলাকায় আল মুবিননের বাসার সামনে দিয়ে হৃদয় বণিক যাওয়ার পথে আল মুবিনকে সামনে পেয়ে তাকে দাড়াঁলো অস্ত্র ছুরা দিয়ে মুবিনের পেছনে ও সামনে পরপর চারটি স্টেপিং করলে অনেক রক্তখননে তিনি মাটিয়ে লুঠিয়ে পড়েন। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে এবং পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মুবিনের মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ আবুল কালাম ঘাতক হৃদয় বণিককে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ##