মেহেদী হাসান খোকা,ব্যুরো প্রধান বরিশাল:
বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এসে এভাবেই সাংবাদিক সম্মেলন করে হত্যার ঘটনা তুলে ধরেন খুনিতের হাতে নৃশংস হবে খুন হওয়া তরমুজ চাষী মৃতঃ কুদ্দুস হাওলাদারের মেয়ে সাদিয়া, সাদিয়া বলেন আমার বাবা ছিলেন একজন কৃষক।অন্যের জমি গির্বি
নিয়ে তিনি চাষাবাদ করতেন।
চলতি বছরে আমাদের বসতঘরের পাশে ৫০ শতক জমিতে বাবা তরমুজ চাষ করেছিলেন। মা এবং বাবা মিলে দিনরাত পরিশ্রম করে এই তরমুজ খেতে করেছিলেন আশানুরূপ ভালো ফলোন ও ভালো হয়েছে। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের খেত থেকে তরমুজ চুরি করে নিয়ে যায় আমার বাবার হত্যাকারীরা।
গত ০৩/০৪/২০২৫ তারিখ বৃহস্পতিবার আনুমানিক দুইটার সময় আবারো আমাদের খেত থেকে আসামিরা তরমুজ নিয়ে যাওয়ার সময় আমার বাবা কৃষক কুদ্দুস হাওলাদার বাধা প্রদান করিলে তাকে তারা এলোপাথাড়ি পিটিয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে গত ০৪/০৪/২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ০৩.০০ ঘটিকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুদ্দুস হাওলাদার মৃত্যুবরণ করেন।
এই ঘটনায় আমার মা আকলিমা আক্তার (৩২)বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় ০৪/০৪/২৫ তারিখে বিকেল পৌনে ৪ টার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং৬,জিআর নং১২৩/২৫ আর সেই মামলাতে আসামীরা হলেন।১ মোঃ আনোয়ার হোসেন চৌকিদার(৩২) পিতা মতিউর রহমান মানিক মাষ্টার ২ সানি(২০) পিতা- মৃত সুলতান চৌকিদার,৩ মোঃ ফয়সাল চৌকিদার (২৮) ৪ হিরণ চৌকিদার(১৯) ৫ মাসিদ চৌকিদার (৩২) এই চারজনের পিতা হারুন চৌকিদার, ৬ মিরাজ মোল্লা (২৯) পিতা আলাউদ্দিন মোল্লা, ৭ সরোয়ার চৌকবদার (২৩) পিতা মতিউর রহমান মানিক মাষ্টার, মতিউর রহমান মানিক মাষ্টার (৬৩),পিতা -মৃত আফতার আলী চৌকিদার ৯ হারুন চৌকিদার (৫৫) পিতা মৃত নজর আলী চৌকিদার সহ- আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞত নামে আসামি করা হয়েছে এদের সকলের বাড়ী চরাদী ইউনিয়নেন।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো এই ঘটনার একমাস অতিক্রম হয়ে গেলেও বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ একজন আসামিকেও গ্রেফতার করতে পারেনি আসামিরা এলাকাতেই ঘুরে বেড়াচ্ছে । এবং আসামিরা বিভিন্ন পন্থায় মামলা উঠিয়ে নিতে বলে এবং হত্যার হুমকি দেয় মামলা না উঠালে বংশের প্রদীপ জ্বালানোর মতন কাউকে রাখবো না। এমত অবস্থায় আমি এবং আমার মা ভাই বোন সহ আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি কয়েকবার এই বিষয়ে থানা পুলিশকে জানালেও কোন পতিকার পাইনি। তাই সকল বিবেকবান মানুষের কাছে আমার একটাই প্রশ্ন তাহলে কি? আমার বাবার মতন আমাদের টোটাল ফ্যামিলির লোকদের কে মৃত্যুবরণ করতে হবে।
প্রশাসনের সকল স্তরের ভাইদের কাছে তাদের ফ্যামিলির নিরাপত্তা ও প্রাণভিক্ষা চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।এই নিউজ লেখা পর্যন্ত এখনো একজন আশা নিয়োগ গ্রেফতার হয়নি। এই বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় জানতে চাওয়া হলে একজন আসামি গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।অন্য আসামীদের কেউ ধরার জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।