আনারুজ্জামান , দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
আশাশুনিতে মারপিটে আহত পরিবারকে মামলা না দিতে প্রান নাশের হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আশাশুনি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আশাশুনি গ্রামের মৃত আফতাব উদ্দিনের ছেলে হামলায় আহত মুরশিদ আলম।
তিনি জানান, আমার বড় ভাই খায়রুল আলম সোদকনা গ্রামে বসবাস করে। তার সাথে একই গ্রামের মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে সন্ত্রাসী মেহের আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সালিশী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জমির সীমানায় প্রাচীর নির্মান কাজ চলছিল। এ ঘটনার জের ধরে গত রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় মেহের আলীর নেতৃত্বে তার বাহীনির লোকজন এসে প্রাচীর ভাংচুর করতে থাকে। আমার ভাই বাড়ীতে না থাকায় আমার ভাবী বাঁধা সৃষ্টি করলে তাকে পিটিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে আমি ও আমার ভাই খায়রুল আলম, ভাইপো আসিফ ইকবাল, খোরশেদ আলম, সাকিব, যুবরাজ, ভ্যানচালক আরাফাত হোসেন সেখানে উপস্থিত হলে তাদেরকেও পিটিয়ে ও কুপিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়। এরপর তারা বাড়ীতে ভাংচুর ও লুটপাট করে। তাদের মারপিটে ভ্যানচালক আরাফাত ও মন্টু সহ আমাদের পরিবারের ৯ জন আহত হয়। এরমধ্যে গুরুতর আহতাবস্থায় আসিফ ইকবাল, খায়রুল আলম ও আমাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। অন্যান্য আহতদের আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আশাশুনি থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করা হলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এজাহার তুলে নিতে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া আমরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সুযোগে তারা প্রতি রাতে আমার বড় ভাইয়ের বাড়ীতে এসে মহিলাদের ভয়ভীতি দেখানো সহ বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান মালামাল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। তাই এসব সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের জোর দাবী জানিয়ে আইন শৃংখলা বাহীনির আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।