মোঃ দেলোয়ার হোসেন কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর বগুড়া জেলা শাখার সাতটি সংসদীয় আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন ।গত ০৫/০৪/২০২৫ রোজ শনিবার দুপুরে বগুড়া জেলা শহীদ টিটু মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কর্মী, সাথী ও সদস্যদের প্রীতি সমাবেশে বগুড়া -৪ (কাহালু নন্দীগ্রাম) এলাকার অধ্যক্ষ মাও: তায়েব আলী কে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানের উপস্থিতিতে। বগুড়া জেলা আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হক সরকার এ ঘোষণা দেন ।অধ্যক্ষ মাওঃ তায়েব আলী ছাত্র জীবন থেকে ইসলামী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন শিক্ষাজীবনে দাখিল, আলেম ও ফাজিল সম্পূর্ণ করেন কল্যাপাড়া আনওয়ারুল উলুম ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা কাহালু বগুড়া ও কামিল সম্পন্ন করেন দেওয়ানগঞ্জ কামিল মাদ্রাসা থেকে। পড়াশোনা শেষে বেছে নিয়েছিলেন শিক্ষাগতপেশায় নিজ এলাকায় কল্যাপাড়া আনওয়ারুল উলুম ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা কাহালু বগুড়া। পাশাপাশি চালিয়েছেন ইসলামে আন্দোলনের কাজ যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামে ।যোগ্যতার ফলে কাহালু উপজেলা আমির , বগুড়া জেলা নায়েবে আমির এবং পশ্চিম বগুড়া জেলা আমির হয়েছিলেন। দল যেমন ভালবেসে ছিলেন ঠিক তেমনি কাহালু উপজেলা মানুষদের মন জয় করে নিয়েছিলেন অধ্যক্ষ মাও: তায়েব আলী। প্রথমবার উপজেলা নির্বাচন ১৯৯০ সালে দ্বিতীয়বার ২০০৯ সালে এবং তৃতীয়বার ২০১৪ সালে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচন করেন নি। তিনবারের উপজেলা নির্বাচনীয় মানুষদের ভালোবাসা ও নিজ অভিজ্ঞতা নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামী প্রতীক নিয়ে বগুড়া- ৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) সংসদীয় আসনে নির্বাচন করবেন অধ্যক্ষ মাও: তায়েব আলী। তাকে প্রশ্ন করা হয় আপনার বিপক্ষে নির্বাচন করতে পারে সাবেক সংসদ সদস্য বাংলাদেশ জাতীয়বাদী কৃষক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মোশারফ হোসেন এমপি তাকে নিয়ে কিভাবে মূল্যায়ন করছেন? তিনি বলেন আমার প্রথম উপজেলা নির্বাচনে র সময় আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আজিজুল হক মোল্লা বি,এন,পি যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। সেই সময় আমি প্রথম আর আজিজুল হক মোল্লা তৃতীয় হয়েছিলেন সম্মান দেওয়ার মালিক আল্লাহ সে যাকে সম্মান দেবে তিনি সম্মানিত হবেন। কাহালু-নন্দীগ্রাম মানুষ যুদ্ধের পর থেকে অনেক দলকে দেখেছেন আমি শতভাগ আশা করি আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী কে অর্থাৎ আমাকে আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন ইনশাআল্লাহ। পেশাগত জীবনে অবসর নেয় ২০০৬ সালে ৩১শে ডিসেম্বর। তাকে প্রশ্ন করা হয় পেশা জীবনে অবসর নিয়েছেন কিন্তু রাজনৈতিক জীবনী অবসর নিচ্ছেন না কেন ? উত্তরে বলেন আসল অবসর মৃত্যুর পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য কাজ করে যেতে চান অধ্যক্ষ মাও: তায়েব আলী পরিশেষে কাহালু- নন্দীগ্রাম সকল মানুষের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ।