1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ১১:৩৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
দেশব্যাপী ২০’ই মে সাংবাদিকদের কলম বিরতি পালনের আহবান বিএসকেপি’র  রাতের আধারে ধূলিসাৎ করে দিল কুল বড়ই চাষের স্বপ্ন কুড়িগ্রামে গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ছদরুল আলম বাবু মাষ্টার গ্রেফতার বেনাপোল টাস্কফোর্সের অভিযান চালিয়ে মোবাইল ও কসমেটিক্স আটক করেছে বিজিবি বাস্তা সবুজ সংঘ মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গীকারের ঘোষণা ঈদের আগে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে নোয়াখালীতে মানববন্ধন সেনবাগ সৈয়দ রুহুল আমিন স্মৃতি একাডেমির উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত  সাংবাদিক লিয়াকত আলী খানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন নোয়াখালীতে সিনিয়র সাংবাদিক লিয়াকত আলী খানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ঈদের নামাজ শেষে বাড়ি ফিরলেন আকরাম অবশিষ্ট কিছুই থাকলো না সবকিছু পুড়ে ছাই 

মোঃ দোয়েল আহমেদ বাগমারা প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫
  • ৬৫ বার পড়া হয়েছে

মোঃ দোয়েল আহমেদ বাগমারা প্রতিনিধি:

ঈদ আনন্দ যেন নিমেষেই মলিন হয়ে গেল আকরামের।ঈদের নামাজ শেষে ফিরে দেখলেন, গোটা বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তার। ঈদের খাবারের আয়োজনও আস্ত নেই তার।আজ সোমবার ঈদের দিনে এ আকর্ষিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীর বাগমারার উপজেলার দ্বীপপুর ইউনিয়নের খাঁপুর গ্রামের এক ভ্যানচালকের বাড়িতে। ওই ভ্যানচালকের নাম আকরাম হোসেন।

স্থানীয় লোকজন জানান, আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঈদের নামাজ পড়ার জন্য আকরাম হোসেন স্ত্রীসহ গ্রামের একটি ঈদগাহে যান। সেখানে নারী–পুরুষ একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে বাড়িতে আসার সময় পথিমধ্যে লোকজনের চিৎকার শুনতে পান। পরে দৌড়ে এসে দেখতে পান নিজের বাড়িতে আগুন জ্বলছে।খবর পেয়ে ঈদগাহ থেকেও মুসল্লিরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন এবং চেষ্টা করেন।

স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। এ ছাড়া ঈদগাহের মুসল্লিরাও আগুন নেভানোর কাজে সহায়তা করেছেন। ততক্ষণে বাড়ির মালামালসহ গোটা বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে পাশাপাশি থাকা আর কোনো বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারেনি।

প্রতিবেশী রায়হান কবির জানান, বাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখে ১০-১২ বছরের এক শিশু চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকারে কিছু লোক ছুটে আসেন। তবে ওই সময়ে এলাকার অধিকাংশ লোকজন ঈদের মাঠে নামাজে থাকায় আগুন নেভাতে তাঁরা তাৎক্ষণিক আসতে পারেননি। যখন এসেছেন, ততক্ষণে সব শেষ আকরামের। বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, আকরাম হোসেন পেশায় ভ্যানচালক। মাঝেমধ্যে ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালান। তবে বেশ কিছুদিন ধরে বাড়িতে থেকে অটোভ্যান চালাচ্ছিলেন। আকরাম হোসেনেরও সন্দেহ, বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। ঈদের বাজারসহ সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তাঁর। এখন পথে বসার উপক্রম তার। দুই কক্ষের বাড়ির দেয়াল ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।

বাগমারা ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই সব পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়।

মাটির তৈরি বাড়ির সব কিছু পুড়ে গেছে। দেয়াল ছাড়া অবশিষ্ট কিছু নেই। বৈদ্যুতিক মিটার থেকে শর্টসার্কিট হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।এলাকাবাসীর নিবেদন তাকে আর্থিক সহায়তা ছাড়া এই ঘর মেরামত করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সুদৃষ্টি দেবেন এবং আকরামের পাশে দাঁড়াবেন এটাই প্রত্যাশা

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট