উলিপুর কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
নয়ন ফারাজী আজ ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১সালের এই দিনে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনী অতর্কিত নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালি উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সাথে সাথে চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করে শুনান। সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ শুরু করেন সংগ্রামী বাঙালি। পাকিস্তানি হানাদার বর্বর বাহিনী ও বাঙালিদের হত্যা, ধর্ষণ, ও বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। বাঙালি জাতি তাদের নিজ নিজ অস্ত্র নিয়ে পাকিস্তানী হায়নাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে থাকে। দীর্ঘ ৯ মাস চলা যুদ্ধে ৩০ লক্ষ বাঙালি শহীদ হন হাজার হাজার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হয় এ দেশকে। বহু মা বোনের সম্ভ্রম হানি ঘটান এই হায়না জাতি। এ সকলের বিনিময়ে বহু কাঙ্খিত আসে মহান বিজয়। সেই ১৯৭১ সালের পর থেকে ২৬ শে মার্চ জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে এই বীরের জাতি। তারই অংশ হিসেবে আজ কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলায় সরকার ঘোষিত আড়াম্বর পালিত হল মহান স্বাধীনতা দিবস। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে উপজেলা প্রশাসনের ব্যানারে শহীদ বেদীতে পুষ্প স্তবক অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা ও থানা অফিসার ইনচার্জ জিল্লুর রহমান সহ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ। এরপরে স্টুডিয়াম মাঠে পুলিশ, আনসার, ভিডিবি ফায়ার সার্ভিস বাহিনী সালাম অভিবাদন জ্ঞাপন ও কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন। সালাম ও অভিবাদন গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা ও থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিল্লুর রহমান তার আগে তারা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।এর পরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল কলেজ থেকে আগত শিক্ষার্থীবৃন্দ তাদের শারীরিক কসরত প্রদর্শন করেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে হাসপাতাল ও কারাগার গুলোতে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং মসজিদ মন্দির প্যাগোডা ও গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।