1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০২:০৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
বদরগঞ্জে জাকের পার্টির মিশন সভা অনুষ্ঠিত নীলফামারীতে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরিক্ষায় ভুয়া পরিক্ষার্থী গ্রেফতার লক্ষ্মীপুরে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার গজারিয়ায় অবৈধ চুনা কারখানা ঘুরিয়ে দিল তিতাস রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীকে লাখ টাকা জরিমানা   দাগনভূঞায় শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুলব্যাগ বিতরণ তুহিন চৌধুরী গনসংর্বধনা ও সমাবেশে জলঢাকা উপজেলা জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল আনন্দ রেলি মুন্সীগঞ্জে মাঠা খেতে গিয়ে ৪ দিন ধরে নিখোঁজ স্কুল শিক্ষার্থী  মীরসরাই কমলদহ মহাসড়ক পার হতে বাসের ধাক্কায় পল্লী চিকিৎসক নিহত গফরগাঁওয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে আলোচনা সভা করা হয় শ্রীপুরে ১৪ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কলম বিরতি পালন

ব্যবসায়ীকে অপহরন, যুবদল ও জানাক নেতাসহ ৫ জন একদিনের রিমান্ডে।

মোঃ রবিউল হোসেন খান ব্যুরো :
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে

মোঃ রবিউল হোসেন খান ব্যুরো :

খুলনায় ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার খুলনা মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাহাবুব হাসান পিয়ারু এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি( জানাক) সোনাডাঙ্গা থানা শাখার নেতা ইমন মোল্লা সহ ৫ জনকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ ২৩ মার্চ আদালতে তাদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আবেদনের প্রেক্ষিতে খুলনার সিএমএম আদালত – ২ এর বিচারক মো: আল আমিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে তাদেরকে কারাগারে প্রেরনের নির‍্যদেশ দেন আদালত। গ্রেফতার ৫ জন হলেন, খুলনা মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাহাবুব হাসান পিয়ারু (৫৫), জাতীয় নাগরিক কমিটি খুলনার সমন্বয়ক ইমন মোল্লা (২৪), জিয়াউস সাদাত (৪৮), ইমনের সহযোগী জয় হাসান (২২) এবং সাকিব রহমান(২২)। আদালত সুত্রে জানা গেছে, ২১ মার্চ রাতে মামলার বাদী কৌশিক আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা সোনাডাঙ্গা থানাধীন বসুপাড়া এতিমখানা মোড় নর্থখাল ব্যাংক রোডস্থ সোহরাব হোসেনের ভাড়া বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ঔই সময়ে এ মামলার অভিযুক্ত আসামী মোঃ জিয়াউস সাদাত ওরফে জিয়া, ইমন মোল্লা, মোঃ মাহাবুব হাসান পিয়ারুল, মোঃ জয় হাসান এবং সাকিব রহমান সহ অজ্ঞাত নামা আর ৪/৫ জন আসামী বাদীর বাসার সামনে গিয়ে নিজেদের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলোন সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলে। বাদীর বাবা বাসার দরজা খুলে দেওয়ার সাথে সাথে আসামীরা অনধিকারে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে নুরে আলমকে বিভিন্ন প্রশ্ন এবং মারমুখী আচরন করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা নুরে আলমের কাছে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। না হলে ডিবি পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় তারা। আসামীদের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বাদীর বাবাকে ডিবি পুলিশের নিকট হস্তান্তরের কথা বলে বাসা থেকে জোর পুর্বক তুলে নেওয়া হয়। এরপর তাদের জানানো হয়, ১ কোটি টাকা না দিলে তার বাবাকে জীবনের তরে শেষ এবং পুলিশকে জানালে বাবার লাশ পাবে বলে হুমকি প্রদান করে যায় তারা। পরে এ মামলার অপর আসামি ইমন মোল্লা ২২ মার্চ রাত দেড়টার দিকে কৌশিকের বাড়িতে গিয়ে আসামীদের ব্যবহ্নত ওয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে ফোন করে বাদীর বাবার সাথে কথা বলার ব্যবস্থা করে। ঔই সময়ে মুক্তিপনের ১ কোটি টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। ঔইদিন সকাল ১০ টার দিকে আসামীরা পুনরায় বাদীকে মুক্তিপনের টাকার জন্য হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এর পর বেলা ১১ টার দিকে আসামী জিয়াউস সাদাত ফুলমার্কেটস্থ চেম্বারে বাদীকে সমঝোতার কথা বলে ডেকে নেয়। এর কিছুক্ষন পর আসামী ইমন মোল্লা সহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন জিয়াউস সাদাতের চেম্বারে আসে। আসামীরা মুক্তিপনের ১ কোটি টাকার পরিমান কমিয়ে ৫০ লাখ টাকা নির্ধারন করে। পরবর্তীতে কৌশিক আসামী জিয়ার চেম্বার থেকে বের হয়ে আসার কিছুক্ষন পর আসামি ইমন মোল্লা বাদীর ছোটভাই আবিদ হাসানকে ফোন দিয়ে হুমকি দিয়ে বলতে থাকে দ্রুত টাকা দিলে আপনার পিতাকে শারিরীকভাবে নির্যতন করা হবে। বাবাকে উদ্ধারের জন্য কৌশিক মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের শরনাপন্ন হয়। পরবর্তীতে পুলিশের ফাদে শনিবার রাত সোয়া ১০ টার দিকে শেরই বাংলা রোডস্থ সপ্ন রেন্ট এ কারের সামনে থেকে আসামি ইমন মোল্লা, মাহাবুব হাসান পিয়ারুল এবং জয় হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে মাহাবুব হাসান পিয়ারুল এবং জয় হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা একপর্যায়ে বাদীর বাবাকে অপহরন ও গল্লামারী কাশেম সড়কের চতুর্থ তলার একটি বাড়িতে রাখা হয়েছে বলে পুলিশের নিকট সীকার করে। তাদের সেখানে নিয়ে ঘটনাস্থল হতে অপহ্নত ব্যক্তি নুর আলম কে উদ্ধার পুর্বক আসামী মো: সাকিব রহমানকে মোবাইল সহ গ্রেফতার করা হয়। পরে রাত সাড়ে ১১ দিকে এ মামালার ১ নং আসামী জিয়াউস সাদাত ওরফে জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ইমন মোল্লা জানায়, ২১মার্চ রাতে নুরে আলমকে অপহরণ করে খুলনা সদর থানাধীন টুটপাড়া এলাকার একটি বাড়ির নিচ তলায় আটক রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে অন্যান্য আসামীদের পরামর্শ অনুযায়ী ইমন মোল্লার কাশেম সড়কের ভাড়া করা বাসার চতুর্থ তলার একটি কক্ষে আটক রাখা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকতা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো: হেলাল উদ্দিন সকল আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালত তাদের জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১ দিনের রিমান্ডের অনুমতি প্রদান করে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ( মিডিয়া এ্যান্ড সিপি) মোহাম্মদ আহসান হাবীব জানান, জনৈক নুর আলম মোল্লা (৫৬) নামে এক ব্যবসায়ীকে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা তার ভাড়া বাসা হতে ২১ মার্চ রাত সাড়ে ১১ টার দিকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে তাকে খুলনা সদর থানাধীন গল্লামারী ৪নং কাশেম সড়কে জনৈক সেখ সালাউদ্দিনের বাড়ির চতুর্থ তলার একটি ফ্লাটে আটকে রেখে পরিবারের কাছে ফোন করে মুক্তিপনের জন্য ১ কোটি টাকা দাবি করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগের প্রেক্ষিতে খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্ত করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার তাদের গ্রেফতারের জন্য সোনাডাঙ্গা মডেল থানা এলাকায় রাতভর অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় জিয়াউস সাদাত জিয়া, ইমন মোল্লা, মাহাবুব হাসান পিয়ারুল, জয় হাসান, শাকির রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভিকটিম ব্যবসায়ী নুরে আলম মোল্লাকে আটকাবস্থা থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে কৌশিক আহমেদের দায়ের করা এজাহারের প্রেক্ষিতে গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট